সম্পাদকীয়
মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী একজন বিপ্লবী নেত্রী। তাঁর জন্ম ১৮৭০ সালের ১৭ নভেম্বর মেদিনীপুরের তমলুক থানার হোগলা গ্রামে। শৈশবে পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তিনি। অনেক অল্প বয়সে তাঁর বিয়ে হয় ত্রিলোচন হাজরা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিধবা হন। তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
১৯০৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন মাতঙ্গিনী হাজরা। অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে একাধিকবার কারাবন্দী হলেও তিনি হার মানেননি। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে তিনি ছিলেন গান্ধীবাদী নীতিতে বিশ্বাসী।
১৯৩০ সালের মার্চ-এপ্রিলে শুরু হয়েছিল লবণ সত্যাগ্রহ আইন অমান্য আন্দোলন। সে সময় দেশবাসীর পক্ষে সমুদ্রের জল থেকে লবণ সংগ্রহ করা ছিল বেআইনি, কিন্তু লবণ তৈরির সুযোগ থাকা সমস্ত জায়গায় সত্যাগ্রহীরা লবণ তৈরি করে আইন-অমান্য করতে লাগল। লবণ আইন অমান্য করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মাতঙ্গিনীকে। কিছুদিন পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রতিবাদী এই নারী শুরু করেন নতুন প্রতিবাদ। কর মওকুফের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করলে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার তিনি ছয় মাস কারাগারে বন্দী ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্যপদ লাভ করেন।
১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে ছয় হাজার নারীর মিছিল নিয়ে তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে ঘেরাও করা হয়। শহরের উপকণ্ঠে মিছিল পৌঁছালে ব্রিটিশ পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে, যেন মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া যায়। কিন্তু মাতঙ্গিনীর নেতৃত্বে মিছিল ক্রমেই সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তিনি কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে দিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী একজন বিপ্লবী নেত্রী। তাঁর জন্ম ১৮৭০ সালের ১৭ নভেম্বর মেদিনীপুরের তমলুক থানার হোগলা গ্রামে। শৈশবে পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তিনি। অনেক অল্প বয়সে তাঁর বিয়ে হয় ত্রিলোচন হাজরা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিধবা হন। তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
১৯০৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন মাতঙ্গিনী হাজরা। অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে একাধিকবার কারাবন্দী হলেও তিনি হার মানেননি। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে তিনি ছিলেন গান্ধীবাদী নীতিতে বিশ্বাসী।
১৯৩০ সালের মার্চ-এপ্রিলে শুরু হয়েছিল লবণ সত্যাগ্রহ আইন অমান্য আন্দোলন। সে সময় দেশবাসীর পক্ষে সমুদ্রের জল থেকে লবণ সংগ্রহ করা ছিল বেআইনি, কিন্তু লবণ তৈরির সুযোগ থাকা সমস্ত জায়গায় সত্যাগ্রহীরা লবণ তৈরি করে আইন-অমান্য করতে লাগল। লবণ আইন অমান্য করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মাতঙ্গিনীকে। কিছুদিন পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রতিবাদী এই নারী শুরু করেন নতুন প্রতিবাদ। কর মওকুফের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করলে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার তিনি ছয় মাস কারাগারে বন্দী ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্যপদ লাভ করেন।
১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে ছয় হাজার নারীর মিছিল নিয়ে তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে ঘেরাও করা হয়। শহরের উপকণ্ঠে মিছিল পৌঁছালে ব্রিটিশ পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে, যেন মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া যায়। কিন্তু মাতঙ্গিনীর নেতৃত্বে মিছিল ক্রমেই সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তিনি কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে দিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১৯ ঘণ্টা আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
২ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৪ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৮ দিন আগে