সম্পাদকীয়
প্রকৃত অর্থে পণ্ডিত যাঁকে বলা হয়, তিনি ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। জীবনব্যাপী শিক্ষকতার পাশাপাশি আকুণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন গবেষণায়।
তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল লুপ্তপ্রায় বৌদ্ধ সাহিত্য এবং সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যের বিভিন্ন পুথি আবিষ্কার করা, যেটাকে তিনি নেশা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। হারিয়ে যাওয়া দুর্লভ সাহিত্যকে শুধু উদ্ধার করা নয়, এসবের পাঠোদ্ধার, অনুবাদ ও সূচি প্রণয়নে তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন। ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ তিনিই আবিষ্কার করেন।
বাংলা সাহিত্য যে হাজার বছরের পুরোনো, তা তাঁর এই আবিষ্কারের পথ ধরেই প্রমাণিত হয়। তিনি জীবদ্দশায় একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, বহুভাষাবিদ, পুথি সংগ্রাহক-বিশ্লেষক-সম্পাদক, অনুবাদক, শিলালেখক ও তাম্রলিপির পাঠোদ্ধারকারী ও ঐতিহাসিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
ছাত্রজীবনে তাঁর প্রথম লেখাটি ‘ভারত মহিলা’ নামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লেখার সূত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। পরবর্তী সময়ে বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে সাহিত্যকে ধর্ম প্রচারের মাধ্যম করার কারণে।
তিনি প্রায় ১০ হাজার পুথির বিবরণাত্মক সূচি প্রণয়ন করেন, যা ১১ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। রাজস্থান থেকে তিনি ভাট ও চারণদের পুথি সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘হাজার বছরের বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’, মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর নাট্যরূপ দেওয়া এবং সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতম্ পুথি সংগ্রহ।
১৯২১ সালের ১৮ জুন তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পদে যোগদান করেন এবং ১৯২৪ সালের ৩০ জুন এখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পাওয়ায় তিনি ‘শাস্ত্রী’ উপাধি পান। এরপর পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি দেওয়া হয়।
এই খ্যাতনামা হিস্টোরিওগ্রাফার ১৯৩১ সালের ১৭ নভেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
প্রকৃত অর্থে পণ্ডিত যাঁকে বলা হয়, তিনি ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। জীবনব্যাপী শিক্ষকতার পাশাপাশি আকুণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন গবেষণায়।
তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল লুপ্তপ্রায় বৌদ্ধ সাহিত্য এবং সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যের বিভিন্ন পুথি আবিষ্কার করা, যেটাকে তিনি নেশা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। হারিয়ে যাওয়া দুর্লভ সাহিত্যকে শুধু উদ্ধার করা নয়, এসবের পাঠোদ্ধার, অনুবাদ ও সূচি প্রণয়নে তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন। ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ তিনিই আবিষ্কার করেন।
বাংলা সাহিত্য যে হাজার বছরের পুরোনো, তা তাঁর এই আবিষ্কারের পথ ধরেই প্রমাণিত হয়। তিনি জীবদ্দশায় একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, বহুভাষাবিদ, পুথি সংগ্রাহক-বিশ্লেষক-সম্পাদক, অনুবাদক, শিলালেখক ও তাম্রলিপির পাঠোদ্ধারকারী ও ঐতিহাসিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
ছাত্রজীবনে তাঁর প্রথম লেখাটি ‘ভারত মহিলা’ নামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লেখার সূত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। পরবর্তী সময়ে বঙ্কিমচন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে সাহিত্যকে ধর্ম প্রচারের মাধ্যম করার কারণে।
তিনি প্রায় ১০ হাজার পুথির বিবরণাত্মক সূচি প্রণয়ন করেন, যা ১১ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। রাজস্থান থেকে তিনি ভাট ও চারণদের পুথি সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘হাজার বছরের বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা’, মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর নাট্যরূপ দেওয়া এবং সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতম্ পুথি সংগ্রহ।
১৯২১ সালের ১৮ জুন তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পদে যোগদান করেন এবং ১৯২৪ সালের ৩০ জুন এখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পাওয়ায় তিনি ‘শাস্ত্রী’ উপাধি পান। এরপর পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি দেওয়া হয়।
এই খ্যাতনামা হিস্টোরিওগ্রাফার ১৯৩১ সালের ১৭ নভেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৩ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১০ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২০ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৪ দিন আগে