ষাটের দশকের শুরুতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময়েই দানা বেঁধে উঠেছিল ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোনায়েম খানের আসা বন্ধ হয়ে গেল। সে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন মূলত ছাত্রলীগ আর ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। সে সময় রাজনৈতিক দলাদলি থাকলেও পারস্পরিক সৌহার্দ্য ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটা বড় পরিবারের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশতেন, শাসন করতেন এবং আদর করতেন।
সে সময়ের একটি ঘটনা বলছেন খালেদ শামস। খালেদ ক্যাম্পাসে যেতেন সাইকেলে চড়ে। পুরোনো আর্টস বিল্ডিংয়ের (তখন কলাভবন বলা হতো না, বলা হতো আর্টস বিল্ডিং) সামনে বটতলা ঘিরে ছিল একটি সবুজ চত্বর। এক দিন তিনি পাকা রাস্তা দিয়ে সাইকেল না চালিয়ে সাইকেলে চড়েই পার হলেন সবুজ লন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল তালাবদ্ধ করে আর্টস বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়ালেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ দেখেন, কে যেন তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি ছিলেন প্রক্টর নূরুল মোমেন। সাহিত্যিক হিসেবে নামডাক তাঁর।
তিনি বললেন, ‘এই ছেলে, তোমার নাম কী হে?’
‘আমার নাম খালেদ শামস, স্যার। একটা পঞ্চাশের ক্লাসে যাচ্ছি।’
‘তুমি কি আজকাল শুধু নোটবই পড়?’
খালেদ শামস বুঝতেই পারলেন না, হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন!
‘মানে বুঝলাম না, স্যার। নোটবই পড়ব কেন?’
‘না, মনে হচ্ছে তুমি আজকাল নোটবই পড়ছ। শর্টকাট করে জীবনে বেশি দূর এগোতে পারবে না।’
খালেদ শামস কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
এবার খালেদের পিঠে হাত দিয়ে খোলাসা করলেন নূরুল মোমেন।
‘সাইকেলে পাকা রাস্তা দিয়ে না এসে তুমি লনের মধ্য দিয়ে শর্টকাট করলে। লনটাও নষ্ট হলো। জীবনে সব জায়গায় শর্টকাট করা যায় না–মনে রেখো।’
সূত্র: খালেদ শামস, আমারে তুমি অশেষ করেছ, পৃষ্ঠা: ২৮৫-২৮৬
ষাটের দশকের শুরুতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময়েই দানা বেঁধে উঠেছিল ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোনায়েম খানের আসা বন্ধ হয়ে গেল। সে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন মূলত ছাত্রলীগ আর ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। সে সময় রাজনৈতিক দলাদলি থাকলেও পারস্পরিক সৌহার্দ্য ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটা বড় পরিবারের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশতেন, শাসন করতেন এবং আদর করতেন।
সে সময়ের একটি ঘটনা বলছেন খালেদ শামস। খালেদ ক্যাম্পাসে যেতেন সাইকেলে চড়ে। পুরোনো আর্টস বিল্ডিংয়ের (তখন কলাভবন বলা হতো না, বলা হতো আর্টস বিল্ডিং) সামনে বটতলা ঘিরে ছিল একটি সবুজ চত্বর। এক দিন তিনি পাকা রাস্তা দিয়ে সাইকেল না চালিয়ে সাইকেলে চড়েই পার হলেন সবুজ লন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় সাইকেল তালাবদ্ধ করে আর্টস বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়ালেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ দেখেন, কে যেন তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি ছিলেন প্রক্টর নূরুল মোমেন। সাহিত্যিক হিসেবে নামডাক তাঁর।
তিনি বললেন, ‘এই ছেলে, তোমার নাম কী হে?’
‘আমার নাম খালেদ শামস, স্যার। একটা পঞ্চাশের ক্লাসে যাচ্ছি।’
‘তুমি কি আজকাল শুধু নোটবই পড়?’
খালেদ শামস বুঝতেই পারলেন না, হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন!
‘মানে বুঝলাম না, স্যার। নোটবই পড়ব কেন?’
‘না, মনে হচ্ছে তুমি আজকাল নোটবই পড়ছ। শর্টকাট করে জীবনে বেশি দূর এগোতে পারবে না।’
খালেদ শামস কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
এবার খালেদের পিঠে হাত দিয়ে খোলাসা করলেন নূরুল মোমেন।
‘সাইকেলে পাকা রাস্তা দিয়ে না এসে তুমি লনের মধ্য দিয়ে শর্টকাট করলে। লনটাও নষ্ট হলো। জীবনে সব জায়গায় শর্টকাট করা যায় না–মনে রেখো।’
সূত্র: খালেদ শামস, আমারে তুমি অশেষ করেছ, পৃষ্ঠা: ২৮৫-২৮৬
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যেগুলোর বেশির ভাগ জেন-জিদের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
২ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৬ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৭ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৯ দিন আগে