সম্পাদকীয়
বাংলা সাহিত্যের দিকপালদের একজন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক হওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না। এন্ট্রান্স পাস করেছিলেন প্রথম বিভাগে। সেটা ১৯১৪ সাল। এরপর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। সেই কলেজ থেকেই পাস করেন বিএ। এবার ডিস্টিংশনসহ।
এবার চাকরি। হরিনাভির দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ অ্যাংলো সংস্কৃত বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন। সাহিত্য বিষয়ে কোনো আকর্ষণই ছিল না তাঁর। কিন্তু এখানেই তাঁর সাহিত্যেও হাতেখড়ি হলো।
ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষকদের ঘরে বসে ছিলেন। সে সময় একটি অল্পবয়সী ছেলে বলল, ‘আসুন, আমরা দুজন মিলে একটা বই লিখি।’ যে ছেলেটি বলল, তার নাম যতীন্দ্রমোহন রায়। সে সময় কলকাতার এক প্রকাশক ‘ছয় আনা গ্রন্থাবলী’ নামে একটি সিরিজ বের করা শুরু করেছিলেন। সেই গ্রন্থাবলির প্রথম বইটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেটা ১৯২০ সাল। লাইব্রেরি থেকে সে রকম একটি বই এনে যতীন্দ্রমোহন কথাটা বলেছিল তাঁকে।
বিভূতিভূষণ গা করেননি। কিন্তু দেখা গেল স্কুলের নোটিশ বোর্ড, দেয়ালে, নারকেলগাছে পোস্টার। উপন্যাস লিখছেন বিভূতিবাবু!
ধন্য ধন্য পড়ে গেল। সহকর্মীরা তাঁর পিঠ চাপড়ে দিল। জানতে চাইল, কবে বের হচ্ছে উপন্যাস।
ছেলেটার ওপর বিরক্ত হলেন তিনি। রাগ করলেন। কলার চেপে ধরে এই রসিকতার মানে জানতে চাইলেন। ছেলেটি ভয় না পেয়ে বরং বলল, ‘ভেবেছিলাম দুজন মিলে লিখে ফেলব।’
শেষ পর্যন্ত না পেরে বিভূতিভূষণ বসে পড়লেন কলম-খাতা নিয়ে। লিখলেন একটা গল্প। নাম ‘পূজনীয়া’। পাঠিয়ে দিলেন ডাকে। সঙ্গে একটি ফেরত খাম। তিনি জানতেন, লেখাটি অমনোনীত হয়ে ফিরে আসবে। সপ্তাহ তিনেক বাদে ফেরত খাম এল। তিনি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। যাক! অমনোনীত লেখা ফিরে এসেছে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে খাম খুলে দেখেন, সম্পাদকের চিঠি: ‘আপনার লেখাটি মনোনীত হয়েছে, শিগগিরই ছাপা হবে।’
গল্পটা অবশ্য ছাপা হলো ‘উপেক্ষিতা’ নামে।
সূত্র: আবাহন দত্ত, পথ চলাতেই আনন্দ, আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলা সাহিত্যের দিকপালদের একজন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক হওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না। এন্ট্রান্স পাস করেছিলেন প্রথম বিভাগে। সেটা ১৯১৪ সাল। এরপর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। সেই কলেজ থেকেই পাস করেন বিএ। এবার ডিস্টিংশনসহ।
এবার চাকরি। হরিনাভির দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ অ্যাংলো সংস্কৃত বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন। সাহিত্য বিষয়ে কোনো আকর্ষণই ছিল না তাঁর। কিন্তু এখানেই তাঁর সাহিত্যেও হাতেখড়ি হলো।
ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষকদের ঘরে বসে ছিলেন। সে সময় একটি অল্পবয়সী ছেলে বলল, ‘আসুন, আমরা দুজন মিলে একটা বই লিখি।’ যে ছেলেটি বলল, তার নাম যতীন্দ্রমোহন রায়। সে সময় কলকাতার এক প্রকাশক ‘ছয় আনা গ্রন্থাবলী’ নামে একটি সিরিজ বের করা শুরু করেছিলেন। সেই গ্রন্থাবলির প্রথম বইটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেটা ১৯২০ সাল। লাইব্রেরি থেকে সে রকম একটি বই এনে যতীন্দ্রমোহন কথাটা বলেছিল তাঁকে।
বিভূতিভূষণ গা করেননি। কিন্তু দেখা গেল স্কুলের নোটিশ বোর্ড, দেয়ালে, নারকেলগাছে পোস্টার। উপন্যাস লিখছেন বিভূতিবাবু!
ধন্য ধন্য পড়ে গেল। সহকর্মীরা তাঁর পিঠ চাপড়ে দিল। জানতে চাইল, কবে বের হচ্ছে উপন্যাস।
ছেলেটার ওপর বিরক্ত হলেন তিনি। রাগ করলেন। কলার চেপে ধরে এই রসিকতার মানে জানতে চাইলেন। ছেলেটি ভয় না পেয়ে বরং বলল, ‘ভেবেছিলাম দুজন মিলে লিখে ফেলব।’
শেষ পর্যন্ত না পেরে বিভূতিভূষণ বসে পড়লেন কলম-খাতা নিয়ে। লিখলেন একটা গল্প। নাম ‘পূজনীয়া’। পাঠিয়ে দিলেন ডাকে। সঙ্গে একটি ফেরত খাম। তিনি জানতেন, লেখাটি অমনোনীত হয়ে ফিরে আসবে। সপ্তাহ তিনেক বাদে ফেরত খাম এল। তিনি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। যাক! অমনোনীত লেখা ফিরে এসেছে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে খাম খুলে দেখেন, সম্পাদকের চিঠি: ‘আপনার লেখাটি মনোনীত হয়েছে, শিগগিরই ছাপা হবে।’
গল্পটা অবশ্য ছাপা হলো ‘উপেক্ষিতা’ নামে।
সূত্র: আবাহন দত্ত, পথ চলাতেই আনন্দ, আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে