সম্পাদকীয়
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ছিলেন একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
১৯২৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের দুর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। গ্রামের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু হয়। এরপর বাবার চাকরির সূত্রে তিনি বাঁকুড়া জিলা স্কুল, জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৫২ সালে রেডিও পাকিস্তানে ঢাকা কেন্দ্রের প্রোগ্রাম সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং একই বছর সরকারি বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে যান।
দেশে ফেরার পর প্রথমে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতার পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন পরিচালক ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও গবেষণামূলক অনেক রচনা রয়েছে তাঁর। অনুবাদ করেছেন শেক্সপিয়ারের অনেক বই। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—বাঙালীর আত্মপরিচয়, শব্দের সীমানা, কোয়েস্ট ফর আ সিভিল সোসাইটি, দ্য কোয়েস্ট ফর ট্রুথ: সেক্যুলার ফিলোসফি বাই আরজ আলী মাতুব্বর, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ছিলাম ইত্যাদি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধানের সম্পাদক তিনি। রাজশাহী পর্বে মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ও তাঁর যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘পূর্বমেঘ’ পত্রিকা।
সমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসেবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মৃদুভাষী ও বিনয়ী এই শিক্ষানুরাগী।
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ছিলেন একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
১৯২৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের দুর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। গ্রামের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক পড়ালেখা শুরু হয়। এরপর বাবার চাকরির সূত্রে তিনি বাঁকুড়া জিলা স্কুল, জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৫২ সালে রেডিও পাকিস্তানে ঢাকা কেন্দ্রের প্রোগ্রাম সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং একই বছর সরকারি বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে যান।
দেশে ফেরার পর প্রথমে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতার পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন পরিচালক ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও গবেষণামূলক অনেক রচনা রয়েছে তাঁর। অনুবাদ করেছেন শেক্সপিয়ারের অনেক বই। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—বাঙালীর আত্মপরিচয়, শব্দের সীমানা, কোয়েস্ট ফর আ সিভিল সোসাইটি, দ্য কোয়েস্ট ফর ট্রুথ: সেক্যুলার ফিলোসফি বাই আরজ আলী মাতুব্বর, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ছিলাম ইত্যাদি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধানের সম্পাদক তিনি। রাজশাহী পর্বে মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ও তাঁর যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘পূর্বমেঘ’ পত্রিকা।
সমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসেবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মৃদুভাষী ও বিনয়ী এই শিক্ষানুরাগী।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে