সম্পাদকীয়
আবদুল আহাদ একাধারে ছিলেন সুরকার, প্রশিক্ষক, পরিচালক, সংগঠক ও গায়ক। বাঙালির ঘরে ঘরে সংগীতের প্রবেশ ঘটানোর ক্ষেত্রে যাঁরা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছিলেন, সুরস্রষ্টা আবদুল আহাদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এ দেশে রবীন্দ্রনাথের গান প্রচার ও চর্চায় তিনিই প্রথম উদ্যোগী হন। শুধু তা-ই নয়, তিনি আধুনিক ও দেশাত্মবোধক সংগীতের প্রধান পথিকৃৎ। সিনেমার সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
আবদুল আহাদের জন্ম ১৯১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি রাজশাহী শহরে। তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামে।
শৈশবেই সংগীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন আহাদ। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন। এ সময়ই তিনি উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম নেন। সে সময় তিনি কলকাতা বেতারে সংগীত পরিবেশনের জন্য মনোনীত হন এবং বাংলা ঠুংরি পরিবেশন করেন। ১৯৩৬ সালে ‘সারা বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতায়’ ঠুংরি ও গজলে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৩৮ সালে সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তখনকার দিনে তাঁর এ ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসদীপ্ত। কারণ তখন এ দেশের মুসলিম সমাজে সংগীতের তেমন প্রচলন ছিল না। শান্তিনিকেতনে ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে ‘দিনের পর দিন যে গেল’ গানটি গেয়ে তিনি কবিগুরুর আশীর্বাদ লাভ করেন।
১৯৪১ সালে তিনি কলকাতার এইচএমভি (হিজ মাস্টার্স ভয়েস) কোম্পানিতে সংগীত প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং পরের বছর ঢাকা বেতারকেন্দ্রে সুরকার ও প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রায় দুই যুগ বেতারের ‘সংগীতশিক্ষার আসর’ পরিচালনা করেন এবং এর মাধ্যমে বেতারের সংগীতজগৎকে সংগঠিত ও সমৃদ্ধ করেন।
আবদুল আহাদ সুরকার হিসেবেও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীতানুষ্ঠানে সুরকার হিসেবে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। উর্দু গজল ও গীত এবং বাংলাসহ এক হাজারের বেশি গানে তিনি সুরারোপ করেন।
অকৃতদার এ মানুষটি ১৯৯৪ সালের ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুল আহাদ একাধারে ছিলেন সুরকার, প্রশিক্ষক, পরিচালক, সংগঠক ও গায়ক। বাঙালির ঘরে ঘরে সংগীতের প্রবেশ ঘটানোর ক্ষেত্রে যাঁরা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছিলেন, সুরস্রষ্টা আবদুল আহাদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এ দেশে রবীন্দ্রনাথের গান প্রচার ও চর্চায় তিনিই প্রথম উদ্যোগী হন। শুধু তা-ই নয়, তিনি আধুনিক ও দেশাত্মবোধক সংগীতের প্রধান পথিকৃৎ। সিনেমার সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
আবদুল আহাদের জন্ম ১৯১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি রাজশাহী শহরে। তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামে।
শৈশবেই সংগীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন আহাদ। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন। এ সময়ই তিনি উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম নেন। সে সময় তিনি কলকাতা বেতারে সংগীত পরিবেশনের জন্য মনোনীত হন এবং বাংলা ঠুংরি পরিবেশন করেন। ১৯৩৬ সালে ‘সারা বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতায়’ ঠুংরি ও গজলে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৩৮ সালে সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তখনকার দিনে তাঁর এ ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসদীপ্ত। কারণ তখন এ দেশের মুসলিম সমাজে সংগীতের তেমন প্রচলন ছিল না। শান্তিনিকেতনে ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে ‘দিনের পর দিন যে গেল’ গানটি গেয়ে তিনি কবিগুরুর আশীর্বাদ লাভ করেন।
১৯৪১ সালে তিনি কলকাতার এইচএমভি (হিজ মাস্টার্স ভয়েস) কোম্পানিতে সংগীত প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং পরের বছর ঢাকা বেতারকেন্দ্রে সুরকার ও প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রায় দুই যুগ বেতারের ‘সংগীতশিক্ষার আসর’ পরিচালনা করেন এবং এর মাধ্যমে বেতারের সংগীতজগৎকে সংগঠিত ও সমৃদ্ধ করেন।
আবদুল আহাদ সুরকার হিসেবেও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীতানুষ্ঠানে সুরকার হিসেবে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। উর্দু গজল ও গীত এবং বাংলাসহ এক হাজারের বেশি গানে তিনি সুরারোপ করেন।
অকৃতদার এ মানুষটি ১৯৯৪ সালের ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে