ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৭৬৮ সালে রয়্যাল নেভির জরিপকারী কুককে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এইচএমএস এন্ডেভার নামের জাহাজের দায়িত্ব পান তিনি। শুক্রগ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীদের তাহিতি নিয়ে যাওয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। ১৭৭১ সালে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে অনুসন্ধান এবং পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৭৭২ সালের গোড়ার দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বড় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। পরবর্তী তিন বছরে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। এ ছাড়া নিউ হেব্রিডসের মানচিত্র তৈরি করেন এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া আবিষ্কার করেন।
১৭৭৬ সালে এইচএমএস রেজ্যুলিউশন এবং ডিসকভারি নামের দুটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। ১৭৭৮ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ভ্রমণ করেন। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে এই দ্বীপপুঞ্জে পা রাখেন। এই জায়গাটির নাম রাখেন স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড, অভিযানের একজন পৃষ্ঠপোষক আর্ল অব স্যান্ডউইচ জন মন্টাগুর সম্মানে।
কুক এবং তাঁর ক্রুদের হাওয়াইয়ানরা স্বাগতই জানায়। তাঁরা ইউরোপীয়দের জাহাজ এবং তাদের লোহার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। তারপর নি’ইহাউতে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দেন অভিযাত্রীরা এবং উত্তর দিকে রওনা দেন। উদ্দেশ্য উত্তর আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাওয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের পথের পশ্চিম অংশের সন্ধান লাভ। প্রায় এক বছর পরে, কুকের দুটি জাহাজ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ফিরে আসে এবং হাওয়াইয়ের কিয়ালাকেকুয়া উপসাগরে একটি নিরাপদ পোতাশ্রয় খুঁজে পায়।
কিয়ালাকেকুয়াকে হাওয়াইয়ানরা তাঁদের দেবতা লোনোর পবিত্র বন্দর হিসেবে বিবেচনা করত। কুকের আগমনের সময় স্থানীয়রা লোনোর সম্মানে একটি উৎসব উদ্যাপন করছিল। কুক এবং তার স্বদেশিদের তাঁরা দেবতাই মনে করে এবং তাঁদের স্বাগত জানায়।
কুক ও তাঁর সঙ্গীদের আগমনে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় হাওয়াইয়াদের মধ্যে। এতে সেখানকার অনেকেই মারা যান। একপর্যায়ে কুকের একজন কর্মীরও মৃত্যু হয় রোগে ভুগে। এতে হাওয়াইয়ানরা বুঝতে পারে ইউরোপীয়রা মোটেই দেবতা নয়, তাঁদের মতো রক্তমাংসের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই কুকদের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ জাহাজগুলি কিয়ালাকেকুয়া উপসাগর থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রেজ্যুলিউশনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক সপ্তাহ পরেই দলবল সমেত হাওয়াইতে ফিরে যেতে বাধ্য হন কুক।
এবার কিন্তু হাওয়াইয়ানরা পাথর নিক্ষেপ করে কুক এবং তাঁর লোকদের অভ্যর্থনা জানায়। একপর্যায়ে তারা ডিসকভারি থেকে একটি ছোট নৌকা চুরি করে। হাওয়াইয়ান এক গোত্রপতিকে কুকের নাবিকেরা গুলি করে হত্যা করার পর নৌকা ফেরত পেতে রাজা কালানিওপুর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যায়।
ক্যাপ্টেন এবং তাঁর লোকেরা এবার হাওয়াইয়ানদের ওপর গুলি চালালেন। কিন্তু শিগগিরই বিপুল সংখ্যক হাওয়াইয়ান হামলা চালালে উল্টো বিপদে পড়েন। মাত্র কয়েকজন রেজ্যুলিউশনের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে সক্ষম হয়। আক্রমণে ক্যাপ্টেন কুক নিজেও নিহত হন। কয়েক দিন পরে, ইংরেজরা তাদের কামান এবং গুলির সাহায্যে প্রতিশোধ নেয়। এ সময় ৩০ জনের মতো হাওয়াইয়ানকে হত্যা করা হয়। তারপর রেজ্যুলিউশনের এবং ডিসকভারি ইংল্যান্ডে ফিরে আসে।
ক্যাপ্টেন জেমস কুক ছিলেন বিখ্যাত একজন ইংরেজ অভিযাত্রী। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে খুন হন তিনি।
১৭৬৮ সালে রয়্যাল নেভির জরিপকারী কুককে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এইচএমএস এন্ডেভার নামের জাহাজের দায়িত্ব পান তিনি। শুক্রগ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীদের তাহিতি নিয়ে যাওয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। ১৭৭১ সালে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে অনুসন্ধান এবং পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৭৭২ সালের গোড়ার দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বড় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুক। পরবর্তী তিন বছরে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। এ ছাড়া নিউ হেব্রিডসের মানচিত্র তৈরি করেন এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া আবিষ্কার করেন।
১৭৭৬ সালে এইচএমএস রেজ্যুলিউশন এবং ডিসকভারি নামের দুটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। ১৭৭৮ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রথম ভ্রমণ করেন। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে এই দ্বীপপুঞ্জে পা রাখেন। এই জায়গাটির নাম রাখেন স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড, অভিযানের একজন পৃষ্ঠপোষক আর্ল অব স্যান্ডউইচ জন মন্টাগুর সম্মানে।
কুক এবং তাঁর ক্রুদের হাওয়াইয়ানরা স্বাগতই জানায়। তাঁরা ইউরোপীয়দের জাহাজ এবং তাদের লোহার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। তারপর নি’ইহাউতে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দেন অভিযাত্রীরা এবং উত্তর দিকে রওনা দেন। উদ্দেশ্য উত্তর আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাওয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের পথের পশ্চিম অংশের সন্ধান লাভ। প্রায় এক বছর পরে, কুকের দুটি জাহাজ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ফিরে আসে এবং হাওয়াইয়ের কিয়ালাকেকুয়া উপসাগরে একটি নিরাপদ পোতাশ্রয় খুঁজে পায়।
কিয়ালাকেকুয়াকে হাওয়াইয়ানরা তাঁদের দেবতা লোনোর পবিত্র বন্দর হিসেবে বিবেচনা করত। কুকের আগমনের সময় স্থানীয়রা লোনোর সম্মানে একটি উৎসব উদ্যাপন করছিল। কুক এবং তার স্বদেশিদের তাঁরা দেবতাই মনে করে এবং তাঁদের স্বাগত জানায়।
কুক ও তাঁর সঙ্গীদের আগমনে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় হাওয়াইয়াদের মধ্যে। এতে সেখানকার অনেকেই মারা যান। একপর্যায়ে কুকের একজন কর্মীরও মৃত্যু হয় রোগে ভুগে। এতে হাওয়াইয়ানরা বুঝতে পারে ইউরোপীয়রা মোটেই দেবতা নয়, তাঁদের মতো রক্তমাংসের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই কুকদের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। ১৭৭৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ জাহাজগুলি কিয়ালাকেকুয়া উপসাগর থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রেজ্যুলিউশনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক সপ্তাহ পরেই দলবল সমেত হাওয়াইতে ফিরে যেতে বাধ্য হন কুক।
এবার কিন্তু হাওয়াইয়ানরা পাথর নিক্ষেপ করে কুক এবং তাঁর লোকদের অভ্যর্থনা জানায়। একপর্যায়ে তারা ডিসকভারি থেকে একটি ছোট নৌকা চুরি করে। হাওয়াইয়ান এক গোত্রপতিকে কুকের নাবিকেরা গুলি করে হত্যা করার পর নৌকা ফেরত পেতে রাজা কালানিওপুর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যায়।
ক্যাপ্টেন এবং তাঁর লোকেরা এবার হাওয়াইয়ানদের ওপর গুলি চালালেন। কিন্তু শিগগিরই বিপুল সংখ্যক হাওয়াইয়ান হামলা চালালে উল্টো বিপদে পড়েন। মাত্র কয়েকজন রেজ্যুলিউশনের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে সক্ষম হয়। আক্রমণে ক্যাপ্টেন কুক নিজেও নিহত হন। কয়েক দিন পরে, ইংরেজরা তাদের কামান এবং গুলির সাহায্যে প্রতিশোধ নেয়। এ সময় ৩০ জনের মতো হাওয়াইয়ানকে হত্যা করা হয়। তারপর রেজ্যুলিউশনের এবং ডিসকভারি ইংল্যান্ডে ফিরে আসে।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে