Ajker Patrika

দই

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ০৮: ৫৩
দই

শান্তিনিকেতনে সত্যেন সেনের সেজদির বাড়ি ছিল। সেখানে সত্যেন সেন যেতেন। সে সময় চোখের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছিল তাঁর। দুই বেলা দুজনকে ডিকটেশন দিয়ে লেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

সেই সত্যেন সেন একবার হরিনাভিতে কমল ঘোষ নামে এক কমরেডের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, রক্তের সম্পর্ক বড় নয়, বড় হলো আত্মার সম্পর্ক। এ কারণেই তিনি ঘুরে ঘুরে আত্মার আত্মীয় খুঁজে বের করতেন এবং তাঁদের বাড়িতে থাকতেন।
চোখে কম দেখতেন বলে আঁকাবাঁকা হস্তাক্ষরে সন্জীদা খাতুনকে পোস্টকার্ডের চিঠি পাঠাতেন। সন্জীদাও দিতেন তার উত্তর। একবার সত্যেন সেন বললেন, ‘তুমি একবার এসো। একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখাব তোমাকে।’সন্জীদা খাতুন ছুটলেন হরিনাভি। বাড়িটার দোতলায় স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটা ঘর। অন্য ঘরে ডরমিটরির মতো সারি সারি চৌকি পাতা। তারই একটায় থাকতেন সত্যেন সেন।

ভোররাতে হঠাৎ সত্যেন সেনের চটির খচখচ শব্দ শোনা গেল। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর গজগজ, ‘রোজ অন্ধকার থাকতেই এই যন্ত্রণা!’
সত্যেন সেন এসে বললেন, ‘মিনু, ওঠো।’
সন্জীদা খাতুনের ডাকনাম মিনু। মিনুও সত্যেন সেনের 
সঙ্গে হেঁটে এলেন বারান্দায়। চেয়ার টেনে বসলেন দুজন। খানিক পরে সামনের একটা বড় গাছ থেকে একসঙ্গে ডেকে উঠল একঝাঁক পাখি।
সত্যেন সেন বললেন, ‘শুনলা? এইবার তুমি একটাগান গাও।’

সেই বাড়িতেই দুপুরে খাবার দেওয়ার সময় খাওয়া শেষে সন্জীদার পাতে দই বেড়ে দিলেন গৃহিণী। সন্জীদা বললেন, ‘সত্যেনদাকে?’ গৃহিণী ফিসফিস করে বললেন, ‘দেখতে পায় 
না তো!’সন্জীদা নিজের পাতের দই ঢেলে দিলেন সত্যেন সেনের পাতে। সন্জীদা খাতুন রেগে গিয়ে বললেন, ‘কালই তুমি আমার সঙ্গে চলে যাবে, বুঝেছ?’ 

পরদিন সত্যেন সেন সন্জীদা খাতুনের সঙ্গে চলে এলেন। উঠলেন গোলপার্কে শিবনারায়ণ সেনের বাড়িতে। 

সূত্র: সন্জীদা খাতুন, সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দে, 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত