সম্পাদকীয়
রাধাগোবিন্দ চন্দ্র স্বশিক্ষিত একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি উপমহাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎও। তাঁর জন্ম যশোরের বগচর গ্রামে। শৈশবে তাঁর পড়াশোনার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। তিনবার প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি। কিন্তু আকাশ পর্যবেক্ষণ তাঁর কাছে নেশার মতো ছিল। প্রথাগত পড়াশোনার প্রতি অনীহা থাকলেও ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতেন। ফলে ইংরেজি, ফারসি ও গণিতে তিনি ভালো দক্ষতা অর্জন করেন।
১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি আকাশ পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়ার মতো কোনো শিক্ষক তাঁর ছিল না। এ সময় তাঁর মনে ব্রহ্মাণ্ড ও এর সৃষ্টি সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়। আর অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত ‘ব্রহ্মাণ্ড কি প্রকাণ্ড’ বইটি তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
১৯০০ সালে ২২ বছর বয়সে যশোরের কালেক্টরেট অফিসে সামান্য কেরানির চাকরি পান রাধাগোবিন্দ। কিন্তু তাঁর আকাশ পর্যবেক্ষণ থেমে থাকে না। ১৯১০ সালে তিনি খালি চোখে হ্যালির ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছিলেন অনেক দিন ধরে। অভ্যাসমতো একটি খাতায় তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ লিখে রাখতেন। হ্যালির ধূমকেতু দেখার পরই রাধা ‘ধূমকেতু’ গ্রন্থটি রচনা করেন। তাঁর বই পড়ে শান্তিনিকেতনের এক বিজ্ঞান শিক্ষক তাঁকে চিঠি লিখে পরামর্শ দিলেন একটি দুরবিন সংগ্রহের। নিজের জমি বিক্রি করে তিনি একটি ছোট্ট দুরবিন যন্ত্র কেনেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মানমন্দির, ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফ্রান্সের লিওঁ মানমন্দিরে নিয়মিত পাঠাতে শুরু করেন। তিনি এশিয়ার প্রথম জ্যোতির্বিদ, যিনি ‘নোভা’ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেন। এরপরই তিনি আন্তর্জাতিকভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পান। ১৯২৮ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে সম্মানসূচক ‘অফিসার ডি-একাডেমিক’ উপাধি প্রদান করে। দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় চলে যান।
বিস্ময়কর এ মানুষটি ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল মারা যান।
রাধাগোবিন্দ চন্দ্র স্বশিক্ষিত একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি উপমহাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎও। তাঁর জন্ম যশোরের বগচর গ্রামে। শৈশবে তাঁর পড়াশোনার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। তিনবার প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি। কিন্তু আকাশ পর্যবেক্ষণ তাঁর কাছে নেশার মতো ছিল। প্রথাগত পড়াশোনার প্রতি অনীহা থাকলেও ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতেন। ফলে ইংরেজি, ফারসি ও গণিতে তিনি ভালো দক্ষতা অর্জন করেন।
১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি আকাশ পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়ার মতো কোনো শিক্ষক তাঁর ছিল না। এ সময় তাঁর মনে ব্রহ্মাণ্ড ও এর সৃষ্টি সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়। আর অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত ‘ব্রহ্মাণ্ড কি প্রকাণ্ড’ বইটি তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
১৯০০ সালে ২২ বছর বয়সে যশোরের কালেক্টরেট অফিসে সামান্য কেরানির চাকরি পান রাধাগোবিন্দ। কিন্তু তাঁর আকাশ পর্যবেক্ষণ থেমে থাকে না। ১৯১০ সালে তিনি খালি চোখে হ্যালির ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছিলেন অনেক দিন ধরে। অভ্যাসমতো একটি খাতায় তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ লিখে রাখতেন। হ্যালির ধূমকেতু দেখার পরই রাধা ‘ধূমকেতু’ গ্রন্থটি রচনা করেন। তাঁর বই পড়ে শান্তিনিকেতনের এক বিজ্ঞান শিক্ষক তাঁকে চিঠি লিখে পরামর্শ দিলেন একটি দুরবিন সংগ্রহের। নিজের জমি বিক্রি করে তিনি একটি ছোট্ট দুরবিন যন্ত্র কেনেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মানমন্দির, ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফ্রান্সের লিওঁ মানমন্দিরে নিয়মিত পাঠাতে শুরু করেন। তিনি এশিয়ার প্রথম জ্যোতির্বিদ, যিনি ‘নোভা’ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেন। এরপরই তিনি আন্তর্জাতিকভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পান। ১৯২৮ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে সম্মানসূচক ‘অফিসার ডি-একাডেমিক’ উপাধি প্রদান করে। দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় চলে যান।
বিস্ময়কর এ মানুষটি ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল মারা যান।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৭ ঘণ্টা আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
১ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৪ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৮ দিন আগে