মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের একজন আব্রাহাম লিংকন। যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলোপ করেন তিনি। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন আব্রাহাম লিংকন।
কেনটাকির হজেনভিলের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম আব্রাহাম লিংকনের। স্কুলে কেবল এক বছর লেখাপড়া করেন। কিন্তু তারপরে মানসিকতা ও জ্ঞানকে উন্নত করার ক্রমাগত প্রচেষ্টায় পড়ালেখা করেন নিজে থেকেই। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তিনি ইলিনয়েতে থাকতেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে পোস্টমাস্টার, সার্ভেয়ার এবং দোকানদারসহ বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৮৩৪ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত ইলিনয় আইনসভায় এবং ১৮৪৭-৪৯ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন অ্যাটর্নি বা আইনজীবী হন। ১৮৪২ সালে বিয়ে করেন মেরি টডকে। দুজনের চারটি ছেলে সন্তান হয়।
লিংকন ১৮৫০-র দশকে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। সেটা এমন একটি সময় যখন দাসপ্রথার বিষয়ে জাতির দীর্ঘস্থায়ী বিভাজনটি আরও প্রকাশিত হয়েছে। নবগঠিত রিপাবলিকান পার্টির নেতা হিসেবে লিংকনকে রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থী মনে করা হতো, এমনকি দাসত্বের ইস্যুতেও।
তিনি সেই রাজ্যগুলোতে দাসপ্রথার বিষয়ে খুব কঠোর অবস্থানে ছিলেন না, যেখানে এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান ছিল এবং ১৮৫৪ সালের দিকে এক চিঠিতে এই অনুশীলনটিকে একটি গৌণ সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ১৮৫৮ সালের সিনেট নির্বাচনের সময় দক্ষিণ রাজ্যগুলোর মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব তৈরি হওয়ায় তিনি সতর্ক করেছিলেন, একটি ঘর থেকে বিভক্ত হয়ে কেউ কখনো দাঁড়াতে পারে না। তিনি সিনেট নির্বাচনে না জিতলেও একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন।
১৮৬০ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে দাসত্ব প্রথার বিরোধী থাকলেও এ ক্ষেত্রে খুব কঠোর অবস্থানে ছিলেন না। তিনি এমন রাজ্যে প্রথাটি শেষ করতে আগ্রহী ছিলেন না যেখানে এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান ছিল। দাসদের মুক্ত করার চেয়ে ইউনিয়নকে বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৪ লাখ পপুলার ভোটে এবং ইলেক্টরাল কলেজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন লিংকন। বলা চলে তখন তিনি কার্যত একটি টাইম বোমা হাতে নিয়েছিলেন।
নির্বাচিত হয়েই লিংকন ঘোষণা দেন, যে রাজ্যগুলোতে দাসপ্রথা প্রচলিত রয়েছে তা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করবেন না। তবে তাদের এটি বিলোপে উৎসাহ দেবেন।
ক্রীতদাস মালিকদের প্রতি তার ছাড়গুলো সাউথ ক্যারোলিনাকে নির্বাচনের পরপরই শুরু হওয়া ইউনিয়ন থেকে সরে যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৮৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া, লুইসিয়ানা এবং টেক্সাসও আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এরপরই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যুদ্ধের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে লিংকন দাসপ্রথা বিলোপের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকেন। অবশেষে ১৮৬৩ সালে মুক্তির ঘোষণা বা ইমানসিপেশন প্রক্লেমেশন নামে একটি নির্বাহী আদেশ ইস্যু করেন আব্রাহাম লিংকন। নথিটি কনফেডারেট রাজ্যের ক্রীতদাসদের মুক্ত করেছিল। আর এভাবেই আমেরিকায় বিলোপ হয় দাস প্রথা।
৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা আব্রাহাম লিংকন ছিলেন দীর্ঘতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি তার নিখুঁত শারীরিক শক্তি দিয়ে অন্যদের মুগ্ধ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ইলিনয়ের একজন কিংবদন্তি কুস্তিগির। তাঁর রসবোধ বন্ধুদের আনন্দ দিত।
লিংকন একজন প্রাণীপ্রেমীও ছিলেন। তাঁর সময়ের নানা ধরনের পোষা প্রাণীর জায়গা হয় হোয়াইট হাউসে। এর মধ্যে ছিল জ্যাক নামের একটি টার্কি, নানকো নামে একটি ছাগল। লিংকনের ছেলে টেড প্রায়ই নানকোকে একটি ছোট ওয়াগনে জুড়ে হোয়াইট হাউসের চারপাশে ঘুরতে দেখা যেত।
লিংকনের হাস্যরস তাঁকে নিজের বিষণ্নতা লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। তিনি বন্ধু এবং সহকর্মীদের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশির ভাগ সময় তীব্র বিষাদ এবং দুশ্চিন্তাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৮৫৮ সালের একটি সিনেট নির্বাচনের বিতর্কে একজন প্রতিপক্ষ যখন তাঁকে দুমুখো বলে ডাকে, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার যদি অন্য মুখ থাকত তবে আপনি কি মনে করেন আমি এটি পরতাম?’
লিংকনকে দ্য গ্রেট ইমানসিপেটর হিসেবে স্মরণ করা হয়। ইউনিয়ন সংরক্ষণের জন্য তার কাজ এবং দাসদের মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা দেয়। তবে কনফেডারেট সহানুভূতিশীলদের কাছে মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করা লিংকনের ভাবমূর্তিকে স্বৈরাচারী হিসেবে তুলে ধরেছিল। যা ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইলকস বুথ তাঁকে হত্যা করতে পরিচালিত করেছিল।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের একজন আব্রাহাম লিংকন। যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলোপ করেন তিনি। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন আব্রাহাম লিংকন।
কেনটাকির হজেনভিলের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম আব্রাহাম লিংকনের। স্কুলে কেবল এক বছর লেখাপড়া করেন। কিন্তু তারপরে মানসিকতা ও জ্ঞানকে উন্নত করার ক্রমাগত প্রচেষ্টায় পড়ালেখা করেন নিজে থেকেই। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তিনি ইলিনয়েতে থাকতেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে পোস্টমাস্টার, সার্ভেয়ার এবং দোকানদারসহ বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৮৩৪ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত ইলিনয় আইনসভায় এবং ১৮৪৭-৪৯ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন অ্যাটর্নি বা আইনজীবী হন। ১৮৪২ সালে বিয়ে করেন মেরি টডকে। দুজনের চারটি ছেলে সন্তান হয়।
লিংকন ১৮৫০-র দশকে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। সেটা এমন একটি সময় যখন দাসপ্রথার বিষয়ে জাতির দীর্ঘস্থায়ী বিভাজনটি আরও প্রকাশিত হয়েছে। নবগঠিত রিপাবলিকান পার্টির নেতা হিসেবে লিংকনকে রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থী মনে করা হতো, এমনকি দাসত্বের ইস্যুতেও।
তিনি সেই রাজ্যগুলোতে দাসপ্রথার বিষয়ে খুব কঠোর অবস্থানে ছিলেন না, যেখানে এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান ছিল এবং ১৮৫৪ সালের দিকে এক চিঠিতে এই অনুশীলনটিকে একটি গৌণ সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ১৮৫৮ সালের সিনেট নির্বাচনের সময় দক্ষিণ রাজ্যগুলোর মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব তৈরি হওয়ায় তিনি সতর্ক করেছিলেন, একটি ঘর থেকে বিভক্ত হয়ে কেউ কখনো দাঁড়াতে পারে না। তিনি সিনেট নির্বাচনে না জিতলেও একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন।
১৮৬০ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে দাসত্ব প্রথার বিরোধী থাকলেও এ ক্ষেত্রে খুব কঠোর অবস্থানে ছিলেন না। তিনি এমন রাজ্যে প্রথাটি শেষ করতে আগ্রহী ছিলেন না যেখানে এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান ছিল। দাসদের মুক্ত করার চেয়ে ইউনিয়নকে বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৪ লাখ পপুলার ভোটে এবং ইলেক্টরাল কলেজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন লিংকন। বলা চলে তখন তিনি কার্যত একটি টাইম বোমা হাতে নিয়েছিলেন।
নির্বাচিত হয়েই লিংকন ঘোষণা দেন, যে রাজ্যগুলোতে দাসপ্রথা প্রচলিত রয়েছে তা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করবেন না। তবে তাদের এটি বিলোপে উৎসাহ দেবেন।
ক্রীতদাস মালিকদের প্রতি তার ছাড়গুলো সাউথ ক্যারোলিনাকে নির্বাচনের পরপরই শুরু হওয়া ইউনিয়ন থেকে সরে যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৮৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া, লুইসিয়ানা এবং টেক্সাসও আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এরপরই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যুদ্ধের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে লিংকন দাসপ্রথা বিলোপের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকেন। অবশেষে ১৮৬৩ সালে মুক্তির ঘোষণা বা ইমানসিপেশন প্রক্লেমেশন নামে একটি নির্বাহী আদেশ ইস্যু করেন আব্রাহাম লিংকন। নথিটি কনফেডারেট রাজ্যের ক্রীতদাসদের মুক্ত করেছিল। আর এভাবেই আমেরিকায় বিলোপ হয় দাস প্রথা।
৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা আব্রাহাম লিংকন ছিলেন দীর্ঘতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি তার নিখুঁত শারীরিক শক্তি দিয়ে অন্যদের মুগ্ধ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ইলিনয়ের একজন কিংবদন্তি কুস্তিগির। তাঁর রসবোধ বন্ধুদের আনন্দ দিত।
লিংকন একজন প্রাণীপ্রেমীও ছিলেন। তাঁর সময়ের নানা ধরনের পোষা প্রাণীর জায়গা হয় হোয়াইট হাউসে। এর মধ্যে ছিল জ্যাক নামের একটি টার্কি, নানকো নামে একটি ছাগল। লিংকনের ছেলে টেড প্রায়ই নানকোকে একটি ছোট ওয়াগনে জুড়ে হোয়াইট হাউসের চারপাশে ঘুরতে দেখা যেত।
লিংকনের হাস্যরস তাঁকে নিজের বিষণ্নতা লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। তিনি বন্ধু এবং সহকর্মীদের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশির ভাগ সময় তীব্র বিষাদ এবং দুশ্চিন্তাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৮৫৮ সালের একটি সিনেট নির্বাচনের বিতর্কে একজন প্রতিপক্ষ যখন তাঁকে দুমুখো বলে ডাকে, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার যদি অন্য মুখ থাকত তবে আপনি কি মনে করেন আমি এটি পরতাম?’
লিংকনকে দ্য গ্রেট ইমানসিপেটর হিসেবে স্মরণ করা হয়। ইউনিয়ন সংরক্ষণের জন্য তার কাজ এবং দাসদের মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা দেয়। তবে কনফেডারেট সহানুভূতিশীলদের কাছে মুক্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করা লিংকনের ভাবমূর্তিকে স্বৈরাচারী হিসেবে তুলে ধরেছিল। যা ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইলকস বুথ তাঁকে হত্যা করতে পরিচালিত করেছিল।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, যা গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবস্থিত। এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে পাওয়া নিদর্শনগুলো নিয়েই এটি গড়ে উঠেছে। এই জাদুঘরটি নির্মিত হয়েছে অ্যাক্রোপোলিস শিলা এবং তার চারপাশের ঢাল থেকে সংগৃহীত প্রতিটি নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য।
২০ ঘণ্টা আগে১৮৬২ সালের ২০ মে ওয়ারশে ন্যাশনাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে ‘মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস, ওয়ারশ’ নামে। ১৯১৬ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম, ওয়ারশ’। বর্তমানে সংগ্রহ রাখা আছে জেরুজালেম অ্যাভিনিউয়ে, স্থপতি তাদেউশ তোলভিনস্কির নকশায় নির্মিত ভবনে। নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন...
৬ দিন আগেহ্যাঁ, আমি ভেবেচিন্তেই ফিরে এলাম। ফিরে যে আসব, সে চিন্তা আমার সব সময়ই ছিল। [বিদেশে] থাকবার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। ওটা তো আমার কাজের জায়গা না। তা ছাড়া, আগেই বলেছি, বাচ্চাদের স্কুল নিয়ে আমার নানা রকম চিন্তা ছিল। বাচ্চাদের এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের এসথেটিক সেন্স ডেভেলপ করবে, এ রকম একটা...
৭ দিন আগেআজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। জীবনে নানাভাবেই বাঁশ খেয়েই চলেছি, আক্ষরিক অর্থে না হলেও ভাবগত দিক থেকে তো বটেই। এই রুঢ় জীবন বাস্তবতায় সব মানুষকেই কখনো না কখনো একটু-আধটু বাঁশ খেতেই হয়। তো বাঁশ দিবসে কাজের ফাঁকে আমার বন্ধু কফিলের সঙ্গে এই ‘বাঁশ খাওয়া’ নিয়েই আলাপ করছিলাম।
৭ দিন আগে