সম্পাদকীয়
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল। ওই অবরোধের দিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন নামের এক যুবক। তাঁর বুকে-পিঠে সাদা রঙে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লেখা থাকায় সবার নজর কেড়েছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনারও নজরে পড়েছিলেন নূর হোসেন। শেখ হাসিনা একটি হুডখোলা গাড়িতে করে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। গাড়িতে চড়ে জনতার মধ্য দিয়ে চলার সময় তাঁর চোখ গিয়েছিল নূর হোসেনের গায়ে লেখা ওই স্লোগানের দিকে। অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল তাঁর মন। নূর হোসেনকে কাছে ডেকে তাঁকে সতর্কও করেছিলেন।
ঢাকা জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টের কাছে মিছিলটি পৌঁছালে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেনের স্লোগান অঙ্কিত বুক-পিঠ ঝাঁজরা হয়েছিল মুহূর্তে। নূর হোসেনের মৃত্যু দেশের মানুষকে প্রবলভাবে আলোড়িত করেছিল। দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান তাঁকে নিয়ে ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ শিরোনামে কবিতা লিখেছেন।
নূর হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর তাঁর পরিবার স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার বনগ্রাম রোডে আসে। বাবা মুজিবুর রহমান ছিলেন পেশায় অটোরিকশাচালক। তাঁর মায়ের নাম মরিয়ম বিবি। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর নূর হোসেন পড়াশোনা বন্ধ করে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯১ সালে নূর হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দুই টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। প্রতিবছরের ১০ নভেম্বর ‘নূর হোসেন দিবস’ পালন করা হয়। তাঁর নামানুসারে সেই জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ নূর হোসেনের একটি ম্যুরাল রয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচার নিপাত গেলেও গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে?
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল। ওই অবরোধের দিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন নামের এক যুবক। তাঁর বুকে-পিঠে সাদা রঙে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লেখা থাকায় সবার নজর কেড়েছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনারও নজরে পড়েছিলেন নূর হোসেন। শেখ হাসিনা একটি হুডখোলা গাড়িতে করে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। গাড়িতে চড়ে জনতার মধ্য দিয়ে চলার সময় তাঁর চোখ গিয়েছিল নূর হোসেনের গায়ে লেখা ওই স্লোগানের দিকে। অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল তাঁর মন। নূর হোসেনকে কাছে ডেকে তাঁকে সতর্কও করেছিলেন।
ঢাকা জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টের কাছে মিছিলটি পৌঁছালে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেনের স্লোগান অঙ্কিত বুক-পিঠ ঝাঁজরা হয়েছিল মুহূর্তে। নূর হোসেনের মৃত্যু দেশের মানুষকে প্রবলভাবে আলোড়িত করেছিল। দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান তাঁকে নিয়ে ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ শিরোনামে কবিতা লিখেছেন।
নূর হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর তাঁর পরিবার স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার বনগ্রাম রোডে আসে। বাবা মুজিবুর রহমান ছিলেন পেশায় অটোরিকশাচালক। তাঁর মায়ের নাম মরিয়ম বিবি। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর নূর হোসেন পড়াশোনা বন্ধ করে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯১ সালে নূর হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দুই টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। প্রতিবছরের ১০ নভেম্বর ‘নূর হোসেন দিবস’ পালন করা হয়। তাঁর নামানুসারে সেই জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ নূর হোসেনের একটি ম্যুরাল রয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচার নিপাত গেলেও গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে?
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৩ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৪ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
১১ দিন আগে