সম্পাদকীয়
উপমহাদেশের অন্যতম উর্দু কবি মির্জা গালিবের পুরো নাম মির্জা আব্দুল্লাহ বেগ খান গালিব। তাঁকে উর্দু সাহিত্যের সম্রাটও বলা হয়। তিনি কখনো জীবিকার জন্য কাজ করেননি। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ছিল শরাব বা মদ। খেলতেন জুয়াও। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, ধারকর্জ করে অথবা কোনো বন্ধুর আর্থিক সহযোগিতায় জীবন যাপন করেছেন। তাঁর খ্যাতি আসে মৃত্যুর পর।
কবি বিয়ে করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সেই বিয়ে সুখের হয়নি। এরপর তিনি প্রেমে পড়েন অন্য এক নারীর। সেই প্রেম পরিণতি পায়নি। প্রেম, জীবন, পৃথিবী, ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়কে কবিতায় মেলে ধরেছেন মির্জা গালিব। তাঁর কাব্যে উঠে এসেছে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কথাও।
আজীবন অর্থকষ্টে ভোগা, ঋণগ্রস্ত কবির ব্যক্তিজীবনে সাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁর কাব্যস্রোতকে থামাতে পারেনি। ছিলেন সমসাময়িক অন্য কবিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। ধর্মের প্রতি ছিলেন নিস্পৃহ। সেই সময়ের অধিকাংশ কবি জীবন ও বাস্তবতার বাইরে কাব্য রচনা করতে পারতেন না। গালিবের কবিতায়ই প্রথম ফুটে ওঠে জীবনের সুর, বাস্তবতার আঘাত, নিয়তি এবং চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণ।
জীবনের অন্তিম পর্যায়ে সিপাহি বিদ্রোহের পর গালিবের আশ্রয়স্থল হয় রামপুরের নবাব ইউসুফ আলি খানের কাছে। বরাদ্দ হয় মাসিক বৃত্তি। কিন্তু সিপাহি বিদ্রোহের আগুনে দিল্লির স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য, সওদাগরি, বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা কেউ জানত না। জোড়াতালি দিয়ে ডাল-রুটির ব্যবস্থা করতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু মদ ছাড়া কেমন করে জীবন কাটাবেন গালিব! আর এই মদের কারণেই মহাজনেরা তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ পর্যন্ত করেছেন।
সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে ‘দাবির-উল-মালিক’ ও ‘নাজিম-উদ-দৌলা’ উপাধি দেওয়া হয়। ১৭৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি আগ্রা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
উপমহাদেশের অন্যতম উর্দু কবি মির্জা গালিবের পুরো নাম মির্জা আব্দুল্লাহ বেগ খান গালিব। তাঁকে উর্দু সাহিত্যের সম্রাটও বলা হয়। তিনি কখনো জীবিকার জন্য কাজ করেননি। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ছিল শরাব বা মদ। খেলতেন জুয়াও। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, ধারকর্জ করে অথবা কোনো বন্ধুর আর্থিক সহযোগিতায় জীবন যাপন করেছেন। তাঁর খ্যাতি আসে মৃত্যুর পর।
কবি বিয়ে করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সেই বিয়ে সুখের হয়নি। এরপর তিনি প্রেমে পড়েন অন্য এক নারীর। সেই প্রেম পরিণতি পায়নি। প্রেম, জীবন, পৃথিবী, ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়কে কবিতায় মেলে ধরেছেন মির্জা গালিব। তাঁর কাব্যে উঠে এসেছে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কথাও।
আজীবন অর্থকষ্টে ভোগা, ঋণগ্রস্ত কবির ব্যক্তিজীবনে সাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁর কাব্যস্রোতকে থামাতে পারেনি। ছিলেন সমসাময়িক অন্য কবিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। ধর্মের প্রতি ছিলেন নিস্পৃহ। সেই সময়ের অধিকাংশ কবি জীবন ও বাস্তবতার বাইরে কাব্য রচনা করতে পারতেন না। গালিবের কবিতায়ই প্রথম ফুটে ওঠে জীবনের সুর, বাস্তবতার আঘাত, নিয়তি এবং চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণ।
জীবনের অন্তিম পর্যায়ে সিপাহি বিদ্রোহের পর গালিবের আশ্রয়স্থল হয় রামপুরের নবাব ইউসুফ আলি খানের কাছে। বরাদ্দ হয় মাসিক বৃত্তি। কিন্তু সিপাহি বিদ্রোহের আগুনে দিল্লির স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য, সওদাগরি, বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা কেউ জানত না। জোড়াতালি দিয়ে ডাল-রুটির ব্যবস্থা করতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু মদ ছাড়া কেমন করে জীবন কাটাবেন গালিব! আর এই মদের কারণেই মহাজনেরা তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ পর্যন্ত করেছেন।
সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে ‘দাবির-উল-মালিক’ ও ‘নাজিম-উদ-দৌলা’ উপাধি দেওয়া হয়। ১৭৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি আগ্রা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৬ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৭ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৭ দিন আগে