সম্পাদকীয়
রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের পশ্চিম বাংলার প্রতিটি জেলা শহরে রবীন্দ্রভবন তৈরি হয়েছিল। ভারত সরকারও প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে একটি রবীন্দ্রভবন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। বহু বিদেশি অতিথি এসেছিলেন উৎসবে যোগ দিতে। সকালবেলা শাঁখ বাজিয়ে, প্রভাতফেরি দিয়ে শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠান। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ দিয়ে শুভ্রবসনে যে প্রভাতফেরির দলটি গান গাইতে গাইতে যাচ্ছিল, তার সামনের দিকে ছিলেন দীর্ঘকায় তরুণ সত্যজিৎ রায়। সত্যজিৎ রায়কে সম্ভবত আর কোনো মিছিলে দেখা যায়নি।
সে সময় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সংকটকাল। ভারতের চতুর্দিকে মার খাচ্ছে বাঙালিরা। রয়েছে উদ্বাস্তুদের স্রোত। প্রাদেশিকতা বাড়ছে। ঠিক সে সময়ই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়েছিল এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। গান গাওয়া ছেড়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনাটা ছিল এ রকম: জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মহাজাতি সদনের বিশাল উৎসবে গান গাইবার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কয়েকজন কবি। এই ‘গায়ক’দের মধ্যে ছিলেন সুনীল, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়সহ কয়েকজন।
সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাঁরা গান শুরু করলেন। সামনে দর্শক–শ্রোতার সংখ্যা অনেক। গান গাইতে গাইতেই তাঁরা লক্ষ করলেন, দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ চিৎকার করে কিছু বলার চেষ্টা করছে। কারণটা বুঝতে পারছেন না গায়কেরা। সুর তো ভুল হচ্ছে না। কয়েক দিন রিহার্সেলও দেওয়া হয়েছে। চ্যাঁচামেচি হচ্ছে কেন? লোকেরা কি থামতে বলছে? গাইছেন ভালো, তাহলে থামতে বলবে কেন?
এ রকম সময় চেয়ার তুলে মারতে এল কয়েকজন। আয়োজকেরা পর্দা ফেলে পেছনের দরজা দিয়ে গায়কদের বের করে দিলেন। প্রাণ বাঁচাবার জন্য কবিরা দিলেন দৌড়।
কেন তাদের প্রতি দর্শক-শ্রোতারা খেপে উঠেছিলেন, সে কথা জানা গেল পরে। তাঁরা প্যান্ট-শার্ট পরে গাইতে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গান। এটা কারও কারও পছন্দ হয়নি। তাদের ধারণা, রবীন্দ্রসংগীত শুধু ধূতি-পাঞ্জাবি পরেই গাইতে হয়। প্যান্ট–শার্ট পরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলে তার অপমান হয়, এ কথা সুনীলেরা জানবেন কী করে?
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একসময় এই বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে অনেককেই।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২০৩-২০৪
রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের পশ্চিম বাংলার প্রতিটি জেলা শহরে রবীন্দ্রভবন তৈরি হয়েছিল। ভারত সরকারও প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে একটি রবীন্দ্রভবন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। বহু বিদেশি অতিথি এসেছিলেন উৎসবে যোগ দিতে। সকালবেলা শাঁখ বাজিয়ে, প্রভাতফেরি দিয়ে শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠান। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ দিয়ে শুভ্রবসনে যে প্রভাতফেরির দলটি গান গাইতে গাইতে যাচ্ছিল, তার সামনের দিকে ছিলেন দীর্ঘকায় তরুণ সত্যজিৎ রায়। সত্যজিৎ রায়কে সম্ভবত আর কোনো মিছিলে দেখা যায়নি।
সে সময় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সংকটকাল। ভারতের চতুর্দিকে মার খাচ্ছে বাঙালিরা। রয়েছে উদ্বাস্তুদের স্রোত। প্রাদেশিকতা বাড়ছে। ঠিক সে সময়ই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়েছিল এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। গান গাওয়া ছেড়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনাটা ছিল এ রকম: জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মহাজাতি সদনের বিশাল উৎসবে গান গাইবার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কয়েকজন কবি। এই ‘গায়ক’দের মধ্যে ছিলেন সুনীল, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়সহ কয়েকজন।
সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাঁরা গান শুরু করলেন। সামনে দর্শক–শ্রোতার সংখ্যা অনেক। গান গাইতে গাইতেই তাঁরা লক্ষ করলেন, দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ কেউ চিৎকার করে কিছু বলার চেষ্টা করছে। কারণটা বুঝতে পারছেন না গায়কেরা। সুর তো ভুল হচ্ছে না। কয়েক দিন রিহার্সেলও দেওয়া হয়েছে। চ্যাঁচামেচি হচ্ছে কেন? লোকেরা কি থামতে বলছে? গাইছেন ভালো, তাহলে থামতে বলবে কেন?
এ রকম সময় চেয়ার তুলে মারতে এল কয়েকজন। আয়োজকেরা পর্দা ফেলে পেছনের দরজা দিয়ে গায়কদের বের করে দিলেন। প্রাণ বাঁচাবার জন্য কবিরা দিলেন দৌড়।
কেন তাদের প্রতি দর্শক-শ্রোতারা খেপে উঠেছিলেন, সে কথা জানা গেল পরে। তাঁরা প্যান্ট-শার্ট পরে গাইতে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গান। এটা কারও কারও পছন্দ হয়নি। তাদের ধারণা, রবীন্দ্রসংগীত শুধু ধূতি-পাঞ্জাবি পরেই গাইতে হয়। প্যান্ট–শার্ট পরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলে তার অপমান হয়, এ কথা সুনীলেরা জানবেন কী করে?
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একসময় এই বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে অনেককেই।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২০৩-২০৪
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
১১ ঘণ্টা আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৪ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১১ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২১ দিন আগে