সম্পাদকীয়
আবুল হাসানের কথা বলতে গেলে ইংরেজ কবি জন কিটস আর বাংলার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের নাম মনে পড়ে অনিবার্যভাবেই। তাঁরা তিনজনই মারা গিয়েছিলেন কুড়ি থেকে তিরিশ বছরের সীমার মধ্যে। কিন্তু তিনজনই কী অসাধারণ দীপ্তি ছড়াচ্ছেন কবিতায়!
সংবাদে ‘আবুল হোসেন’ নামেই তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তিনি যখন দেখলেন, চল্লিশের দশকের একজন বিখ্যাত কবির নামই আবুল হোসেন, তখন হোসেনকে হাসানে রূপান্তরিত করলেন তিনি। মাত্র তিনটি কাব্যগ্রন্থ তাঁর, ‘রাজা যায় রাজা আসে’, ‘যে তুমি হরণ করো’ আর ‘পৃথক পালঙ্ক’। কিন্তু তিনটি কাব্যগ্রন্থ নিয়েই যেন তিনি জয় করে নিলেন পাঠক-হৃদয়। জীবনানন্দ দাশসহ আরও কয়েকজন কবির প্রভাব দেখা গেছে লেখালেখির শুরুতে, কিন্তু এরপর তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিজের ভাষা। আবুল হাসানকে নিয়ে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘চূড়ান্ত ব্যবচ্ছেদ করলে তাঁর ভেতরে মায়া ও মমতা, মানুষের জন্য দুঃখবোধ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না।’ আবুল হাসানের কবিতাগুলো পড়লে অগ্রজ কবির এই সনদ যে পুরোপুরি খাঁটি, তা বুঝতে অসুবিধা হবে না।
আবুল হাসানের প্রবল বন্ধুত্ব ছিল কবি নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে। এরপর সুরাইয়া খানম ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন তাঁকে এধার থেকে ওধার। আবুল হাসানের উড়নচণ্ডী জীবনযাপনকে বশে আনতে চেয়েছিলেন সুরাইয়া। তিনি নিজেই তাঁর অসাধারণ চোখা জীবনযাপন দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন আলোচিত।
‘নিঃসঙ্গতা’ কবিতার ‘অতটুকু চায়নি বালিকা’, ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ কবিতার ‘লক্ষ্মী বুটিকে আমি আর কোথাও দেখি না’ কিংবা ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ কবিতাগুলোর মাঝখানে আবুল হাসানকে পাওয়া যায়।
দেশভাগের বছর ৪ আগস্ট তাঁর জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি গ্রামে। পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে যোগ দেন ইত্তেফাকের বার্তা বিভাগে, স্বাধীনতার পর গণবাংলা, দৈনিক জনপদে কাজ করেছেন। কিন্তু সাংবাদিক নয়, কবি হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মারা যান। তখন তাঁর বয়স ছাব্বিশ ছাড়িয়ে সাতাশের দিকে এগোচ্ছে।
আবুল হাসানের কথা বলতে গেলে ইংরেজ কবি জন কিটস আর বাংলার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের নাম মনে পড়ে অনিবার্যভাবেই। তাঁরা তিনজনই মারা গিয়েছিলেন কুড়ি থেকে তিরিশ বছরের সীমার মধ্যে। কিন্তু তিনজনই কী অসাধারণ দীপ্তি ছড়াচ্ছেন কবিতায়!
সংবাদে ‘আবুল হোসেন’ নামেই তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তিনি যখন দেখলেন, চল্লিশের দশকের একজন বিখ্যাত কবির নামই আবুল হোসেন, তখন হোসেনকে হাসানে রূপান্তরিত করলেন তিনি। মাত্র তিনটি কাব্যগ্রন্থ তাঁর, ‘রাজা যায় রাজা আসে’, ‘যে তুমি হরণ করো’ আর ‘পৃথক পালঙ্ক’। কিন্তু তিনটি কাব্যগ্রন্থ নিয়েই যেন তিনি জয় করে নিলেন পাঠক-হৃদয়। জীবনানন্দ দাশসহ আরও কয়েকজন কবির প্রভাব দেখা গেছে লেখালেখির শুরুতে, কিন্তু এরপর তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিজের ভাষা। আবুল হাসানকে নিয়ে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘চূড়ান্ত ব্যবচ্ছেদ করলে তাঁর ভেতরে মায়া ও মমতা, মানুষের জন্য দুঃখবোধ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না।’ আবুল হাসানের কবিতাগুলো পড়লে অগ্রজ কবির এই সনদ যে পুরোপুরি খাঁটি, তা বুঝতে অসুবিধা হবে না।
আবুল হাসানের প্রবল বন্ধুত্ব ছিল কবি নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে। এরপর সুরাইয়া খানম ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন তাঁকে এধার থেকে ওধার। আবুল হাসানের উড়নচণ্ডী জীবনযাপনকে বশে আনতে চেয়েছিলেন সুরাইয়া। তিনি নিজেই তাঁর অসাধারণ চোখা জীবনযাপন দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন আলোচিত।
‘নিঃসঙ্গতা’ কবিতার ‘অতটুকু চায়নি বালিকা’, ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ কবিতার ‘লক্ষ্মী বুটিকে আমি আর কোথাও দেখি না’ কিংবা ‘ঝিনুক নীরবে সহো’ কবিতাগুলোর মাঝখানে আবুল হাসানকে পাওয়া যায়।
দেশভাগের বছর ৪ আগস্ট তাঁর জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি গ্রামে। পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে যোগ দেন ইত্তেফাকের বার্তা বিভাগে, স্বাধীনতার পর গণবাংলা, দৈনিক জনপদে কাজ করেছেন। কিন্তু সাংবাদিক নয়, কবি হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মারা যান। তখন তাঁর বয়স ছাব্বিশ ছাড়িয়ে সাতাশের দিকে এগোচ্ছে।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৩ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১০ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২০ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৪ দিন আগে