সম্পাদকীয়
আমি মনে করি, ব্যক্তি আমিকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে আমার কাজকে। গোটা জীবন ধরে করা কাজ, মানবাত্মার স্বেদ ও যন্ত্রণার মধ্য থেকে উঠে আসা কাজ, যার উদ্দেশ্য কোনো লাভ বা গৌরব অর্জন নয়। যার লক্ষ্য মানবাত্মার টুকরো-টাকরো কুড়িয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা, যা আগে ছিল না। ফলে এই পুরস্কার সম্পর্কে আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো নাছোড়ভাবে ঘিরে থাকা বিশ্বজনীন এক ভয়, যা মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না। নিজের ব্যক্তিসত্তার সংকট আর তত গুরুত্বপূর্ণ থাকছে না। একই প্রশ্ন বারবার ফিরে আসছে—কখন আমি ধ্বংস হয়ে যাব? এর ফলে একজন যুবক বা যুবতী লেখক যখন লিখতে আসছেন, তাঁর নিজের সঙ্গে নিজের হৃদয়জনিত টানাপোড়েনের কথা ভুলে যাচ্ছেন, অথচ শুধু তাঁর থেকেই তো ভালো লেখা তৈরি হওয়া সম্ভব। কারণ, সেই স্বেদ ও যন্ত্রণাই সুসাহিত্যের জন্ম দেয়। আজ একজন লেখককে আবার তা শিখতে হবে। নিজেকে শেখাতে হবে এটাই যে ভীত হয়ে পড়ার মতো হীন কাজ আর নেই। নিজের কর্মশালায় হৃদয়ের সেই চিরন্তন সত্যকেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ, সেই সত্যকে বাদ দিলে যেকোনো লেখার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। লেখায় মিশে থাকার কথা ভালোবাসা, ত্যাগ, সম্মান, গর্ব, সহমর্মিতা। যতক্ষণ না তিনি তা করতে পারছেন, তাঁর শ্রম বিফলে যাবে। তত দিন তিনি ভালোবাসায় নয়, স্রেফ লোভতাড়িত হয়ে লিখে চলবেন। লিখবেন পরাজয়ের কথা, যার থেকে কোনো মূল্যই কেউ কুড়িয়ে পাবে না। তাঁর বেদনা কোনো সর্বজনীনতাকে স্পর্শ করতে পারবে না, কোনো দাগ রেখে যেতে পারবে না। হৃদয় নয়, শুধু শারীরিক গ্রন্থি থেকে তৈরি হবে সেই সব লেখা।
যতক্ষণ না এ বিষয়গুলো ফের শিখে উঠতে পারছেন একজন লেখক, ততক্ষণ তাঁকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মানুষের শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
মার্কিন সাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনার ১৯৫০ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন
আমি মনে করি, ব্যক্তি আমিকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে আমার কাজকে। গোটা জীবন ধরে করা কাজ, মানবাত্মার স্বেদ ও যন্ত্রণার মধ্য থেকে উঠে আসা কাজ, যার উদ্দেশ্য কোনো লাভ বা গৌরব অর্জন নয়। যার লক্ষ্য মানবাত্মার টুকরো-টাকরো কুড়িয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা, যা আগে ছিল না। ফলে এই পুরস্কার সম্পর্কে আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে।
আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো নাছোড়ভাবে ঘিরে থাকা বিশ্বজনীন এক ভয়, যা মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না। নিজের ব্যক্তিসত্তার সংকট আর তত গুরুত্বপূর্ণ থাকছে না। একই প্রশ্ন বারবার ফিরে আসছে—কখন আমি ধ্বংস হয়ে যাব? এর ফলে একজন যুবক বা যুবতী লেখক যখন লিখতে আসছেন, তাঁর নিজের সঙ্গে নিজের হৃদয়জনিত টানাপোড়েনের কথা ভুলে যাচ্ছেন, অথচ শুধু তাঁর থেকেই তো ভালো লেখা তৈরি হওয়া সম্ভব। কারণ, সেই স্বেদ ও যন্ত্রণাই সুসাহিত্যের জন্ম দেয়। আজ একজন লেখককে আবার তা শিখতে হবে। নিজেকে শেখাতে হবে এটাই যে ভীত হয়ে পড়ার মতো হীন কাজ আর নেই। নিজের কর্মশালায় হৃদয়ের সেই চিরন্তন সত্যকেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ, সেই সত্যকে বাদ দিলে যেকোনো লেখার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। লেখায় মিশে থাকার কথা ভালোবাসা, ত্যাগ, সম্মান, গর্ব, সহমর্মিতা। যতক্ষণ না তিনি তা করতে পারছেন, তাঁর শ্রম বিফলে যাবে। তত দিন তিনি ভালোবাসায় নয়, স্রেফ লোভতাড়িত হয়ে লিখে চলবেন। লিখবেন পরাজয়ের কথা, যার থেকে কোনো মূল্যই কেউ কুড়িয়ে পাবে না। তাঁর বেদনা কোনো সর্বজনীনতাকে স্পর্শ করতে পারবে না, কোনো দাগ রেখে যেতে পারবে না। হৃদয় নয়, শুধু শারীরিক গ্রন্থি থেকে তৈরি হবে সেই সব লেখা।
যতক্ষণ না এ বিষয়গুলো ফের শিখে উঠতে পারছেন একজন লেখক, ততক্ষণ তাঁকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মানুষের শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
মার্কিন সাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনার ১৯৫০ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন
যতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৯ ঘণ্টা আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৭ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৮ দিন আগে