সম্পাদকীয়
ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ১৯২৮ সালে। সেবার সেই সম্মেলনের অতিথি হয়ে এসেছিলেন নজরুল। উঠেছিলেন বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনের বাড়ি বর্ধমান হাউসে। সে সময়ই ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় নজরুলের। নজরুল তখন হাত দেখায় পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। ফজিলাতুন্নেসার হাতও দেখেছিলেন তিনি।
ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী। নজরুল প্রায় আধঘণ্টা ধরে গভীর মনোযোগ দিয়ে ফজিলাতুন্নেসার হাত দেখেছিলেন। হাতের মস্তিষ্করেখা, জীবনরেখা, হৃদয়রেখাসহ নানা রেখা দেখলেন নজরুল। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল নির্ণয় করতে পারলেন না। একজন জ্যোতিষীর মতো সূর্য-চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত তারাদের অবস্থান টুকে নিলেন। রাতে বিশদভাবে পরীক্ষা করবেন বলে জানালেন।
এরপর ঘটল এক রহস্যময় ঘটনা। রাতে খাওয়ার পর কাজী মোতাহার হোসেন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোর হওয়ার আগে ঘুম ভেঙে গেলে দেখলেন, পাশে নজরুল নেই। কোথায় গেলেন তিনি? সকালে নাশতা খাওয়ার সময় নজরুল ফিরে এসে এক অদ্ভুত গল্প শোনালেন। নজরুল বললেন, রাতে ঘুমিয়ে তিনি এক জ্যোতির্ময় নারীকে দেখেছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করায় সেই নারী একটি আলোর রশ্মিতে পরিণত হলেন। বিস্ময় ও কৌতূহল নিয়ে নজরুল সেদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই আলোকরশ্মি নজরুলকে নিয়ে গেল ফজিলাতুন্নেসার ঘরে। ফজিলাতুন্নেসা ঘরের দরজা খুলে কবিকে অভ্যর্থনা জানালেন। কবি প্রেম নিবেদন করলেন, ফজিলাতুন্নেসা তা প্রত্যাখ্যান করলেন।
এই রহস্যময় স্বপ্ন থেকে প্রকৃত ঘটনা আজও উদ্ধার হয়নি। তবে কবি সে রাতে ফজিলাতুন্নেসার ঘরে গিয়েছিলেন বলেই মনে হয়। কারণ, ফজিলাতুন্নেসার গলার লম্বা মটরমালার হারটা ছিঁড়ে দুখান হয়ে গিয়েছিল। অত্যন্ত জোরাজুরি করা না হলে এই হার ছিঁড়ে যাওয়ার কথা নয়।
ফজিলাতুন্নেসা যে কবির ওপর চটেছিলেন এবং কখনোই তাঁকে ক্ষমা করেননি, তা তাঁর পরবর্তী আচরণ থেকেই বোঝা যায়। কবি ‘সঞ্চিতা’ উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন ফজিলাতুন্নেসাকে। প্রত্যাখ্যাত হয়ে পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।
সূত্র: কাজী মোতাহার হোসেন, আত্মস্মৃতি, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪
ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ১৯২৮ সালে। সেবার সেই সম্মেলনের অতিথি হয়ে এসেছিলেন নজরুল। উঠেছিলেন বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনের বাড়ি বর্ধমান হাউসে। সে সময়ই ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় নজরুলের। নজরুল তখন হাত দেখায় পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। ফজিলাতুন্নেসার হাতও দেখেছিলেন তিনি।
ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী। নজরুল প্রায় আধঘণ্টা ধরে গভীর মনোযোগ দিয়ে ফজিলাতুন্নেসার হাত দেখেছিলেন। হাতের মস্তিষ্করেখা, জীবনরেখা, হৃদয়রেখাসহ নানা রেখা দেখলেন নজরুল। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল নির্ণয় করতে পারলেন না। একজন জ্যোতিষীর মতো সূর্য-চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত তারাদের অবস্থান টুকে নিলেন। রাতে বিশদভাবে পরীক্ষা করবেন বলে জানালেন।
এরপর ঘটল এক রহস্যময় ঘটনা। রাতে খাওয়ার পর কাজী মোতাহার হোসেন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোর হওয়ার আগে ঘুম ভেঙে গেলে দেখলেন, পাশে নজরুল নেই। কোথায় গেলেন তিনি? সকালে নাশতা খাওয়ার সময় নজরুল ফিরে এসে এক অদ্ভুত গল্প শোনালেন। নজরুল বললেন, রাতে ঘুমিয়ে তিনি এক জ্যোতির্ময় নারীকে দেখেছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করায় সেই নারী একটি আলোর রশ্মিতে পরিণত হলেন। বিস্ময় ও কৌতূহল নিয়ে নজরুল সেদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই আলোকরশ্মি নজরুলকে নিয়ে গেল ফজিলাতুন্নেসার ঘরে। ফজিলাতুন্নেসা ঘরের দরজা খুলে কবিকে অভ্যর্থনা জানালেন। কবি প্রেম নিবেদন করলেন, ফজিলাতুন্নেসা তা প্রত্যাখ্যান করলেন।
এই রহস্যময় স্বপ্ন থেকে প্রকৃত ঘটনা আজও উদ্ধার হয়নি। তবে কবি সে রাতে ফজিলাতুন্নেসার ঘরে গিয়েছিলেন বলেই মনে হয়। কারণ, ফজিলাতুন্নেসার গলার লম্বা মটরমালার হারটা ছিঁড়ে দুখান হয়ে গিয়েছিল। অত্যন্ত জোরাজুরি করা না হলে এই হার ছিঁড়ে যাওয়ার কথা নয়।
ফজিলাতুন্নেসা যে কবির ওপর চটেছিলেন এবং কখনোই তাঁকে ক্ষমা করেননি, তা তাঁর পরবর্তী আচরণ থেকেই বোঝা যায়। কবি ‘সঞ্চিতা’ উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন ফজিলাতুন্নেসাকে। প্রত্যাখ্যাত হয়ে পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।
সূত্র: কাজী মোতাহার হোসেন, আত্মস্মৃতি, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪
আমাদের এলাকায় ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন। সুধাংশু বিমল দত্তের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে দু’মাইল তিন মাইল দূরে।
১ ঘণ্টা আগেএটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, যা গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবস্থিত। এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে পাওয়া নিদর্শনগুলো নিয়েই এটি গড়ে উঠেছে। এই জাদুঘরটি নির্মিত হয়েছে অ্যাক্রোপোলিস শিলা এবং তার চারপাশের ঢাল থেকে সংগৃহীত প্রতিটি নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য।
১ দিন আগে১৮৬২ সালের ২০ মে ওয়ারশে ন্যাশনাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে ‘মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস, ওয়ারশ’ নামে। ১৯১৬ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম, ওয়ারশ’। বর্তমানে সংগ্রহ রাখা আছে জেরুজালেম অ্যাভিনিউয়ে, স্থপতি তাদেউশ তোলভিনস্কির নকশায় নির্মিত ভবনে। নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন...
৬ দিন আগেহ্যাঁ, আমি ভেবেচিন্তেই ফিরে এলাম। ফিরে যে আসব, সে চিন্তা আমার সব সময়ই ছিল। [বিদেশে] থাকবার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। ওটা তো আমার কাজের জায়গা না। তা ছাড়া, আগেই বলেছি, বাচ্চাদের স্কুল নিয়ে আমার নানা রকম চিন্তা ছিল। বাচ্চাদের এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের এসথেটিক সেন্স ডেভেলপ করবে, এ রকম একটা...
৭ দিন আগে