সম্পাদকীয়
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন ছিলেন লোকসংগীত ও লোকসাহিত্য সংগ্রাহক এবং লোক সাহিত্যবিশারদ। আমরা লোকসংগীত বলে যে গানগুলোর কথা জানি, যে কবি ও গীতিকারদের কথা জানি, তিনি তাঁদের গান সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি না হলে এসব সৃষ্টি হয়তো বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেত। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি লোকসাহিত্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।
লোকসাহিত্য সংগ্রহে তাঁর আগ্রহ সৃষ্টি হয় প্রবাসী পত্রিকা পাঠে। পত্রিকাটির এক সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগৃহীত লালনের গান ছাপা হয়, যা কিশোর মনসুর উদ্দিনকে লালনের গান সংগ্রহে অনুপ্রেরণা জোগায়। তাঁর প্রথম সংগ্রহ নিজ গ্রামের অধিবাসী প্রেমদাস বৈরাগীর কাছ থেকে সংগৃহীত লালনের একটি গান পাঠিয়ে দেন ‘প্রবাসী’ পত্রিকায়, যা ছাপা হয়েছিল ১৩৩০ সালের আশ্বিন সংখ্যায়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত পত্রালাপ ছিল। মনসুর উদ্দিনের ‘হারামণি’ সংকলনের প্রথম খণ্ডে ভূমিকা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
তাঁর সংগৃহীত গানের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের বেশি। ১৯৩১ থেকে ১৯৮৪ সাল—এই ৫৩ বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন ধরনের গান। সেগুলো প্রকাশ করেছিলেন ‘হারামণি’র ১৩ খণ্ডে। ‘হারামণি’র ষষ্ঠ খণ্ডে লালনের দুই শতাধিক গান রয়েছে। এ ছাড়া হাসন রাজা, পাঞ্জু শাহ, শিতালং শাহ, আরকুম শাহ, মনোমোহন, রাধারমণ, দ্বিজ দাস, শেখ ভানু, কুরবান, আবদুল জব্বার, মদন গানবী, শাহ মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রমুখের গান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
তিনি ১৯২৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর এখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে তিনি এমএ পাস করেন। তাঁর আগে আর কোনো মুসলিম ছাত্র প্রথম শ্রেণি পাননি।
তাঁকে বাংলার লোকসাহিত্যের মুকুটহীন সম্রাট বলা হয়। তিনি ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন ছিলেন লোকসংগীত ও লোকসাহিত্য সংগ্রাহক এবং লোক সাহিত্যবিশারদ। আমরা লোকসংগীত বলে যে গানগুলোর কথা জানি, যে কবি ও গীতিকারদের কথা জানি, তিনি তাঁদের গান সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি না হলে এসব সৃষ্টি হয়তো বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেত। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি লোকসাহিত্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।
লোকসাহিত্য সংগ্রহে তাঁর আগ্রহ সৃষ্টি হয় প্রবাসী পত্রিকা পাঠে। পত্রিকাটির এক সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগৃহীত লালনের গান ছাপা হয়, যা কিশোর মনসুর উদ্দিনকে লালনের গান সংগ্রহে অনুপ্রেরণা জোগায়। তাঁর প্রথম সংগ্রহ নিজ গ্রামের অধিবাসী প্রেমদাস বৈরাগীর কাছ থেকে সংগৃহীত লালনের একটি গান পাঠিয়ে দেন ‘প্রবাসী’ পত্রিকায়, যা ছাপা হয়েছিল ১৩৩০ সালের আশ্বিন সংখ্যায়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত পত্রালাপ ছিল। মনসুর উদ্দিনের ‘হারামণি’ সংকলনের প্রথম খণ্ডে ভূমিকা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
তাঁর সংগৃহীত গানের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের বেশি। ১৯৩১ থেকে ১৯৮৪ সাল—এই ৫৩ বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন ধরনের গান। সেগুলো প্রকাশ করেছিলেন ‘হারামণি’র ১৩ খণ্ডে। ‘হারামণি’র ষষ্ঠ খণ্ডে লালনের দুই শতাধিক গান রয়েছে। এ ছাড়া হাসন রাজা, পাঞ্জু শাহ, শিতালং শাহ, আরকুম শাহ, মনোমোহন, রাধারমণ, দ্বিজ দাস, শেখ ভানু, কুরবান, আবদুল জব্বার, মদন গানবী, শাহ মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রমুখের গান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
তিনি ১৯২৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর এখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে তিনি এমএ পাস করেন। তাঁর আগে আর কোনো মুসলিম ছাত্র প্রথম শ্রেণি পাননি।
তাঁকে বাংলার লোকসাহিত্যের মুকুটহীন সম্রাট বলা হয়। তিনি ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৩ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২০ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৪ দিন আগে