আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড প্রফেসর’ বলে যদি বাঙালি অধ্যাপকদের কথা ভাবেন কেউ, তাহলে নিঃসন্দেহে প্রথম যে নামটি মনে পড়বে, তিনি হলেন ড. কাজী মোতাহার হোসেন। একদিন তিনি চিৎকার করে মেয়েকে ডাকছিলেন, ‘সুম্মা, অ্যাই সুম্মা!’
সুম্মা মানে হলো সোনা মা।
তাঁর ছোট মেয়ে মাহমুদা খাতুন বাবার কাছে এসে জানতে চাইলেন, কেন ডাকা হচ্ছে।
‘আমার চশমাটা কোথায় গেল রে?’
‘এই যে আপনার মাথায়!’
চশমা কপালের ওপর উঠিয়ে রেখে ড. মোতাহার হোসেন সারা বাড়ি চষে ফেলছিলেন। চশমাটা উদ্ধার হওয়ার পর খুবই খুশি হয়ে বললেন, ‘তুই তো আমার চোখ রে!’
হন্তদন্ত হয়ে কোনো কাজে বেরিয়ে পড়তেন যখন, তখন তিনি নানা ধরনের ভুল করতেন। দুপায়ে দুই রকম মোজা পরে কোথাও যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটত। একবার তো লুঙ্গি ছেড়ে পায়জামা পরে কোনো বৈঠকে যাওয়ার কথা। তিনি পায়জামা পরলেন ঠিকই, কিন্তু লুঙ্গিটা খোলার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। কেমন কিম্ভূতকিমাকার লাগছিল তাঁকে, সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। একবার তো দুই পায়ে মোজা না পরে এক পায়ে পরেছেন। অন্য মোজাটা ঢুকিয়ে নিয়েছেন পকেটে। যে বৈঠকে গেছেন, সেখানে যখন নাশতা করতে বসেছেন, তখন পকেট থেকে রুমাল বের করতে গিয়ে দেখেন, আরে! এটা তো রুমাল নয়, মোজা! পায়ে না পরে পকেটে করে নিয়ে এসেছেন!
করাচিতে মাহমুদা খাতুন কর্ম উপলক্ষে ছিলেন। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন। একদিন একাই হাঁটতে বেরিয়েছেন। তারপর পথ হারিয়ে ফেলেছেন। বিকেল সাড়ে চারটায় অফিস ছুটি হলে মাহমুদা ফিরছিলেন বাড়িতে। হঠাৎ সামনে দেখলেন তাঁর আব্বুকে। মেয়েকে চিনতেই পারলেন না কাজী মোতাহার হোসেন। তিনি মেয়েকে সালাম দিয়ে বললেন, ‘মাহমুদার বাড়িটা কোথায়, বলতে পারেন?’
মাহমুদা তো হেসেই মরেন। বাড়ি নিয়ে আসার পর কাজী সাহেব বললেন, ‘তাই তো চেনা চেনা লাগছিল রে!’
সূত্র: মাহমুদা খাতুন, আপনজনদের স্মৃতিকথা,
পৃষ্ঠা: ১১৮-১১৯
‘অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড প্রফেসর’ বলে যদি বাঙালি অধ্যাপকদের কথা ভাবেন কেউ, তাহলে নিঃসন্দেহে প্রথম যে নামটি মনে পড়বে, তিনি হলেন ড. কাজী মোতাহার হোসেন। একদিন তিনি চিৎকার করে মেয়েকে ডাকছিলেন, ‘সুম্মা, অ্যাই সুম্মা!’
সুম্মা মানে হলো সোনা মা।
তাঁর ছোট মেয়ে মাহমুদা খাতুন বাবার কাছে এসে জানতে চাইলেন, কেন ডাকা হচ্ছে।
‘আমার চশমাটা কোথায় গেল রে?’
‘এই যে আপনার মাথায়!’
চশমা কপালের ওপর উঠিয়ে রেখে ড. মোতাহার হোসেন সারা বাড়ি চষে ফেলছিলেন। চশমাটা উদ্ধার হওয়ার পর খুবই খুশি হয়ে বললেন, ‘তুই তো আমার চোখ রে!’
হন্তদন্ত হয়ে কোনো কাজে বেরিয়ে পড়তেন যখন, তখন তিনি নানা ধরনের ভুল করতেন। দুপায়ে দুই রকম মোজা পরে কোথাও যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটত। একবার তো লুঙ্গি ছেড়ে পায়জামা পরে কোনো বৈঠকে যাওয়ার কথা। তিনি পায়জামা পরলেন ঠিকই, কিন্তু লুঙ্গিটা খোলার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। কেমন কিম্ভূতকিমাকার লাগছিল তাঁকে, সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। একবার তো দুই পায়ে মোজা না পরে এক পায়ে পরেছেন। অন্য মোজাটা ঢুকিয়ে নিয়েছেন পকেটে। যে বৈঠকে গেছেন, সেখানে যখন নাশতা করতে বসেছেন, তখন পকেট থেকে রুমাল বের করতে গিয়ে দেখেন, আরে! এটা তো রুমাল নয়, মোজা! পায়ে না পরে পকেটে করে নিয়ে এসেছেন!
করাচিতে মাহমুদা খাতুন কর্ম উপলক্ষে ছিলেন। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন। একদিন একাই হাঁটতে বেরিয়েছেন। তারপর পথ হারিয়ে ফেলেছেন। বিকেল সাড়ে চারটায় অফিস ছুটি হলে মাহমুদা ফিরছিলেন বাড়িতে। হঠাৎ সামনে দেখলেন তাঁর আব্বুকে। মেয়েকে চিনতেই পারলেন না কাজী মোতাহার হোসেন। তিনি মেয়েকে সালাম দিয়ে বললেন, ‘মাহমুদার বাড়িটা কোথায়, বলতে পারেন?’
মাহমুদা তো হেসেই মরেন। বাড়ি নিয়ে আসার পর কাজী সাহেব বললেন, ‘তাই তো চেনা চেনা লাগছিল রে!’
সূত্র: মাহমুদা খাতুন, আপনজনদের স্মৃতিকথা,
পৃষ্ঠা: ১১৮-১১৯
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে