নারী

তিনি একজন গৃহিণী। দুই সন্তানের মা। ঘর-সংসার সামলে লেখালেখি করেন। আঁকেন সুন্দর সব ছবি। প্রায় ২০০ বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। এই গল্পকার আঁকিয়ের নাম নিসা মাহ্‌জাবীন। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন নিসা। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ময়মনসিংহে। স্বামী সৈ

সম্প্রতি সাজেদা ফাউন্ডেশন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকিতে ‘সুদিন সত্তা ২.০’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে তুলে ধরা হয় রাজধানীর বেরাইদ অঞ্চলের অধিবাসী দলিত সম্প্রদায়ের কারুকলা ও হস্তশিল্প।

‘অস্কার অব ফুড’ বা খাদ্যের অস্কার হিসেবে পরিচিত জেমস বিয়ার্ড ফাউন্ডেশন পুরস্কারের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শেফ নূর-ই গুলশান রহমান। রন্ধনশিল্পে শৈল্পিক নৈপুণ্য ও উদ্ভাবনে অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পোশাকি নাম সারা তৌফিকা। শিল্পীপাড়ায় সারা টিউন নামে পরিচিত তিনি। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বরিশালে। উচ্চমাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে ভর্তি হন। ২০১০-১১ সাল থেকে পেশাগতভাবে বই অলংকরণের কাজ করছেন। এর দু-তিন বছর পর থেকে বইয়ের প্রচ্ছদের কাজও করছেন সমানতালে।

সখিনা বেগমের বয়স ৮৭ ছুঁই ছুঁই। দুই কিংবা তিন প্রজন্ম নয়; এই দীর্ঘ জীবনে তিনি দেখা পেয়েছেন পঞ্চম প্রজন্মের। মৃত্যুর আগে ষষ্ঠ প্রজন্মের সদস্যকে দেখে যেতে চান সখিনা বেগম। তাঁর সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের সন্তানের সংখ্যা শতাধিক! মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার তুলণ্ড গ্রামের মরহুম খোরশেদ আলমের স্ত্রী সখিনা।

‘যদিও আমি একজন নারী এবং অল্পবয়সী। এই মৃত্যু এবং আরও হাজার হাজার মৃত্যু সহ্য করার জন্য আমার যথেষ্ট সাহস রয়েছে। স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক।’ স্প্যানিশ ভাষায় এই লাইনগুলো লেখা আছে একটি ভাস্কর্যের বেসমেন্টে।

নারীর জন্য নিরাপদ সাইবার জগৎ গড়ে তুলতে হবে, সমসুযোগ ও অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি সমন্বিতভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারী আন্দোলন ও তথ্যপ্রযুক্তি: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নারী অধিকারকর্মীরা এসব দ

নদীর দুই পাশে বাড়ি, বাড়ির ওপর ফুলের গাছ। নদী থেকে দূরে বাঁশবনের ওপর সূর্য উঠছে। নদীতে বাঁধা নৌকা, ফুটে আছে পদ্ম ফুল। এর পাশেই ভাসছে সাদা পাতিহাঁস। হঠাৎ দেখলে কোনো দক্ষ শিল্পীর আঁকা গ্রামবাংলার দৃশ্য বলে ভুল হতে পারে। ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, রং-তুলি নয়—এ দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কাপড়ের ওপর সুই ও সুত

ক্যামেরা চলছে। ভেসে উঠছে সারিবদ্ধ অসুস্থ ও মুমূর্ষু মানুষের মুখ। কেউ বসে আছেন, কেউ শুয়ে কাতরাচ্ছেন। কাট টু সারিবদ্ধ স্ট্রেচার। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিথর কিছু শরীর—তাদের কেউ শিশু, কেউ তরুণ, কেউ মধ্যবয়স্ক আবার কেউ বৃদ্ধ।

প্রকাশ ঝা পরিচালিত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। নাম ‘রাজনীতি’। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, রাজনীতির অন্দর ও বাহির থাকে। অন্দরে থাকে একটি রাজনৈতিক পরিবারের উত্থান-পতন এবং একান্ত কষ্ট আর সংগ্রামের গল্প। বাইরে থাকে তাদের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার গল্প।

সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইপুয়েটে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হতো না। রীতিমতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে পুরকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা শাহরিয়ার কবির, শিরীন সুলতানা ও মনোয়ারা বেগম।

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের দিনটি ছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ওই দিনই তার বিয়ে হতো লালমনিরহাটের বাসিন্দা খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে। এর কিছু সময় আগে, শেষরাতের কুয়াশাচ্ছন্ন আবছা অন্ধকারে ফেলানী খাতুন দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএসএফ কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার অনন্তপুর বর্ডার

আঠারো শতকের ব্রিটেন। এখন যুক্তরাজ্য বলা হলেও তখন বলা হতো গ্রেট ব্রিটেন। রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার সেই ব্রিটিশ সমাজে পুরুষেরা সবকিছুতে এগিয়ে থাকবেন নারীদের থেকে, সেটাই ছিল তখনকার সাধারণ ভাবনা। স্বাভাবিকভাবে তখন নারীদের পড়ালেখার সুযোগ ছিল সীমিত। ফলে নারীদের চাকরির সম্ভাবনা ছিল সুদূরপরাহত। এমনক

বেশির ভাগ সময় সাফল্যের গল্পটাই সামনে আসে। এর পেছনে যে বিশাল শারীরিক ও মানসিক শ্রম আর কষ্ট থাকে, সে কথা ভুলে যায় সবাই। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে কৃষি ক্যাডার পদে সরকারি কর্ম কমিশন সারমিন সুলতানা রিমাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এই সাফল্যের গল্পের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁর শ্রম আর কষ্টের গল্প। ন

২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি লাইবেরিয়ার ২৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অ্যালেন জনসন সারলিফ। তিনি আফ্রিকা মহাদেশের নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ২০১১ সালে অ্যালেন যৌথভাবে লাইবেরিয়ার লেমাহ গবোই ও ইয়েমেনের তাওয়াক্কোল কারমানের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার

১০২ ডিগ্রি জ্বর। টেবিলের ওপর বাজতে থাকা ফোন কোনোমতে রিসিভ করলেন তিনি। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে বলা হলো, ‘আগামীকাল একটা ম্যাচ আছে। চলে এসো।’ তিনি জ্বরের কথা জানালেন। অন্য প্রান্ত থেকে বলা হলো, ‘কখনো না বলবে না। আগে রিংয়ে নামো, ফাইট করো। ৯ মিনিটের খেলা, তুমি পারবে।’ পরদিন মেয়েটি রিংয়ে উপস্থিত।

কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর মতো উদ্যোক্তা নারীর সন্ধান পাওয়া বেশ খানিকটা বিরল ঘটনা। এ কাজ করে কৃষিতে অবদান রেখেছেন নাসরিন নাহার আশা। তিনি ‘উতসব সীড ফার্মে’র নির্বাহী পরিচালক। এই ফার্মের প্রধান কার্যালয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজধানীখ্যাত গদখালীতে। সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর অর্জন করে বিএড করা