আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমি হিন্দু পরিবারের মানুষ। আমার জেঠিমা মারা গেছেন। জ্যাঠা মারা যাওয়ার আগে জেঠিমার নামে শহরের ও গ্রামের বাড়ির অংশ দানপত্র করে যান। এখন জেঠিমার সম্পত্তির ওয়ারিশ কে হবে? তাঁর দেবরের ছেলে-মেয়ে নাকি তাঁর ভাই?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চট্টগ্রাম
উত্তর: হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা সাধারণত উত্তরাধিকারসূত্রে এবং স্ত্রীধন হিসেবে সম্পত্তি অর্জন করে থাকেন। পিতা-মাতা কিংবা স্বামীর মৃত্যুর পর হিন্দু নারীরা উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো সম্পত্তির মালিক হলে তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি যাঁর কাছ থেকে পেয়েছিলেন, তাঁর কাছে ফিরে যাবে। সেই ব্যক্তির জীবিত উত্তরাধিকারীরা সেই সম্পত্তি পাবেন। কিন্তু আপনার জেঠিমার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তাঁর সম্পত্তির ক্ষেত্রে স্ত্রীধন হিসেবে বিবেচিত হবে।
কারণ, হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো নারী উত্তরাধিকার ছাড়া অন্য কোনোভাবে, যেমন ক্রয়মূলে, দানপত্র মূলে, উপহারসামগ্রী ইত্যাদি হিসেবে কোনো সম্পত্তির মালিক হলে সেই সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রীধন। আর আপনার জেঠিমা এই সম্পত্তি পেয়েছেন দানসূত্রে তাঁর মৃত স্বামীর কাছ থেকে। স্ত্রীধন সাধারণত ১. শুল্ক, ২. যৌতুক, ৩. অন্বধেয়ক, ৪. অযৌতুক—এই চারভাবে অর্জিত হতে পারে। আপনার জেঠিমা যেহেতু দানপত্রমূলে সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন, তাই তাঁর এই স্ত্রীধন পড়বে শুল্কের অধীনে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো হিন্দু নারী মারা যাওয়ার পর তাঁর শুল্ক সম্পত্তি ভাই, মা, পিতা, স্বামী পর্যায়ক্রমিকভাবে মৃতের এই ওয়ারিশেরা পাবেন। এখানে উত্তরাধিকার হিসেবে একজনের অনুপস্থিতিতে তালিকায় উল্লিখিত অন্যজন সম্পত্তি পাবেন।
কাজেই আপনার জেঠিমার দেবরের ছেলে-মেয়ে নয়, তাঁর ভাই এবং বাবা-মা তাঁর এই দানসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন। আপনার জেঠিমার বাবা ও মা যদি বেঁচে না থাকেন, তাহলে তাঁদের অনুপস্থিতিতে শুধু তাঁর ভাই সেই সম্পত্তি পাবেন। তবে আপনার প্রশ্নে উল্লিখিত দানসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ছাড়াও তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো সম্পত্তি পেয়ে থাকলে সেই সম্পত্তি তাঁর দেবরের ছেলে-মেয়েরা পাবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমি হিন্দু পরিবারের মানুষ। আমার জেঠিমা মারা গেছেন। জ্যাঠা মারা যাওয়ার আগে জেঠিমার নামে শহরের ও গ্রামের বাড়ির অংশ দানপত্র করে যান। এখন জেঠিমার সম্পত্তির ওয়ারিশ কে হবে? তাঁর দেবরের ছেলে-মেয়ে নাকি তাঁর ভাই?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চট্টগ্রাম
উত্তর: হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা সাধারণত উত্তরাধিকারসূত্রে এবং স্ত্রীধন হিসেবে সম্পত্তি অর্জন করে থাকেন। পিতা-মাতা কিংবা স্বামীর মৃত্যুর পর হিন্দু নারীরা উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো সম্পত্তির মালিক হলে তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি যাঁর কাছ থেকে পেয়েছিলেন, তাঁর কাছে ফিরে যাবে। সেই ব্যক্তির জীবিত উত্তরাধিকারীরা সেই সম্পত্তি পাবেন। কিন্তু আপনার জেঠিমার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তাঁর সম্পত্তির ক্ষেত্রে স্ত্রীধন হিসেবে বিবেচিত হবে।
কারণ, হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো নারী উত্তরাধিকার ছাড়া অন্য কোনোভাবে, যেমন ক্রয়মূলে, দানপত্র মূলে, উপহারসামগ্রী ইত্যাদি হিসেবে কোনো সম্পত্তির মালিক হলে সেই সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রীধন। আর আপনার জেঠিমা এই সম্পত্তি পেয়েছেন দানসূত্রে তাঁর মৃত স্বামীর কাছ থেকে। স্ত্রীধন সাধারণত ১. শুল্ক, ২. যৌতুক, ৩. অন্বধেয়ক, ৪. অযৌতুক—এই চারভাবে অর্জিত হতে পারে। আপনার জেঠিমা যেহেতু দানপত্রমূলে সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন, তাই তাঁর এই স্ত্রীধন পড়বে শুল্কের অধীনে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো হিন্দু নারী মারা যাওয়ার পর তাঁর শুল্ক সম্পত্তি ভাই, মা, পিতা, স্বামী পর্যায়ক্রমিকভাবে মৃতের এই ওয়ারিশেরা পাবেন। এখানে উত্তরাধিকার হিসেবে একজনের অনুপস্থিতিতে তালিকায় উল্লিখিত অন্যজন সম্পত্তি পাবেন।
কাজেই আপনার জেঠিমার দেবরের ছেলে-মেয়ে নয়, তাঁর ভাই এবং বাবা-মা তাঁর এই দানসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন। আপনার জেঠিমার বাবা ও মা যদি বেঁচে না থাকেন, তাহলে তাঁদের অনুপস্থিতিতে শুধু তাঁর ভাই সেই সম্পত্তি পাবেন। তবে আপনার প্রশ্নে উল্লিখিত দানসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ছাড়াও তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে কোনো সম্পত্তি পেয়ে থাকলে সেই সম্পত্তি তাঁর দেবরের ছেলে-মেয়েরা পাবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৫ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৫ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৫ দিন আগে