ডা. ফারজানা রহমান
আমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি। এ ছাড়া পারিবারিক বহু অশান্তি আছে।
আমার জীবন নিয়ে হতাশ। শুধু মনে হয়, আমার সংসার করা হবে না, একা সন্তান বড় করতে হবে। আবার যে সংসারের জন্য এত কষ্ট করি, সেখানে একটা ভুলেই আমার সব উপকারের কথা সবাই ভুলে যাবে। এমন হাজারটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। আমার কি মানসিক চিকিৎসক দেখানো জরুরি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
একটি শিশুর সঙ্গে জন্ম হয় বাবা-মায়ের। কারও সহযোগিতা ছাড়া প্রথম মায়ের জন্য মাতৃত্ব অনেকটাই কঠিন। আজকের শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার জায়গা নেই, তাদের সুস্থ বিনোদনের জন্যও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, এটি আমাদের জন্য বাস্তবতা।
আপনার শিশুটি যেহেতু একটু বেশি চঞ্চল, তাই ওকে ব্যস্ত রাখতে হবে ওর মতো করে। ওকে কাছে নিয়ে ছবির বই দেখাতে পারেন। বই থেকে পড়ে শোনান। এমনকি ওকে আকাশ দেখান, পাখি দেখান।
সন্তানকে লালন-পালনের কাজটি বিরক্তিকর মনে হলে সেই বিরক্তি রাগে পরিণত হয়, অসহ্য হয়ে ওঠে। সন্তান ছোট হলেও বিষয়টি তারা বুঝতে পারে। তখন তাদের আচরণেও নেতিবাচক পরিবর্তন আসে।
কাজেই আপনার শিশুর সামনে সমালোচনা বা বিরক্তি না দেখিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। ওকে ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহ দিন। রং পেনসিল বা ছবি আঁকার সরঞ্জাম কিনে দিন। আটার নরম গোলা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতে শেখান। সে যেন তার মতো সময় কাটাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। যুক্ত করতে পারেন সাঁতার শেখা, সাইকেল চালানো ইত্যাদির সঙ্গে।
আপনার ষদি মনে হয়, শিশুটি আর দশটির চেয়ে একটু বেশি চঞ্চল, তাহলে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এবার আপনার প্রসঙ্গে আসি। আপনার ওপর চাপ বাড়ছে, বিষয়টি আপনার স্বামীকে জানান। আপনার শ্বশুরবাড়ির মানুষদেরও আরেকটু সহযোগী হতে বলুন।
নিজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন। চেষ্টা করুন, শিশুর দেখাশোনার জন্য একজন সাহায্যকারী রাখতে। কষ্ট হলেও নিজের রুটিন মানতে চেষ্টা করবেন।
কিছু ক্ষেত্রে একা একা সব সামাল দেওয়া যায় না। বিশেষ করে, বাবার সাহায্য ছাড়া একা সন্তানকে বড় করে তোলা কঠিন। আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। তাদের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
আমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি। এ ছাড়া পারিবারিক বহু অশান্তি আছে।
আমার জীবন নিয়ে হতাশ। শুধু মনে হয়, আমার সংসার করা হবে না, একা সন্তান বড় করতে হবে। আবার যে সংসারের জন্য এত কষ্ট করি, সেখানে একটা ভুলেই আমার সব উপকারের কথা সবাই ভুলে যাবে। এমন হাজারটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। আমার কি মানসিক চিকিৎসক দেখানো জরুরি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
একটি শিশুর সঙ্গে জন্ম হয় বাবা-মায়ের। কারও সহযোগিতা ছাড়া প্রথম মায়ের জন্য মাতৃত্ব অনেকটাই কঠিন। আজকের শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার জায়গা নেই, তাদের সুস্থ বিনোদনের জন্যও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, এটি আমাদের জন্য বাস্তবতা।
আপনার শিশুটি যেহেতু একটু বেশি চঞ্চল, তাই ওকে ব্যস্ত রাখতে হবে ওর মতো করে। ওকে কাছে নিয়ে ছবির বই দেখাতে পারেন। বই থেকে পড়ে শোনান। এমনকি ওকে আকাশ দেখান, পাখি দেখান।
সন্তানকে লালন-পালনের কাজটি বিরক্তিকর মনে হলে সেই বিরক্তি রাগে পরিণত হয়, অসহ্য হয়ে ওঠে। সন্তান ছোট হলেও বিষয়টি তারা বুঝতে পারে। তখন তাদের আচরণেও নেতিবাচক পরিবর্তন আসে।
কাজেই আপনার শিশুর সামনে সমালোচনা বা বিরক্তি না দেখিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। ওকে ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহ দিন। রং পেনসিল বা ছবি আঁকার সরঞ্জাম কিনে দিন। আটার নরম গোলা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতে শেখান। সে যেন তার মতো সময় কাটাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। যুক্ত করতে পারেন সাঁতার শেখা, সাইকেল চালানো ইত্যাদির সঙ্গে।
আপনার ষদি মনে হয়, শিশুটি আর দশটির চেয়ে একটু বেশি চঞ্চল, তাহলে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এবার আপনার প্রসঙ্গে আসি। আপনার ওপর চাপ বাড়ছে, বিষয়টি আপনার স্বামীকে জানান। আপনার শ্বশুরবাড়ির মানুষদেরও আরেকটু সহযোগী হতে বলুন।
নিজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন। চেষ্টা করুন, শিশুর দেখাশোনার জন্য একজন সাহায্যকারী রাখতে। কষ্ট হলেও নিজের রুটিন মানতে চেষ্টা করবেন।
কিছু ক্ষেত্রে একা একা সব সামাল দেওয়া যায় না। বিশেষ করে, বাবার সাহায্য ছাড়া একা সন্তানকে বড় করে তোলা কঠিন। আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। তাদের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
৬ দিন আগেগ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
৬ দিন আগেচাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
৬ দিন আগেচলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
৬ দিন আগে