মন্টি বৈষ্ণব।
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করার প্রায় এক যুগ পর নাজলী হোসেন জায়গা করে নেন এশিয়ার শীর্ষ ১০ নারী স্থপতির তালিকায়! সম্প্রতি ভারতীয় ম্যাগাজিন ‘উইমেন অন্ট্রাপ্রেনিউর ইন্ডিয়া’ তাঁকে এই সম্মাননা দেয়। নাজলী কাজ করেন পরিবেশবান্ধব ভবন নিয়ে। ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের স্থপতি তিনি।
যা ছিল ভাবনার বাইরে
এশিয়ার শীর্ষ ১০ নারী স্থপতির একজন তিনি—এই সংবাদে বেশ অবিশ্বাস ছিল নাজলী হোসেনের। ‘উইমেন অন্ট্রাপ্রেনিউর ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন এবং ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়। ই-মেইলের উত্তর দেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, একটি প্যানেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবছর পেশাজীবী নারীদের টপ টেন অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর স্থাপত্যবিদ্যায় টপ টেনের একজন হয়েছেন নাজলী হোসেন।
স্থপতি হলেন যেভাবে
নাজলী ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন সাদা অ্যাপ্রোন পরে মেডিকেল কলেজে পড়তে যাচ্ছেন। স্বপ্নের মতো করে নিজেকে তৈরিও করেন। ফলে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল না তাঁর। বলা যায়, মা-বাবার কারণে তিনি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন। তাঁরা পরীক্ষার ১৫ দিন আগে ঘরবন্দী করে রেখে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বাধ্য করেন নাজলীকে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মেডিকেলের সব বইপত্রও নিয়ে যান বাবা-মা। মোট কথা, ওই ১৫ দিন বুয়েটের জন্য প্রস্তুতি নেন নাজলী। পরীক্ষায় পাস করে বুয়েটে ভর্তি হবেন, নাজলী নিজেও তা চিন্তা করেননি। কিন্তু তা-ই হয়েছে। ফলে মেডিকেলে পরীক্ষা বাদ দিয়ে তিনি ভর্তি হন বুয়েটে।
কেমন হবে স্থাপনা
যেকোনো ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নাজলীর মূল উদ্দেশ্য থাকে পরিবেশের ক্ষতি না করে নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণ করা। পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নাজলীর অভিজ্ঞতা একেবারে ব্যবহারিক। তিনি মনে করেন, এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণে দক্ষ কারিগরের অভাব আছে দেশে। ভবনমালিকেরাও পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করতে চান না। কিন্তু স্থপতি হিসেবে এমন ভবনের গুরুত্বের কারণে তিনি সব সময় এর পক্ষে থাকেন। ভবনমালিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, পরামর্শ দিয়ে থাকেন পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের। এখন অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ডাকা হয় শিক্ষার্থীদের বিষয়টি শেখানোর জন্য। নাজলী মনে করেন, হয়তো ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হবে পরের প্রজন্ম।
পরিবেশবান্ধব ভবন
বর্তমান বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম স্থানে আছে ঢাকা। এই দূষণের বেশির ভাগ হয় বিভিন্ন স্থাপনার কারণে। অভিজ্ঞতা থেকে নাজলী মনে করেন, স্থপতিরাও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। তিনি বিশ্বাস করেন, পরিবেশবান্ধব মানে একলা কিছু করা নয়। সবাই মিলে ক্ষতিকর উপাদান থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা। এমনভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা উচিত, যাতে মাটি, পানি, বায়ু দূষিত না হয়। এ জন্য কিছু কাজ করা উচিত বলে মনে করেন নাজলী।
লড়াইটা সহজ ছিল না
প্রায় এক দশকে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভরে উঠেছে নাজলী হোসেনের। কাজের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা যে নারীর অনুকূলে নয়, সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। পারিপার্শ্বিকতার কারণে যেখানে আমাদের দেশের নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেন না, সেখানে বিদেশি সম্মাননার স্বপ্ন দেখাটা একটু কঠিন বৈকি। সেটা মানেনও নাজলী। একজন নারীকে অনেক যুদ্ধ করতে হয় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সেটা তাঁকেও করতে হয়েছে। অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে নাজলী বললেন, ‘আমরা যখন একটা প্রজেক্টের কাজ শুরু করি, তখন অনেক সেক্টরের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়। সেই সময় প্রতিদিন, প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে প্রমাণ করতে হয়—আমি পারি। এ সময়টাই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। বলতে পারেন, এটা আমাদের চলমান লড়াই। আমার তো মনে হয়, স্থপতিদের মতো প্রতি সেক্টরের নারীই এই সংগ্রাম করেন।’
তবু স্বপ্ন
মানুষের বাঁচার জন্য খাদ্যের মতো প্রয়োজন বাসযোগ্য পরিবেশ। নাজলী জানান, নিজেকে নিয়ে তাঁর খুব বেশি স্বপ্ন নেই। পরিবেশবান্ধব ভাবনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান—এটাই এই মুহূর্তে তাঁর একমাত্র স্বপ্ন।
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করার প্রায় এক যুগ পর নাজলী হোসেন জায়গা করে নেন এশিয়ার শীর্ষ ১০ নারী স্থপতির তালিকায়! সম্প্রতি ভারতীয় ম্যাগাজিন ‘উইমেন অন্ট্রাপ্রেনিউর ইন্ডিয়া’ তাঁকে এই সম্মাননা দেয়। নাজলী কাজ করেন পরিবেশবান্ধব ভবন নিয়ে। ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের স্থপতি তিনি।
যা ছিল ভাবনার বাইরে
এশিয়ার শীর্ষ ১০ নারী স্থপতির একজন তিনি—এই সংবাদে বেশ অবিশ্বাস ছিল নাজলী হোসেনের। ‘উইমেন অন্ট্রাপ্রেনিউর ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন এবং ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়। ই-মেইলের উত্তর দেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, একটি প্যানেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবছর পেশাজীবী নারীদের টপ টেন অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর স্থাপত্যবিদ্যায় টপ টেনের একজন হয়েছেন নাজলী হোসেন।
স্থপতি হলেন যেভাবে
নাজলী ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন সাদা অ্যাপ্রোন পরে মেডিকেল কলেজে পড়তে যাচ্ছেন। স্বপ্নের মতো করে নিজেকে তৈরিও করেন। ফলে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল না তাঁর। বলা যায়, মা-বাবার কারণে তিনি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন। তাঁরা পরীক্ষার ১৫ দিন আগে ঘরবন্দী করে রেখে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বাধ্য করেন নাজলীকে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মেডিকেলের সব বইপত্রও নিয়ে যান বাবা-মা। মোট কথা, ওই ১৫ দিন বুয়েটের জন্য প্রস্তুতি নেন নাজলী। পরীক্ষায় পাস করে বুয়েটে ভর্তি হবেন, নাজলী নিজেও তা চিন্তা করেননি। কিন্তু তা-ই হয়েছে। ফলে মেডিকেলে পরীক্ষা বাদ দিয়ে তিনি ভর্তি হন বুয়েটে।
কেমন হবে স্থাপনা
যেকোনো ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নাজলীর মূল উদ্দেশ্য থাকে পরিবেশের ক্ষতি না করে নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণ করা। পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নাজলীর অভিজ্ঞতা একেবারে ব্যবহারিক। তিনি মনে করেন, এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণে দক্ষ কারিগরের অভাব আছে দেশে। ভবনমালিকেরাও পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করতে চান না। কিন্তু স্থপতি হিসেবে এমন ভবনের গুরুত্বের কারণে তিনি সব সময় এর পক্ষে থাকেন। ভবনমালিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, পরামর্শ দিয়ে থাকেন পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের। এখন অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ডাকা হয় শিক্ষার্থীদের বিষয়টি শেখানোর জন্য। নাজলী মনে করেন, হয়তো ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হবে পরের প্রজন্ম।
পরিবেশবান্ধব ভবন
বর্তমান বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম স্থানে আছে ঢাকা। এই দূষণের বেশির ভাগ হয় বিভিন্ন স্থাপনার কারণে। অভিজ্ঞতা থেকে নাজলী মনে করেন, স্থপতিরাও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। তিনি বিশ্বাস করেন, পরিবেশবান্ধব মানে একলা কিছু করা নয়। সবাই মিলে ক্ষতিকর উপাদান থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা। এমনভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা উচিত, যাতে মাটি, পানি, বায়ু দূষিত না হয়। এ জন্য কিছু কাজ করা উচিত বলে মনে করেন নাজলী।
লড়াইটা সহজ ছিল না
প্রায় এক দশকে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভরে উঠেছে নাজলী হোসেনের। কাজের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা যে নারীর অনুকূলে নয়, সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। পারিপার্শ্বিকতার কারণে যেখানে আমাদের দেশের নারীরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেন না, সেখানে বিদেশি সম্মাননার স্বপ্ন দেখাটা একটু কঠিন বৈকি। সেটা মানেনও নাজলী। একজন নারীকে অনেক যুদ্ধ করতে হয় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সেটা তাঁকেও করতে হয়েছে। অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে নাজলী বললেন, ‘আমরা যখন একটা প্রজেক্টের কাজ শুরু করি, তখন অনেক সেক্টরের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়। সেই সময় প্রতিদিন, প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে প্রমাণ করতে হয়—আমি পারি। এ সময়টাই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। বলতে পারেন, এটা আমাদের চলমান লড়াই। আমার তো মনে হয়, স্থপতিদের মতো প্রতি সেক্টরের নারীই এই সংগ্রাম করেন।’
তবু স্বপ্ন
মানুষের বাঁচার জন্য খাদ্যের মতো প্রয়োজন বাসযোগ্য পরিবেশ। নাজলী জানান, নিজেকে নিয়ে তাঁর খুব বেশি স্বপ্ন নেই। পরিবেশবান্ধব ভাবনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান—এটাই এই মুহূর্তে তাঁর একমাত্র স্বপ্ন।
বান্দরবানের থানচিতে ৫ মে সকালে পাহাড়ের জুমখেতে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন এক খেয়াং নারী। দুপুরে বাড়ি ফিরে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা বিকেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের পাশের একটি নালায় তাঁর লাশ খুঁজে
২ দিন আগেবাকি দুনিয়ার কাছে নাম না জানা কাবুলের এক সরু গলির ভেতর অখ্যাত এক স্কুলে সংগোপনে হয়ে গেল দুই দিনের এক প্রদর্শনী। কাবুল শুনেই বুঝতে পারছেন, সেখানে এসব প্রদর্শনী সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু সেটি হয়ে গেল।
২ দিন আগেআমার মামারা মায়ের সম্পত্তি দিচ্ছেন না। দিই-দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছেন অনেক বছর ধরে। এই কাজ কীভাবে করা সম্ভব? মায়ের নামে জমি খারিজ করতে গেলে মামাদের এনআইডি লাগবে। কীভাবে সেটা বের করতে পারি?
২ দিন আগেশিশুরা ভালোভাবে তখন শেখে, যখন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে তাদের নিজস্ব ধারণার মাধ্যমে বুঝতে দেওয়া হয়। নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ দেওয়া হলে শিশুরা কেবল জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করাও শিখবে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি স্কুল খোলা হয়।
২ দিন আগে