মাঠ সংগঠক হিসেবে তাঁর ব্লকভুক্ত মোট সমিতির সংখ্যা ছিল ২০ এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ৭৩৮ জন। তাঁদের সঞ্চয় আছে ৩৭ লাখ ৪২ টাকা। গত এক বছরে প্রায় ৮০০ বার উঠান বৈঠক করেছেন তিনি। আর গত কয়েক বছরে উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন ১১৮ জন। ৯ বছরে ১৪ কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কোনো ঋণখেলাপি নেই তাঁর ব্লকে! এ গল্প মোসাম্মাত জেসমিন সুলতানার।
জেসমিন সুলতানা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতাধীন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দরিদ্র নারীদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়ক প্রকল্পের (ইরেসপো) মাঠ সংগঠক। ২০০০ সালে তিনি এ চাকরিতে যুক্ত হন। শুরুতে মন না বসলেও একপর্যায়ে তিনি নিজের পেশাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিণত হন একজন দক্ষ সংগঠক ও কর্মীতে। ২০২০ সালে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নারী ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগীয়, যশোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ সালেও বিআরডিবির শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠকের (নারী) সম্মাননা পান জেসমিন সুলতানা।
চাকরির দায়িত্ব হিসেবে গ্রামের পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন জেসমিন সুলতানা। আর নিজের চেষ্টায় বাল্যবিবাহ, যৌতুকসহ যাবতীয় অসংগতির বিরুদ্ধে গ্রামীণ নারীদের সচেতন করার চেষ্টা করেন। সন্তানদের স্কুলগামী করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এবার দেশসেরার সম্মাননা পেয়েছেন মোসাম্মাত জেসমিন সুলতানা। তাঁকে এ পুরস্কার দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। জেসমিন এ বছর দেশের শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক (নারী) হিসেবে এ পুরস্কার পান। গত ২৬ জুন সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ জেসমিন সুলতানার হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন।
জেসমিন সুলতানা যশোর জেলার শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কোরবান আলী ও কোহিনূর বেগমের মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জননী। স্বামী শাহীন-উল-কবীর ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর গ্রামে তাঁরা বসবাস করেন।
মাঠ সংগঠক হিসেবে তাঁর ব্লকভুক্ত মোট সমিতির সংখ্যা ছিল ২০ এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ৭৩৮ জন। তাঁদের সঞ্চয় আছে ৩৭ লাখ ৪২ টাকা। গত এক বছরে প্রায় ৮০০ বার উঠান বৈঠক করেছেন তিনি। আর গত কয়েক বছরে উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন ১১৮ জন। ৯ বছরে ১৪ কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কোনো ঋণখেলাপি নেই তাঁর ব্লকে! এ গল্প মোসাম্মাত জেসমিন সুলতানার।
জেসমিন সুলতানা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতাধীন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দরিদ্র নারীদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়ক প্রকল্পের (ইরেসপো) মাঠ সংগঠক। ২০০০ সালে তিনি এ চাকরিতে যুক্ত হন। শুরুতে মন না বসলেও একপর্যায়ে তিনি নিজের পেশাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিণত হন একজন দক্ষ সংগঠক ও কর্মীতে। ২০২০ সালে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নারী ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগীয়, যশোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ সালেও বিআরডিবির শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠকের (নারী) সম্মাননা পান জেসমিন সুলতানা।
চাকরির দায়িত্ব হিসেবে গ্রামের পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন জেসমিন সুলতানা। আর নিজের চেষ্টায় বাল্যবিবাহ, যৌতুকসহ যাবতীয় অসংগতির বিরুদ্ধে গ্রামীণ নারীদের সচেতন করার চেষ্টা করেন। সন্তানদের স্কুলগামী করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এবার দেশসেরার সম্মাননা পেয়েছেন মোসাম্মাত জেসমিন সুলতানা। তাঁকে এ পুরস্কার দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। জেসমিন এ বছর দেশের শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক (নারী) হিসেবে এ পুরস্কার পান। গত ২৬ জুন সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ জেসমিন সুলতানার হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন।
জেসমিন সুলতানা যশোর জেলার শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কোরবান আলী ও কোহিনূর বেগমের মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জননী। স্বামী শাহীন-উল-কবীর ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর গ্রামে তাঁরা বসবাস করেন।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
৩ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৫ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৫ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৫ দিন আগে