শাহীন রহমান, পাবনা
বয়স আর কতই-বা ছিল। ভেঙে গেল সংসার। পড়ে রইল জীবন আর যাপনের অদ্ভুত সব স্বপ্ন। কিন্তু জীবন তাঁকে হারাতে পারল কি?
এত দিন পর সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কোনো ইচ্ছেই হয় না মধ্য ত্রিশের জান্নাতুল সরকার চম্পার। অতীতের গল্প বরং দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসে বুক থেকে। ইউনিয়ন পার্শ্ব ডাঙ্গা, গ্রাম মল্লিক বাইন, উপজেলা চাটমোহর, জেলা পাবনা। এই ছিল তাঁর ঠিকানা। ভাগ্যের বদল হলেও ঠিকানা একই রয়েছে।
২০০০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলে নিরাপত্তা বিভাগের হাবিলদার হিসেবে চাকরি নেন তিনি। ২০০৫ সালে চাটমোহর উপজেলার কাঁটাখালী গ্রামে বিয়ে হয় চম্পার। বিয়ের পর সেই চাকরি ছেড়ে একটি বিমা কোম্পানিতে চাকরি নেন। তবে বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। চম্পা ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে। সংসারজীবনের ওপর ভীষণ অনীহায় আর ঘর বাঁধেননি তিনি। এরই মধ্যে মারা যান বাবা ইসহাক আলী সরকার। মা ও ছোট ভাইয়ের দায়িত্বটাও কাঁধে চাপে চম্পার।
এরপর জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালের দিকে শুরু করেন পত্রিকা বিক্রি। সে সময় তাঁকে নিয়ে অনেকে নানা কটু কথা বললেও কানে তোলেননি চম্পা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত বাইক নিয়ে বের হন তিনি। এরপর ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চাটমোহর পৌর সদরে গিয়ে পত্রিকা সংগ্রহ করেন। চাটমোহর ও আশপাশের অন্তত ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পত্রিকা বিক্রি করেন তিনি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরে চলে যান ইউনিয়ন পরিষদে। খোঁজখবর নেন এলাকার সাধারণ মানুষের। চেষ্টা করেন তাদের পাশে থাকার। পত্রিকা বিক্রি আর ইউপি সদস্যের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন চম্পা।
২০১০ ও ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প কিছু ভোটে হেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন চম্পা। তবে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় তৃতীয়বারের নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।
জীবনের জন্য চম্পার এই পরিশ্রমের কথা জানেন তাঁর প্রতিবেশীরা। বাঁকা চোখে তাকালেও তাঁর পরিশ্রমের বিষয়টি সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, জান্নাতুল সরকার চম্পা পরিশ্রমী। ভালো মনের মানুষ। চাটমোহর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রকিবুর রহমান টুকুন জানান, আর দশজন নারীর কাছে তিনি এখন অনুপ্রেরণার মডেল।
দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকার সম্পাদক হেলালুর রহমান জুয়েল চম্পার বিষয়ে বলেন, তিনি যথেষ্ট উৎসাহী এবং ইতিবাচক। জুয়েল বলেন, ‘চম্পার যে জীবনসংগ্রাম, তিনি যে অবস্থান থেকে উঠে এসেছেন, তা নারীসমাজের জন্য অনুসরণীয়।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে পত্রিকা বিক্রেতা, এরপর সেখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য—জীবনসংগ্রামের পথ বেয়ে এভাবেই এগিয়ে চলেছেন জান্নাতুল সরকার চম্পা। আরও সামনের দিকে যেতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। কাজ করতে চান অবহেলিত মানুষের জন্য।
বয়স আর কতই-বা ছিল। ভেঙে গেল সংসার। পড়ে রইল জীবন আর যাপনের অদ্ভুত সব স্বপ্ন। কিন্তু জীবন তাঁকে হারাতে পারল কি?
এত দিন পর সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কোনো ইচ্ছেই হয় না মধ্য ত্রিশের জান্নাতুল সরকার চম্পার। অতীতের গল্প বরং দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসে বুক থেকে। ইউনিয়ন পার্শ্ব ডাঙ্গা, গ্রাম মল্লিক বাইন, উপজেলা চাটমোহর, জেলা পাবনা। এই ছিল তাঁর ঠিকানা। ভাগ্যের বদল হলেও ঠিকানা একই রয়েছে।
২০০০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলে নিরাপত্তা বিভাগের হাবিলদার হিসেবে চাকরি নেন তিনি। ২০০৫ সালে চাটমোহর উপজেলার কাঁটাখালী গ্রামে বিয়ে হয় চম্পার। বিয়ের পর সেই চাকরি ছেড়ে একটি বিমা কোম্পানিতে চাকরি নেন। তবে বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। চম্পা ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে। সংসারজীবনের ওপর ভীষণ অনীহায় আর ঘর বাঁধেননি তিনি। এরই মধ্যে মারা যান বাবা ইসহাক আলী সরকার। মা ও ছোট ভাইয়ের দায়িত্বটাও কাঁধে চাপে চম্পার।
এরপর জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালের দিকে শুরু করেন পত্রিকা বিক্রি। সে সময় তাঁকে নিয়ে অনেকে নানা কটু কথা বললেও কানে তোলেননি চম্পা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত বাইক নিয়ে বের হন তিনি। এরপর ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চাটমোহর পৌর সদরে গিয়ে পত্রিকা সংগ্রহ করেন। চাটমোহর ও আশপাশের অন্তত ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পত্রিকা বিক্রি করেন তিনি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরে চলে যান ইউনিয়ন পরিষদে। খোঁজখবর নেন এলাকার সাধারণ মানুষের। চেষ্টা করেন তাদের পাশে থাকার। পত্রিকা বিক্রি আর ইউপি সদস্যের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন চম্পা।
২০১০ ও ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প কিছু ভোটে হেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন চম্পা। তবে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় তৃতীয়বারের নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।
জীবনের জন্য চম্পার এই পরিশ্রমের কথা জানেন তাঁর প্রতিবেশীরা। বাঁকা চোখে তাকালেও তাঁর পরিশ্রমের বিষয়টি সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন, জান্নাতুল সরকার চম্পা পরিশ্রমী। ভালো মনের মানুষ। চাটমোহর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রকিবুর রহমান টুকুন জানান, আর দশজন নারীর কাছে তিনি এখন অনুপ্রেরণার মডেল।
দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকার সম্পাদক হেলালুর রহমান জুয়েল চম্পার বিষয়ে বলেন, তিনি যথেষ্ট উৎসাহী এবং ইতিবাচক। জুয়েল বলেন, ‘চম্পার যে জীবনসংগ্রাম, তিনি যে অবস্থান থেকে উঠে এসেছেন, তা নারীসমাজের জন্য অনুসরণীয়।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে পত্রিকা বিক্রেতা, এরপর সেখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য—জীবনসংগ্রামের পথ বেয়ে এভাবেই এগিয়ে চলেছেন জান্নাতুল সরকার চম্পা। আরও সামনের দিকে যেতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। কাজ করতে চান অবহেলিত মানুষের জন্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
১ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
১ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
১ দিন আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
১ দিন আগে