কাশফিয়া আলম ঝিলিক
বাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী। পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক কাঠ ও বাঁশের তৈরি গৃহসজ্জা পণ্য, তাঁতে তৈরি কাপড়ের পোশাক এবং হ্যান্ডপেইন্টের ডিজাইনার পোশাকের কনসেপ্ট তৈরি ও বিপণন তাঁর কাজ।
খুলনার মানুষ বলে ফৌজিয়া তাঁর উদ্যোগের নাম রেখেছেন বনবিবি। উদ্দেশ্য একটাই—সুন্দরবন অঞ্চলের নিজস্ব পণ্য নিয়ে যাতে সেই জনগোষ্ঠীকে পুনরায় কাজে ফেরানো যায়। আবার যেন নতুন একটি ক্রেতাশ্রেণিও তৈরি করা যায়। ২০০৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদ থেকে লেখাপড়া শেষ করেন তিনি। তারপর স্বামীর সহযোগিতায় ‘আর্কিটেক্টস’ নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ফৌজিয়া।
২০১৫-১৬ সালে গর্ভকালীন জটিলতায় পুরো সময় তাঁকে বাসায় থাকতে হয়। সন্তান জন্মের পর ই-কমার্সের জগতে পথচলা শুরু করেন তিনি। মূলত নারীদের পোশাক বিক্রির জন্য ‘অন্দর’ নামের একটি উদ্যোগ শুরু করেন। সেখানে পোশাকের নকশা করতেন ফৌজিয়া। এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল এক শীতে। মাত্র দেড় হাজার টাকায় পাঁচটি শালে ব্লকপ্রিন্টের কাজ দিয়ে শুরু হয় তাঁর যাত্রা। এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সেগুলো। তারপর বান্ধবীর সাহায্যে ঢাকা থেকে ১০টি টাঙ্গাইল শাড়ি সংগ্রহ করেন তিনি। পেজে তার ছবি দিলে দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়। এসবই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে অন্দরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। এরপর সন্তান বড় করা এবং একই সঙ্গে নিজের পছন্দের কাজ করার জন্য করপোরেট জীবন ছেড়ে ফৌজিয়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন।
তারপর ধীরে ধীরে স্বপ্ন গেল বেড়ে। ফৌজিয়া ২০১৮ সালে খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি শোরুম প্রতিষ্ঠা করেন। নাম রাখলেন অন্দর। এটি মূলত পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান। এরই একটি অংশে পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে গড়ে উঠল বনবিবি। এটি পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক কাঠ ও বাঁশের তৈরি গৃহস্থালি ও গৃহসজ্জা পণ্য বিক্রি করে। সেখানে পাওয়া যায় বাঁশ ও বেতের তৈরি চিক বা পর্দা, বিভিন্ন তৈজসপত্র, নারকেলের খোল দিয়ে তৈরি বাটি বা স্যুপ সেট, কাপ-কেটলি, ল্যাম্প শেড ও বোতাম। এখন অনলাইন ও অফলাইনে অন্দর ও বনবিবি দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে ফৌজিয়ার।
আর্কিটেক্ট হয়ে পোশাক ও শৌখিন পণ্যের বিক্রেতা হবেন আর পরিবার তাতে সম্মতি দেবে, বিষয়টি এত সহজ নয়। ফৌজিয়ার জন্যও বিষয়টি সহজ হয়নি। ফৌজিয়া জানান, নারী মানেই চলার পথে হাজারো বাধা। আর সে যদি হতে চায় উদ্যোক্তা, সেটা তো এক রূপকথার গল্পের মতো। তিনি বলেন, ‘আমি অতিক্রম করেছি সবার মতোই। কিন্তু আমার স্বামী মানসিকভাবে পূর্ণ সহযোগিতা করেন। সে জন্যই এত দূর আসতে পারা।’
ফৌজিয়ার অধিকাংশ ক্রেতা প্রবাসী বাঙালি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বিপুল জনপ্রিয় তাঁর পরিবেশবান্ধব কাঠ ও বাঁশ-বেতের এসব পণ্য। ফৌজিয়া এখন স্বপ্ন দেখেন, খুলনার পর বিদেশের মাটিতে অন্দরের শোরুম প্রতিষ্ঠা করবেন একদিন।
বাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী। পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক কাঠ ও বাঁশের তৈরি গৃহসজ্জা পণ্য, তাঁতে তৈরি কাপড়ের পোশাক এবং হ্যান্ডপেইন্টের ডিজাইনার পোশাকের কনসেপ্ট তৈরি ও বিপণন তাঁর কাজ।
খুলনার মানুষ বলে ফৌজিয়া তাঁর উদ্যোগের নাম রেখেছেন বনবিবি। উদ্দেশ্য একটাই—সুন্দরবন অঞ্চলের নিজস্ব পণ্য নিয়ে যাতে সেই জনগোষ্ঠীকে পুনরায় কাজে ফেরানো যায়। আবার যেন নতুন একটি ক্রেতাশ্রেণিও তৈরি করা যায়। ২০০৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদ থেকে লেখাপড়া শেষ করেন তিনি। তারপর স্বামীর সহযোগিতায় ‘আর্কিটেক্টস’ নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ফৌজিয়া।
২০১৫-১৬ সালে গর্ভকালীন জটিলতায় পুরো সময় তাঁকে বাসায় থাকতে হয়। সন্তান জন্মের পর ই-কমার্সের জগতে পথচলা শুরু করেন তিনি। মূলত নারীদের পোশাক বিক্রির জন্য ‘অন্দর’ নামের একটি উদ্যোগ শুরু করেন। সেখানে পোশাকের নকশা করতেন ফৌজিয়া। এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল এক শীতে। মাত্র দেড় হাজার টাকায় পাঁচটি শালে ব্লকপ্রিন্টের কাজ দিয়ে শুরু হয় তাঁর যাত্রা। এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সেগুলো। তারপর বান্ধবীর সাহায্যে ঢাকা থেকে ১০টি টাঙ্গাইল শাড়ি সংগ্রহ করেন তিনি। পেজে তার ছবি দিলে দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়। এসবই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে অন্দরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। এরপর সন্তান বড় করা এবং একই সঙ্গে নিজের পছন্দের কাজ করার জন্য করপোরেট জীবন ছেড়ে ফৌজিয়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন।
তারপর ধীরে ধীরে স্বপ্ন গেল বেড়ে। ফৌজিয়া ২০১৮ সালে খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি শোরুম প্রতিষ্ঠা করেন। নাম রাখলেন অন্দর। এটি মূলত পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান। এরই একটি অংশে পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে গড়ে উঠল বনবিবি। এটি পরিবেশবান্ধব, নান্দনিক কাঠ ও বাঁশের তৈরি গৃহস্থালি ও গৃহসজ্জা পণ্য বিক্রি করে। সেখানে পাওয়া যায় বাঁশ ও বেতের তৈরি চিক বা পর্দা, বিভিন্ন তৈজসপত্র, নারকেলের খোল দিয়ে তৈরি বাটি বা স্যুপ সেট, কাপ-কেটলি, ল্যাম্প শেড ও বোতাম। এখন অনলাইন ও অফলাইনে অন্দর ও বনবিবি দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে ফৌজিয়ার।
আর্কিটেক্ট হয়ে পোশাক ও শৌখিন পণ্যের বিক্রেতা হবেন আর পরিবার তাতে সম্মতি দেবে, বিষয়টি এত সহজ নয়। ফৌজিয়ার জন্যও বিষয়টি সহজ হয়নি। ফৌজিয়া জানান, নারী মানেই চলার পথে হাজারো বাধা। আর সে যদি হতে চায় উদ্যোক্তা, সেটা তো এক রূপকথার গল্পের মতো। তিনি বলেন, ‘আমি অতিক্রম করেছি সবার মতোই। কিন্তু আমার স্বামী মানসিকভাবে পূর্ণ সহযোগিতা করেন। সে জন্যই এত দূর আসতে পারা।’
ফৌজিয়ার অধিকাংশ ক্রেতা প্রবাসী বাঙালি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বিপুল জনপ্রিয় তাঁর পরিবেশবান্ধব কাঠ ও বাঁশ-বেতের এসব পণ্য। ফৌজিয়া এখন স্বপ্ন দেখেন, খুলনার পর বিদেশের মাটিতে অন্দরের শোরুম প্রতিষ্ঠা করবেন একদিন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৪ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৪ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৪ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৪ দিন আগে