নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের নারীরা এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পেশায় পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। নীল আকাশের বুকে মেঘের রাজ্যে উড়তে উড়োজাহাজ পরিচালনায়ও বাড়ছে নারী বৈমানিকের সংখ্যা। তাঁরা নিরাপদে ও নিরাপত্তার সঙ্গে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছেন এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে। ২০২১ সাল থেকে মায়মুনা তাহসিন ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করছেন দেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার-এ।
পরিবারের অনেকেই পেশায় চিকিৎসক। সে কারণে মায়মুনার চিকিৎসক হওয়াই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত পথের গন্তব্যও কখনো কখনো বেঁকে যায়। মায়মুনার বেলায়ও হয়েছিল তা-ই। খালারা বিদেশে থাকার কারণে নানা-নানি প্রায়ই বিদেশে ঘুরতে যেতেন। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তাঁদের বিদায় দিতে বা আনতে প্রায়ই এয়ারপোর্টে যেতে হতো তাঁকে। এভাবেই একদিন মনের গভীরে ইচ্ছে জাগে, বড় হয়ে মা-বাবা, নানা-নানি, আত্মীয়স্বজনকে নিজে বিমান চালিয়ে নিয়ে যাবেন বিদেশবিভুঁইয়ে। সেই থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু।
দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় কীভাবে পাইলট হওয়া যায় সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন মায়মুনা তাহসিন। সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ করা কঠিন ছিল। আত্মীয়স্বজনদের কেউ সেটা মানতে চাননি। তবে স্বপ্ন পূরণে হিমালয়ের মতো দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে পাশে ছিলেন তাঁর মা-বাবা। এইচএসসি পাস করার পর তিনি ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হন। পরিবারের সবাইকে রাজি করিয়ে তাঁর মা তাঁকে ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি করান। সেখান থেকেই শুরু হয় স্বপ্ন পূরণের যাত্রা। এরপর একে একে অনেক ধাপ পেরিয়ে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স বা পিপিএল ও কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স বা সিপিএল সম্পন্ন করে নভোএয়ারে যোগ দেন মায়মুনা। পরবর্তী সময়ে নভোএয়ার থেকে এটিআর এয়ারক্রাফট পরিচালনার জন্য ফ্রান্সে সিমুলেটর ট্রেনিং সম্পন্ন করেন তিনি।
পাইলট হিসেবে যোগ দেওয়ার পর স্বপ্ন পূরণের আনন্দে উদ্বেলিত ছিলেন মায়মুনা। কিন্তু কো-পাইলট হিসেবে প্রথম ইউনিফর্ম পরার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতি বদলে যায় তাঁর। স্বপ্ন পূরণের আনন্দের সঙ্গে প্রচুর যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ববোধ কাঁধে চেপে বসে। সেই দিনের সে বিশেষ অনুভূতির সঙ্গে জীবনের আর কোনো অনুভূতিকে এক করতে চান না মায়মুনা।
সব পেশাতেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের নারীরা নিজের ইচ্ছা, শক্তি ও সাহস নিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রমও করছেন। তাহলে পাইলট হতে বাধা কোথায়? তাই নারীদের পাইলট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মায়মুনা তাহসিন। জানিয়েছেন, পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মায়মুনা বলেন, ‘অনেকেরই এই পেশায় কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। আমার কাছে অনেকেই আসে পরামর্শ নিতে।
কিন্তু তারপর আর খবর থাকে না। আমি মনে করি, সব কাজেই নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। সেসব জয় করেই নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে অদম্য সাহস নিয়ে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
দেশের নারীরা এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পেশায় পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। নীল আকাশের বুকে মেঘের রাজ্যে উড়তে উড়োজাহাজ পরিচালনায়ও বাড়ছে নারী বৈমানিকের সংখ্যা। তাঁরা নিরাপদে ও নিরাপত্তার সঙ্গে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছেন এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে। ২০২১ সাল থেকে মায়মুনা তাহসিন ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করছেন দেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার-এ।
পরিবারের অনেকেই পেশায় চিকিৎসক। সে কারণে মায়মুনার চিকিৎসক হওয়াই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত পথের গন্তব্যও কখনো কখনো বেঁকে যায়। মায়মুনার বেলায়ও হয়েছিল তা-ই। খালারা বিদেশে থাকার কারণে নানা-নানি প্রায়ই বিদেশে ঘুরতে যেতেন। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তাঁদের বিদায় দিতে বা আনতে প্রায়ই এয়ারপোর্টে যেতে হতো তাঁকে। এভাবেই একদিন মনের গভীরে ইচ্ছে জাগে, বড় হয়ে মা-বাবা, নানা-নানি, আত্মীয়স্বজনকে নিজে বিমান চালিয়ে নিয়ে যাবেন বিদেশবিভুঁইয়ে। সেই থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু।
দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় কীভাবে পাইলট হওয়া যায় সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন মায়মুনা তাহসিন। সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ করা কঠিন ছিল। আত্মীয়স্বজনদের কেউ সেটা মানতে চাননি। তবে স্বপ্ন পূরণে হিমালয়ের মতো দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে পাশে ছিলেন তাঁর মা-বাবা। এইচএসসি পাস করার পর তিনি ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হন। পরিবারের সবাইকে রাজি করিয়ে তাঁর মা তাঁকে ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি করান। সেখান থেকেই শুরু হয় স্বপ্ন পূরণের যাত্রা। এরপর একে একে অনেক ধাপ পেরিয়ে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স বা পিপিএল ও কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স বা সিপিএল সম্পন্ন করে নভোএয়ারে যোগ দেন মায়মুনা। পরবর্তী সময়ে নভোএয়ার থেকে এটিআর এয়ারক্রাফট পরিচালনার জন্য ফ্রান্সে সিমুলেটর ট্রেনিং সম্পন্ন করেন তিনি।
পাইলট হিসেবে যোগ দেওয়ার পর স্বপ্ন পূরণের আনন্দে উদ্বেলিত ছিলেন মায়মুনা। কিন্তু কো-পাইলট হিসেবে প্রথম ইউনিফর্ম পরার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতি বদলে যায় তাঁর। স্বপ্ন পূরণের আনন্দের সঙ্গে প্রচুর যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ববোধ কাঁধে চেপে বসে। সেই দিনের সে বিশেষ অনুভূতির সঙ্গে জীবনের আর কোনো অনুভূতিকে এক করতে চান না মায়মুনা।
সব পেশাতেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের নারীরা নিজের ইচ্ছা, শক্তি ও সাহস নিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রমও করছেন। তাহলে পাইলট হতে বাধা কোথায়? তাই নারীদের পাইলট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মায়মুনা তাহসিন। জানিয়েছেন, পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মায়মুনা বলেন, ‘অনেকেরই এই পেশায় কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। আমার কাছে অনেকেই আসে পরামর্শ নিতে।
কিন্তু তারপর আর খবর থাকে না। আমি মনে করি, সব কাজেই নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। সেসব জয় করেই নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে অদম্য সাহস নিয়ে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
৪ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৭ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৭ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৭ দিন আগে