
ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
ব্যক্তিগত জীবন
তসলিমার বাবার নাম মহসীনউল ইসলাম এবং মা কবিরা খাতুন। বাবা মারা গেছেন। তাঁর এক বোন আছেন, নাম শামীমা ফেরদৌস। তসলিমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলের নাম মাহ্ফুজুল আলম। তিনি ফিনল্যান্ডে থাকেন। মেয়ে মাসকুরা আশরাফি। এখন স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায়। নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নওগাঁ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বগুড়ার সান্তাহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন তসলিমা।
এসএসসি পরীক্ষার আগে মো. মাহবুব আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা।
শহর থেকে শহরে
স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে শহর থেকে শহরে বসবাসই নিয়তি। ১৯৮১ সালের দিকে নওগাঁ ছেড়ে স্বামীর কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তসলিমা। সেখানে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানকার কয়েকজন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ‘শিশু শিক্ষালয়’ নামে একটি স্কুল।
এর কিছুদিন পর মো. মাহবুব আলম বদলি হয়ে চলে যান বগুড়া। ফলে তসলিমাকেও যেতে হয় সঙ্গে। সেখানে থাকাকালে তিনি প্রায় ২৫০ জন নারীকে সেলাইয়ের কাজ শেখান।
নতুন অধ্যায়
ছেলে-মেয়েরা বড় হতে থাকলে পড়াশোনার জন্য তাদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তসলিমা। চাকরি নেন মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে। মাদার তেরেসার অনুরাগী তসলিমা ২০০৪ সালে মিরপুরে নিজের ভাড়া বাসায় সন্তানদের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন প্রবীণ নিবাস ‘বেলা শেষে’। শুরু হয় নতুন অধ্যায়। সেখানে অসহায় প্রবীণেরা আশ্রয় পেতেন।
২০১০ সালে তসলিমার সন্তানেরা লেখাপড়া শেষ করে প্রবাসে চলে যান। আর তিনি বেলা শেষেতে আশ্রয় পাওয়া লোকদের অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করে নওগাঁয় চলে যান।
নওগাঁয় বেলা শেষে
নওগাঁয় কাজীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিলেন তসলিমা। সেখানে রাখতে শুরু করলেন অসুস্থ, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রবীণ নারীদের। এই মানুষগুলোর চিৎকার আর অসংলগ্ন ব্যবহারে এলাকার মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠল। ফলে দরকার হলো স্থায়ী ঠিকানার। শহর থেকে কিছুটা ভেতরে বেলা শেষের জন্য একটুকরা জমি কিনলেন তাঁর স্বামী। সেখানে তৈরি হলো টিনশেড ভবন। সে ভবনে জায়গা পেলেন ১১ জন নারী। সেখানেও স্থানীয়রা তাঁকে স্বস্তিতে থাকতে দিলেন না। কিন্তু অটল থাকলেন তসলিমা।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ প্রবীণ নিবাসে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এখন পর্যন্ত বেলা শেষেতে ৮০০ জনের বেশি প্রবীণ এবং মা-বাবাসহ শিশু সেবা নিয়েছেন। প্রবীণদের কেউ মারা গেছেন, কেউবা সেবা নিয়ে ফিরেছেন পরিবারের কাছে। বেলা শেষেতে বড় হওয়া কয়েকজন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। এখনো তাঁদের খোঁজ রাখেন তিনি। এখানকার ছেলেরা কেউ স্কুলে কেউ মাদ্রাসায় পড়ছে। বর্তমানে বেলা শেষেতে শিশু ও প্রবীণ—সব মিলিয়ে বাস করছেন ১৪ জন।
আড্ডায় কফি
প্রবীণ নিবাস এবং সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য তসলিমা নওগাঁ শহরে ‘আড্ডায় কফি’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু করেন। যেখানে কাজ করেন প্রায় ১২ জন মানুষ। এদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ বেকার।
সচেতনতা ছড়াচ্ছেন
এত কিছুর পরেও নারী নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সরব তিনি। এ দুটি বিষয় প্রতিরোধ করতে গ্রামের মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জায়গায় জোগাড় করে দিচ্ছেন রক্ত। গরিব রোগীদের জন্য মাঝেমধ্যে করছেন মেডিকেল ক্যাম্প। প্রতি ঈদে এক দিনের আহারের মতো কিছু আয়োজনও করেন তসলিমা।
সম্মাননা
এসব কাজের জন্য পেয়েছেন ‘রাঁধুনি কীর্তিমতী হিতৈষী-২০১৮’ সম্মাননা। পেয়েছেন নওগাঁর একুশে পরিষদের বেগম রোকেয়া পদক।
আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
তসলিমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। যা করছেন, সেটাই করে যেতে চান। সবাই তাঁকে মা ডাকে। ‘আর একজন নারীর কাছে মা ডাক শোনার চেয়ে বড় পাওয়া আর কী-ইবা আছে।’ বিকেলের ফুরিয়ে যাওয়া আলোয় আমাদের বিদায় জানালেন তসলিমা ফেরদৌস।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
ব্যক্তিগত জীবন
তসলিমার বাবার নাম মহসীনউল ইসলাম এবং মা কবিরা খাতুন। বাবা মারা গেছেন। তাঁর এক বোন আছেন, নাম শামীমা ফেরদৌস। তসলিমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলের নাম মাহ্ফুজুল আলম। তিনি ফিনল্যান্ডে থাকেন। মেয়ে মাসকুরা আশরাফি। এখন স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায়। নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নওগাঁ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বগুড়ার সান্তাহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন তসলিমা।
এসএসসি পরীক্ষার আগে মো. মাহবুব আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা।
শহর থেকে শহরে
স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে শহর থেকে শহরে বসবাসই নিয়তি। ১৯৮১ সালের দিকে নওগাঁ ছেড়ে স্বামীর কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তসলিমা। সেখানে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানকার কয়েকজন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ‘শিশু শিক্ষালয়’ নামে একটি স্কুল।
এর কিছুদিন পর মো. মাহবুব আলম বদলি হয়ে চলে যান বগুড়া। ফলে তসলিমাকেও যেতে হয় সঙ্গে। সেখানে থাকাকালে তিনি প্রায় ২৫০ জন নারীকে সেলাইয়ের কাজ শেখান।
নতুন অধ্যায়
ছেলে-মেয়েরা বড় হতে থাকলে পড়াশোনার জন্য তাদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তসলিমা। চাকরি নেন মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে। মাদার তেরেসার অনুরাগী তসলিমা ২০০৪ সালে মিরপুরে নিজের ভাড়া বাসায় সন্তানদের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন প্রবীণ নিবাস ‘বেলা শেষে’। শুরু হয় নতুন অধ্যায়। সেখানে অসহায় প্রবীণেরা আশ্রয় পেতেন।
২০১০ সালে তসলিমার সন্তানেরা লেখাপড়া শেষ করে প্রবাসে চলে যান। আর তিনি বেলা শেষেতে আশ্রয় পাওয়া লোকদের অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করে নওগাঁয় চলে যান।
নওগাঁয় বেলা শেষে
নওগাঁয় কাজীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিলেন তসলিমা। সেখানে রাখতে শুরু করলেন অসুস্থ, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রবীণ নারীদের। এই মানুষগুলোর চিৎকার আর অসংলগ্ন ব্যবহারে এলাকার মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠল। ফলে দরকার হলো স্থায়ী ঠিকানার। শহর থেকে কিছুটা ভেতরে বেলা শেষের জন্য একটুকরা জমি কিনলেন তাঁর স্বামী। সেখানে তৈরি হলো টিনশেড ভবন। সে ভবনে জায়গা পেলেন ১১ জন নারী। সেখানেও স্থানীয়রা তাঁকে স্বস্তিতে থাকতে দিলেন না। কিন্তু অটল থাকলেন তসলিমা।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ প্রবীণ নিবাসে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এখন পর্যন্ত বেলা শেষেতে ৮০০ জনের বেশি প্রবীণ এবং মা-বাবাসহ শিশু সেবা নিয়েছেন। প্রবীণদের কেউ মারা গেছেন, কেউবা সেবা নিয়ে ফিরেছেন পরিবারের কাছে। বেলা শেষেতে বড় হওয়া কয়েকজন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। এখনো তাঁদের খোঁজ রাখেন তিনি। এখানকার ছেলেরা কেউ স্কুলে কেউ মাদ্রাসায় পড়ছে। বর্তমানে বেলা শেষেতে শিশু ও প্রবীণ—সব মিলিয়ে বাস করছেন ১৪ জন।
আড্ডায় কফি
প্রবীণ নিবাস এবং সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য তসলিমা নওগাঁ শহরে ‘আড্ডায় কফি’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু করেন। যেখানে কাজ করেন প্রায় ১২ জন মানুষ। এদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ বেকার।
সচেতনতা ছড়াচ্ছেন
এত কিছুর পরেও নারী নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সরব তিনি। এ দুটি বিষয় প্রতিরোধ করতে গ্রামের মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জায়গায় জোগাড় করে দিচ্ছেন রক্ত। গরিব রোগীদের জন্য মাঝেমধ্যে করছেন মেডিকেল ক্যাম্প। প্রতি ঈদে এক দিনের আহারের মতো কিছু আয়োজনও করেন তসলিমা।
সম্মাননা
এসব কাজের জন্য পেয়েছেন ‘রাঁধুনি কীর্তিমতী হিতৈষী-২০১৮’ সম্মাননা। পেয়েছেন নওগাঁর একুশে পরিষদের বেগম রোকেয়া পদক।
আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
তসলিমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। যা করছেন, সেটাই করে যেতে চান। সবাই তাঁকে মা ডাকে। ‘আর একজন নারীর কাছে মা ডাক শোনার চেয়ে বড় পাওয়া আর কী-ইবা আছে।’ বিকেলের ফুরিয়ে যাওয়া আলোয় আমাদের বিদায় জানালেন তসলিমা ফেরদৌস।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
ব্যক্তিগত জীবন
তসলিমার বাবার নাম মহসীনউল ইসলাম এবং মা কবিরা খাতুন। বাবা মারা গেছেন। তাঁর এক বোন আছেন, নাম শামীমা ফেরদৌস। তসলিমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলের নাম মাহ্ফুজুল আলম। তিনি ফিনল্যান্ডে থাকেন। মেয়ে মাসকুরা আশরাফি। এখন স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায়। নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নওগাঁ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বগুড়ার সান্তাহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন তসলিমা।
এসএসসি পরীক্ষার আগে মো. মাহবুব আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা।
শহর থেকে শহরে
স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে শহর থেকে শহরে বসবাসই নিয়তি। ১৯৮১ সালের দিকে নওগাঁ ছেড়ে স্বামীর কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তসলিমা। সেখানে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানকার কয়েকজন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ‘শিশু শিক্ষালয়’ নামে একটি স্কুল।
এর কিছুদিন পর মো. মাহবুব আলম বদলি হয়ে চলে যান বগুড়া। ফলে তসলিমাকেও যেতে হয় সঙ্গে। সেখানে থাকাকালে তিনি প্রায় ২৫০ জন নারীকে সেলাইয়ের কাজ শেখান।
নতুন অধ্যায়
ছেলে-মেয়েরা বড় হতে থাকলে পড়াশোনার জন্য তাদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তসলিমা। চাকরি নেন মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে। মাদার তেরেসার অনুরাগী তসলিমা ২০০৪ সালে মিরপুরে নিজের ভাড়া বাসায় সন্তানদের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন প্রবীণ নিবাস ‘বেলা শেষে’। শুরু হয় নতুন অধ্যায়। সেখানে অসহায় প্রবীণেরা আশ্রয় পেতেন।
২০১০ সালে তসলিমার সন্তানেরা লেখাপড়া শেষ করে প্রবাসে চলে যান। আর তিনি বেলা শেষেতে আশ্রয় পাওয়া লোকদের অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করে নওগাঁয় চলে যান।
নওগাঁয় বেলা শেষে
নওগাঁয় কাজীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিলেন তসলিমা। সেখানে রাখতে শুরু করলেন অসুস্থ, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রবীণ নারীদের। এই মানুষগুলোর চিৎকার আর অসংলগ্ন ব্যবহারে এলাকার মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠল। ফলে দরকার হলো স্থায়ী ঠিকানার। শহর থেকে কিছুটা ভেতরে বেলা শেষের জন্য একটুকরা জমি কিনলেন তাঁর স্বামী। সেখানে তৈরি হলো টিনশেড ভবন। সে ভবনে জায়গা পেলেন ১১ জন নারী। সেখানেও স্থানীয়রা তাঁকে স্বস্তিতে থাকতে দিলেন না। কিন্তু অটল থাকলেন তসলিমা।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ প্রবীণ নিবাসে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এখন পর্যন্ত বেলা শেষেতে ৮০০ জনের বেশি প্রবীণ এবং মা-বাবাসহ শিশু সেবা নিয়েছেন। প্রবীণদের কেউ মারা গেছেন, কেউবা সেবা নিয়ে ফিরেছেন পরিবারের কাছে। বেলা শেষেতে বড় হওয়া কয়েকজন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। এখনো তাঁদের খোঁজ রাখেন তিনি। এখানকার ছেলেরা কেউ স্কুলে কেউ মাদ্রাসায় পড়ছে। বর্তমানে বেলা শেষেতে শিশু ও প্রবীণ—সব মিলিয়ে বাস করছেন ১৪ জন।
আড্ডায় কফি
প্রবীণ নিবাস এবং সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য তসলিমা নওগাঁ শহরে ‘আড্ডায় কফি’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু করেন। যেখানে কাজ করেন প্রায় ১২ জন মানুষ। এদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ বেকার।
সচেতনতা ছড়াচ্ছেন
এত কিছুর পরেও নারী নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সরব তিনি। এ দুটি বিষয় প্রতিরোধ করতে গ্রামের মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জায়গায় জোগাড় করে দিচ্ছেন রক্ত। গরিব রোগীদের জন্য মাঝেমধ্যে করছেন মেডিকেল ক্যাম্প। প্রতি ঈদে এক দিনের আহারের মতো কিছু আয়োজনও করেন তসলিমা।
সম্মাননা
এসব কাজের জন্য পেয়েছেন ‘রাঁধুনি কীর্তিমতী হিতৈষী-২০১৮’ সম্মাননা। পেয়েছেন নওগাঁর একুশে পরিষদের বেগম রোকেয়া পদক।
আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
তসলিমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। যা করছেন, সেটাই করে যেতে চান। সবাই তাঁকে মা ডাকে। ‘আর একজন নারীর কাছে মা ডাক শোনার চেয়ে বড় পাওয়া আর কী-ইবা আছে।’ বিকেলের ফুরিয়ে যাওয়া আলোয় আমাদের বিদায় জানালেন তসলিমা ফেরদৌস।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
ব্যক্তিগত জীবন
তসলিমার বাবার নাম মহসীনউল ইসলাম এবং মা কবিরা খাতুন। বাবা মারা গেছেন। তাঁর এক বোন আছেন, নাম শামীমা ফেরদৌস। তসলিমার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলের নাম মাহ্ফুজুল আলম। তিনি ফিনল্যান্ডে থাকেন। মেয়ে মাসকুরা আশরাফি। এখন স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায়। নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নওগাঁ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বগুড়ার সান্তাহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন তসলিমা।
এসএসসি পরীক্ষার আগে মো. মাহবুব আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা।
শহর থেকে শহরে
স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে শহর থেকে শহরে বসবাসই নিয়তি। ১৯৮১ সালের দিকে নওগাঁ ছেড়ে স্বামীর কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তসলিমা। সেখানে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানকার কয়েকজন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ‘শিশু শিক্ষালয়’ নামে একটি স্কুল।
এর কিছুদিন পর মো. মাহবুব আলম বদলি হয়ে চলে যান বগুড়া। ফলে তসলিমাকেও যেতে হয় সঙ্গে। সেখানে থাকাকালে তিনি প্রায় ২৫০ জন নারীকে সেলাইয়ের কাজ শেখান।
নতুন অধ্যায়
ছেলে-মেয়েরা বড় হতে থাকলে পড়াশোনার জন্য তাদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তসলিমা। চাকরি নেন মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে। মাদার তেরেসার অনুরাগী তসলিমা ২০০৪ সালে মিরপুরে নিজের ভাড়া বাসায় সন্তানদের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন প্রবীণ নিবাস ‘বেলা শেষে’। শুরু হয় নতুন অধ্যায়। সেখানে অসহায় প্রবীণেরা আশ্রয় পেতেন।
২০১০ সালে তসলিমার সন্তানেরা লেখাপড়া শেষ করে প্রবাসে চলে যান। আর তিনি বেলা শেষেতে আশ্রয় পাওয়া লোকদের অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করে নওগাঁয় চলে যান।
নওগাঁয় বেলা শেষে
নওগাঁয় কাজীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিলেন তসলিমা। সেখানে রাখতে শুরু করলেন অসুস্থ, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রবীণ নারীদের। এই মানুষগুলোর চিৎকার আর অসংলগ্ন ব্যবহারে এলাকার মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠল। ফলে দরকার হলো স্থায়ী ঠিকানার। শহর থেকে কিছুটা ভেতরে বেলা শেষের জন্য একটুকরা জমি কিনলেন তাঁর স্বামী। সেখানে তৈরি হলো টিনশেড ভবন। সে ভবনে জায়গা পেলেন ১১ জন নারী। সেখানেও স্থানীয়রা তাঁকে স্বস্তিতে থাকতে দিলেন না। কিন্তু অটল থাকলেন তসলিমা।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ প্রবীণ নিবাসে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এখন পর্যন্ত বেলা শেষেতে ৮০০ জনের বেশি প্রবীণ এবং মা-বাবাসহ শিশু সেবা নিয়েছেন। প্রবীণদের কেউ মারা গেছেন, কেউবা সেবা নিয়ে ফিরেছেন পরিবারের কাছে। বেলা শেষেতে বড় হওয়া কয়েকজন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। এখনো তাঁদের খোঁজ রাখেন তিনি। এখানকার ছেলেরা কেউ স্কুলে কেউ মাদ্রাসায় পড়ছে। বর্তমানে বেলা শেষেতে শিশু ও প্রবীণ—সব মিলিয়ে বাস করছেন ১৪ জন।
আড্ডায় কফি
প্রবীণ নিবাস এবং সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য তসলিমা নওগাঁ শহরে ‘আড্ডায় কফি’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু করেন। যেখানে কাজ করেন প্রায় ১২ জন মানুষ। এদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ বেকার।
সচেতনতা ছড়াচ্ছেন
এত কিছুর পরেও নারী নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সরব তিনি। এ দুটি বিষয় প্রতিরোধ করতে গ্রামের মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জায়গায় জোগাড় করে দিচ্ছেন রক্ত। গরিব রোগীদের জন্য মাঝেমধ্যে করছেন মেডিকেল ক্যাম্প। প্রতি ঈদে এক দিনের আহারের মতো কিছু আয়োজনও করেন তসলিমা।
সম্মাননা
এসব কাজের জন্য পেয়েছেন ‘রাঁধুনি কীর্তিমতী হিতৈষী-২০১৮’ সম্মাননা। পেয়েছেন নওগাঁর একুশে পরিষদের বেগম রোকেয়া পদক।
আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
তসলিমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। যা করছেন, সেটাই করে যেতে চান। সবাই তাঁকে মা ডাকে। ‘আর একজন নারীর কাছে মা ডাক শোনার চেয়ে বড় পাওয়া আর কী-ইবা আছে।’ বিকেলের ফুরিয়ে যাওয়া আলোয় আমাদের বিদায় জানালেন তসলিমা ফেরদৌস।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

ছোটবেলায় বাড়ির পাশে দেড় বছরের একটি ডুবন্ত শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন তসলিমা। বাঁচতে চাওয়া মানুষদের সকাতর আর্তি দেখার সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ জীবনে মানুষের পাশে থাকা। সে জন্যই ৬৩ বছর বয়সে এসে তসলিমা অনেকের ‘মা’, অনেকের ‘আন্টি’।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে