ফিচার ডেস্ক
মীনা কার্টুনের থিম সংয়ের একটা লাইনে শোনা যায়, ‘শিক্ষা আমায় মুক্তি দেবে, মুক্তি দেবে’। শিক্ষাই হয়তো মুক্তির একমাত্র পথ নয়। এটি যে অন্যতম পথ, তা প্রমাণিত। কিন্তু মুক্তির জন্য এই শিক্ষা কি সবার ভাগ্যে জোটে? বেঁচে থাকার লড়াই করা যেখানে কঠিন, সেখানে রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই করে শিক্ষা লাভ করা অনেকের কাছে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সমান। আর এমন অবাঞ্ছিত বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আফগান কিশোরীদের। রাত পোহালেই তাদের স্কুলে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার এক হাজার কুড়িতম দিন।
আফগান নাগরিকেরা নানা প্রতিবন্ধকতা, নিষেধাজ্ঞা আর অনিয়মের সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করে বেঁচে আছে। বঞ্চিত হচ্ছে স্বাভাবিক অনেক অধিকার থেকে। আফগান নারীদের অবস্থা শোচনীয়। চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখার যাবতীয় আয়োজনই করে রেখেছে তাদের সরকার। স্কুল বন্ধ করে দিয়ে জাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে নারীরা ঘরের বাইরে কাজ করত, তাদের প্রতিও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
২০২২ সালের বসন্ত। মার্চের ২১ তারিখ। সেদিন তালেবান শাসকেরা কন্যাশিশুদের স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই বসন্তের পর দুই বসন্ত পেরিয়ে গেলেও দেশটির মেয়েরা স্কুলমুখী হয়ে উঠতে পারেনি। অনেকে লড়ে যাচ্ছে এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে।
সামর্থ্যবানেরা চলে যাচ্ছে দেশ থেকে। আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী গভর্নর ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই প্রশাসনে মহিলাবিষয়ক মন্ত্রী হাবিবা সারাবি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আফগান নারীদের অধিকারের কথা। তাদের কথা অনেকেই বলছেন, তবে দৃশ্যত কোনো কাজ হচ্ছে না। তার একটা বড় প্রমাণ এই স্কুল বন্ধের সময়কাল। অথচ মানবাধিকার সংগঠন আর তাদের সনদগুলো বলছে, শিক্ষা মানুষের অধিকার।
আজকের কিশোরী আগামী দিনের নারী। একজন নারী একটি জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, আফগানিস্তানে আনুমানিক দেড় মিলিয়ন কিশোরী স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। কারণ, তালেবানদের মতে, স্কুল শুধু ছেলেদের জন্য। স্কুল বন্ধের মাশুল এই কিশোরীরা দিচ্ছে কীভাবে? এর উত্তর ভয়ংকর। আফগান কিশোরীরা তাদের নারীজীবনের মাশুল দিচ্ছে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, আত্মহত্যা কিংবা মাদকাসক্তির মতো অন্ধকার পথ পাড়ি দিয়ে। তালেবানের এই সিদ্ধান্ত কিশোরীদের স্বপ্নকে যে শুধু আটকে রেখেছে, এমন নয়; বস্তুত তাদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। গুনতে গুনতে বেড়ে যাচ্ছে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার দিন। রাত পোহালেই এক হাজার কুড়িতম দিন। তারপর একুশ, বাইশ করে হয়তো সেটা আরও বেড়ে যাবে। এমন অনেক কিশোরী আছে, যাদের ১৩ বছর বয়সে তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। তাদের বর্তমান বয়স ১৫ অথবা ১৬। এই কিশোরীদের অনেকেই বাল্যবিবাহের শিকার। তাদের অনেকে এখন সন্তানের মা। তারা অধিকাংশই পারিবারিক সহিংসতার শিকার। স্বামীর সঙ্গে থাকতে না চাইলে তাদের কারাদণ্ডের শাস্তি শোনানো হচ্ছে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এই কিশোরী মেয়েরা হয়তো মীনার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চায়, ‘আমিই তো কালকের খুশি আর আশা/ আমারও তো সাধ আছে, আছে অভিলাষ,/ ঘরে বেঁধে রেখো না, নিয়ে যাও এগিয়ে।’ কিন্তু হায় দুর্ভাগ্য! তাদের এ কথা শোনার কেউ নেই, এই আর্তনাদ হয়তো পৌঁছাচ্ছে না কারও কানেই।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা ও রুকশানা মিডিয়া
মীনা কার্টুনের থিম সংয়ের একটা লাইনে শোনা যায়, ‘শিক্ষা আমায় মুক্তি দেবে, মুক্তি দেবে’। শিক্ষাই হয়তো মুক্তির একমাত্র পথ নয়। এটি যে অন্যতম পথ, তা প্রমাণিত। কিন্তু মুক্তির জন্য এই শিক্ষা কি সবার ভাগ্যে জোটে? বেঁচে থাকার লড়াই করা যেখানে কঠিন, সেখানে রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই করে শিক্ষা লাভ করা অনেকের কাছে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সমান। আর এমন অবাঞ্ছিত বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আফগান কিশোরীদের। রাত পোহালেই তাদের স্কুলে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার এক হাজার কুড়িতম দিন।
আফগান নাগরিকেরা নানা প্রতিবন্ধকতা, নিষেধাজ্ঞা আর অনিয়মের সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করে বেঁচে আছে। বঞ্চিত হচ্ছে স্বাভাবিক অনেক অধিকার থেকে। আফগান নারীদের অবস্থা শোচনীয়। চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখার যাবতীয় আয়োজনই করে রেখেছে তাদের সরকার। স্কুল বন্ধ করে দিয়ে জাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে নারীরা ঘরের বাইরে কাজ করত, তাদের প্রতিও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
২০২২ সালের বসন্ত। মার্চের ২১ তারিখ। সেদিন তালেবান শাসকেরা কন্যাশিশুদের স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই বসন্তের পর দুই বসন্ত পেরিয়ে গেলেও দেশটির মেয়েরা স্কুলমুখী হয়ে উঠতে পারেনি। অনেকে লড়ে যাচ্ছে এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে।
সামর্থ্যবানেরা চলে যাচ্ছে দেশ থেকে। আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী গভর্নর ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই প্রশাসনে মহিলাবিষয়ক মন্ত্রী হাবিবা সারাবি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আফগান নারীদের অধিকারের কথা। তাদের কথা অনেকেই বলছেন, তবে দৃশ্যত কোনো কাজ হচ্ছে না। তার একটা বড় প্রমাণ এই স্কুল বন্ধের সময়কাল। অথচ মানবাধিকার সংগঠন আর তাদের সনদগুলো বলছে, শিক্ষা মানুষের অধিকার।
আজকের কিশোরী আগামী দিনের নারী। একজন নারী একটি জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, আফগানিস্তানে আনুমানিক দেড় মিলিয়ন কিশোরী স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। কারণ, তালেবানদের মতে, স্কুল শুধু ছেলেদের জন্য। স্কুল বন্ধের মাশুল এই কিশোরীরা দিচ্ছে কীভাবে? এর উত্তর ভয়ংকর। আফগান কিশোরীরা তাদের নারীজীবনের মাশুল দিচ্ছে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, আত্মহত্যা কিংবা মাদকাসক্তির মতো অন্ধকার পথ পাড়ি দিয়ে। তালেবানের এই সিদ্ধান্ত কিশোরীদের স্বপ্নকে যে শুধু আটকে রেখেছে, এমন নয়; বস্তুত তাদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। গুনতে গুনতে বেড়ে যাচ্ছে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার দিন। রাত পোহালেই এক হাজার কুড়িতম দিন। তারপর একুশ, বাইশ করে হয়তো সেটা আরও বেড়ে যাবে। এমন অনেক কিশোরী আছে, যাদের ১৩ বছর বয়সে তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। তাদের বর্তমান বয়স ১৫ অথবা ১৬। এই কিশোরীদের অনেকেই বাল্যবিবাহের শিকার। তাদের অনেকে এখন সন্তানের মা। তারা অধিকাংশই পারিবারিক সহিংসতার শিকার। স্বামীর সঙ্গে থাকতে না চাইলে তাদের কারাদণ্ডের শাস্তি শোনানো হচ্ছে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এই কিশোরী মেয়েরা হয়তো মীনার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চায়, ‘আমিই তো কালকের খুশি আর আশা/ আমারও তো সাধ আছে, আছে অভিলাষ,/ ঘরে বেঁধে রেখো না, নিয়ে যাও এগিয়ে।’ কিন্তু হায় দুর্ভাগ্য! তাদের এ কথা শোনার কেউ নেই, এই আর্তনাদ হয়তো পৌঁছাচ্ছে না কারও কানেই।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা ও রুকশানা মিডিয়া
দেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
২ দিন আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
২ দিন আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
২ দিন আগেআমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে...
২ দিন আগে