কাশফিয়া আলম ঝিলিক
এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে? এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আমরা লিখিত প্রশ্ন পাঠিয়েছিলাম তিন নারীনেত্রীর কাছে। কী বলছেন তাঁরা? জানাচ্ছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।
নারীকে পিছিয়ে রাখা মানে সমাজকেই পিছিয়ে রাখা
নারীবিষয়ক প্রতিবাদী পদক্ষেপগুলো বেশির ভাগ সময় ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ, বৈষম্যমূলক এই সমাজে ক্ষমতাসীনেরা সব সময় মানুষকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। শহরের নারীদের স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কর্মজীবী নারীর সন্তানকে দেখাশোনার জন্য ডে কেয়ার নেই। অথচ এগুলো নিয়ে আলোচনা কম। গুটিকয়েক সেনসেশনাল ইস্যু, যেগুলো বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাধারণ নারীর মূল ইস্যু নয়, সেগুলো নিয়েই মিডিয়া সয়লাব। মূল আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
নারীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললেও রাষ্ট্র কখনোই তার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না; বরং পুরুষতন্ত্রের ধারক-বাহক রাষ্ট্রনায়কেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নারীকে গৃহে বন্দী করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতিবাচক প্রভাব যেমন ফেলছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও। তবে সরকারের অবহেলার কারণে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে নারী অবাধে তার মত প্রকাশ করতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে জনপরিসরে হেয় করে বক্তব্য ছড়িয়ে নারীজীবনকে খুব সহজে আক্রান্ত করা যায়। শোষণের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ প্রতিবাদ করতে না পারে, তাই নারী এবং ধর্মকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভেদ তৈরি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জনমনে নারী সম্পর্কে বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
নারী অধিকার বলতে, শ্রম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কিংবা সম্পত্তি নিয়ে যেসব প্রতিবাদ হয়ে থাকে, সেগুলো সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নারীরা এক্সট্রিম কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ফলে সমাজে যারা সাধারণ নারী, যারা অ্যাকটিভিজম করে না, তারা আসলে নিজেদের এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না। এ কারণে নারীর বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কথাবার্তা কম হতে দেখা যায়।
নারীকে আজেবাজে মন্তব্য করার বিষয়ে অনেকে বলেন, আমরা তো অন্য নারীকে বলছি, সবাইকে না। তখন আজেবাজে কথাকে ইস্যু বানানো হয় না। যদি জনসমক্ষে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা শুরু হয়, যারা এ ধরনের মন্তব্য করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে এসব বন্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশে দেখা যায়, নারীকে হেয় করার জন্য সব ক্ষেত্রে এ ধরনের মন্তব্যের আশ্রয় নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীরা যেমন ভোকাল হয়, তেমনই নারীর প্রতি অবমাননাও করা হয়। দেখা যায়, নেতিবাচক বিষয়গুলোই এখানে বেশি প্রচারিত হয়। তাই এখানে নারীবিদ্বেষ মোটাদাগে বেশি চোখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আরও বেশি নারীকে হেনস্তার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায় যে নারীরা যেহেতু সমান অধিকার চাচ্ছে, তাহলে সমান হেনস্তার শিকার তারা কেন হবে না। এ ধরনের একটা কনসেপ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে গড়ে উঠছে। এসব নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নারী বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই হয় না
নারী নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশ-কালের পরিবর্তনের ফলে এর ফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো ইস্যু এলে এটা আমাদের চোখে পড়ে বেশি। কিন্তু নারীবিদ্বেষী মন্তব্য এখানে চলমান। কারণ, আমরা যে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোতে বাস করি, সেখানে নারীকে অতি ক্ষমতাহীন ও দুর্বল ভাবা হয়। তাই তাদের প্রতি যেকোনো মন্তব্য করা যায় বলে তারা মনে করে। আবার যে নারী এগিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই মিসোজেনিস্ট আলাপ করে দাবিয়ে রাখতে চায়। কখনো দেখেছেন, এই ধরনের কথা বললে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয়! তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোনো অ্যাকশন থাকে? এর মানে কি এই নয় যে রাষ্ট্র নিজেও নারীবিদ্বেষী এই প্রবণতা উৎপাদনের পেছনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে তার নানা অ্যাকশন দিয়ে।
নারীর যেকোনো বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই তো হয় না। নারী হচ্ছে লিটমাসের মতো। এই প্রসঙ্গের অবস্থান দিয়েই চিহ্নিত করা যায়, রাষ্ট্র জনগণের পক্ষে না বিপক্ষে। তাই এ-সংক্রান্ত প্রতিবাদ যত ধামাচাপা দেওয়া যাবে, তা রাষ্ট্রের জন্য তত স্বস্তির।
চতুর্থ তরঙ্গের নারীবাদের মূল থিম হচ্ছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যৌথ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলা। ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীরা বিভিন্ন ফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, ঠিক তেমনি নারীবাদীদের বহুমুখী ডিজিটাল অ্যাকটিভিজম গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে অস্বীকার না করে চতুর্থ ওয়েভ নারীবাদ কিন্তু প্রযুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে একে শক্তি হিসেবে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও আমি মনে করি নারীবাদী অ্যাকটিভিজমের শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই আমি ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীর নব কৌশলে হয়রানির শিকার হওয়া দেখছি, তেমনি তার বিপরীতে প্রচুর নারীর সঞ্চরণশীল কার্যক্রমকেও পাঠ করছি।
এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে? এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আমরা লিখিত প্রশ্ন পাঠিয়েছিলাম তিন নারীনেত্রীর কাছে। কী বলছেন তাঁরা? জানাচ্ছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।
নারীকে পিছিয়ে রাখা মানে সমাজকেই পিছিয়ে রাখা
নারীবিষয়ক প্রতিবাদী পদক্ষেপগুলো বেশির ভাগ সময় ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ, বৈষম্যমূলক এই সমাজে ক্ষমতাসীনেরা সব সময় মানুষকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। শহরের নারীদের স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কর্মজীবী নারীর সন্তানকে দেখাশোনার জন্য ডে কেয়ার নেই। অথচ এগুলো নিয়ে আলোচনা কম। গুটিকয়েক সেনসেশনাল ইস্যু, যেগুলো বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাধারণ নারীর মূল ইস্যু নয়, সেগুলো নিয়েই মিডিয়া সয়লাব। মূল আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
নারীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললেও রাষ্ট্র কখনোই তার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না; বরং পুরুষতন্ত্রের ধারক-বাহক রাষ্ট্রনায়কেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নারীকে গৃহে বন্দী করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতিবাচক প্রভাব যেমন ফেলছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও। তবে সরকারের অবহেলার কারণে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে নারী অবাধে তার মত প্রকাশ করতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে জনপরিসরে হেয় করে বক্তব্য ছড়িয়ে নারীজীবনকে খুব সহজে আক্রান্ত করা যায়। শোষণের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ প্রতিবাদ করতে না পারে, তাই নারী এবং ধর্মকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভেদ তৈরি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জনমনে নারী সম্পর্কে বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
নারী অধিকার বলতে, শ্রম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কিংবা সম্পত্তি নিয়ে যেসব প্রতিবাদ হয়ে থাকে, সেগুলো সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নারীরা এক্সট্রিম কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ফলে সমাজে যারা সাধারণ নারী, যারা অ্যাকটিভিজম করে না, তারা আসলে নিজেদের এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না। এ কারণে নারীর বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কথাবার্তা কম হতে দেখা যায়।
নারীকে আজেবাজে মন্তব্য করার বিষয়ে অনেকে বলেন, আমরা তো অন্য নারীকে বলছি, সবাইকে না। তখন আজেবাজে কথাকে ইস্যু বানানো হয় না। যদি জনসমক্ষে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা শুরু হয়, যারা এ ধরনের মন্তব্য করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে এসব বন্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশে দেখা যায়, নারীকে হেয় করার জন্য সব ক্ষেত্রে এ ধরনের মন্তব্যের আশ্রয় নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীরা যেমন ভোকাল হয়, তেমনই নারীর প্রতি অবমাননাও করা হয়। দেখা যায়, নেতিবাচক বিষয়গুলোই এখানে বেশি প্রচারিত হয়। তাই এখানে নারীবিদ্বেষ মোটাদাগে বেশি চোখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আরও বেশি নারীকে হেনস্তার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায় যে নারীরা যেহেতু সমান অধিকার চাচ্ছে, তাহলে সমান হেনস্তার শিকার তারা কেন হবে না। এ ধরনের একটা কনসেপ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে গড়ে উঠছে। এসব নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নারী বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই হয় না
নারী নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশ-কালের পরিবর্তনের ফলে এর ফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো ইস্যু এলে এটা আমাদের চোখে পড়ে বেশি। কিন্তু নারীবিদ্বেষী মন্তব্য এখানে চলমান। কারণ, আমরা যে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোতে বাস করি, সেখানে নারীকে অতি ক্ষমতাহীন ও দুর্বল ভাবা হয়। তাই তাদের প্রতি যেকোনো মন্তব্য করা যায় বলে তারা মনে করে। আবার যে নারী এগিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই মিসোজেনিস্ট আলাপ করে দাবিয়ে রাখতে চায়। কখনো দেখেছেন, এই ধরনের কথা বললে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয়! তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোনো অ্যাকশন থাকে? এর মানে কি এই নয় যে রাষ্ট্র নিজেও নারীবিদ্বেষী এই প্রবণতা উৎপাদনের পেছনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে তার নানা অ্যাকশন দিয়ে।
নারীর যেকোনো বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই তো হয় না। নারী হচ্ছে লিটমাসের মতো। এই প্রসঙ্গের অবস্থান দিয়েই চিহ্নিত করা যায়, রাষ্ট্র জনগণের পক্ষে না বিপক্ষে। তাই এ-সংক্রান্ত প্রতিবাদ যত ধামাচাপা দেওয়া যাবে, তা রাষ্ট্রের জন্য তত স্বস্তির।
চতুর্থ তরঙ্গের নারীবাদের মূল থিম হচ্ছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যৌথ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলা। ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীরা বিভিন্ন ফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, ঠিক তেমনি নারীবাদীদের বহুমুখী ডিজিটাল অ্যাকটিভিজম গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে অস্বীকার না করে চতুর্থ ওয়েভ নারীবাদ কিন্তু প্রযুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে একে শক্তি হিসেবে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও আমি মনে করি নারীবাদী অ্যাকটিভিজমের শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই আমি ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীর নব কৌশলে হয়রানির শিকার হওয়া দেখছি, তেমনি তার বিপরীতে প্রচুর নারীর সঞ্চরণশীল কার্যক্রমকেও পাঠ করছি।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে