কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
নতুন যেকোনো কিছুই আশার সঞ্চার ঘটায় মানুষের মনে। সে জন্য নতুন বছরের শুরুতে থাকে নতুন সম্ভাবনার কথা, আশার কথা। নতুন বছরে আবার পুরোনো অনেক কিছুরই একটা প্রভাব থেকে যায়। গত বছর দেশে-বিদেশে নানান ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে আমাদের জীবনে।
জুলাই অভ্যুত্থানের বড় প্রভাব পড়েছে এ দেশের মানুষের জীবনে। এ ঘটনা সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। আবার কিছু দরজা বন্ধও হয়ে গেছে। সেগুলো খুলবে কি না কিংবা খুললেও কবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত কেউ জানে না।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিভিন্ন খাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে কথা বলতে শুরু করেছে। গঠন করা হয়েছে সংস্কার কমিশন। সব মিলিয়ে দেশের নাগরিক ও বর্তমান সরকার নিজেদের মধ্যে একটা তাল খোঁজার চেষ্টা করছে।
এরই মধ্যে গত নভেম্বর মাসে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। তবে এখন সবাই তাকিয়ে আছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে। যেখান থেকে আসলে জনগণ সব সমস্যার সমাধান পাওয়ার আশা করে।
কিছু বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তার মতামত সোজাভাবে জানিয়ে দিলে সেসব বিষয়ে কথা বলা এবং কাজ করা সহজ হয়ে যায়। ড. তানিয়া হক অধ্যাপক উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাবি
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, ‘নির্বাচনে সরাসরি ভোট দেওয়ার যে দাবিটা আমরা সব সময় করে আসছি, নতুন সংসদ গঠন না হলে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ তত দিন পর্যন্ত নারী সংস্কার কমিশন ঠিক কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছুটা সন্দিহান। এই পাঁচ মাসে উচ্চপর্যায় থেকে নারীদের বিষয়ে তেমন কোনো আলাপ দেখা বা শোনা যাচ্ছে না বলেও মনে করছেন ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সব মিলিয়ে নারীর অধিকার বজায় রাখতে সাংগঠনিক আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোটা প্রথার বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের সূচনা, সেই কোটার মধ্যে গিয়েই নারীরা আবারও বৈষম্যের শিকার হবেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। বিষয়টি উল্লেখ করে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, ‘কোটা যেহেতু লিমিটেড হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে মেয়েদের লেখাপড়া করে চাকরি করতে আসার যে জায়গা, সেটাও সংকুচিত হয়ে গেছে। এখানে একটা ধাক্কা খেতে হবে।’
সময় অনেক কিছুই ঠিক করে দেয়। নতুন কোনো কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মানুষের কিছুটা সমস্যা হয়। তাই যেকোনো নতুন বিষয়কে স্থির হতে কিছুটা
সময় দেওয়া প্রয়োজন। এভাবেই নতুন দিনগুলোকে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নতুন যেকোনো বিষয়কেই আসলে একটা সময় দেওয়া দরকার। সেই ধৈর্য ধরতে হবে। পূর্বের জিনিস ঘুরেফিরে আসবে কি না, সেটাও আমাদের দেখার বিষয়।’
ড. তানিয়া হক নতুন সময় নিয়ে তাঁর অবস্থান থেকে বেশ আশাবাদী। তবে একটা কিছু বানিয়ে ফেলে প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি তা বাধাগ্রস্ত হয়, তখন সেই নতুন তৈরির কোনো মূল্য থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. তানিয়া হক বলেন, ‘ইমপ্লিমেন্টেশনও অনেক বিশাল একটা পার্ট। একটা কিছু তৈরি করলাম, মজাদার কিছু, তারপর সেটা আমি খেলাম না। এতে কোনো লাভ নেই।’ তাই সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছু তৈরি করে তা প্রয়োগেরও জায়গা তৈরি করে দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন, যা সচরাচর আমাদের দেশে শেষে আর দেখা যায় না। কোনো বিষয় তৈরি হলে তা আমাদের অবস্থা বা প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যায় কি না, সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মনে করেন ড. তানিয়া।
উপদেষ্টা মহলে নারী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ এবং ক্ষুদ্র গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি রাখার কথা উল্লেখ করেছেন ড. তানিয়া হক। তিনি মনে করেন, কিছু বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তার মতামত সোজাভাবে জানিয়ে দিলে সেসব বিষয়ে কথা বলা এবং কাজ করা সহজ হয়ে যায়। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণ বেশি জরুরি। ‘একটু ধৈর্য ধরে সঠিক জিনিসটা আমাদের চাইতে হবে’ বলে মনে করেন ড. তানিয়া হক।
নতুন যেকোনো কিছুই আশার সঞ্চার ঘটায় মানুষের মনে। সে জন্য নতুন বছরের শুরুতে থাকে নতুন সম্ভাবনার কথা, আশার কথা। নতুন বছরে আবার পুরোনো অনেক কিছুরই একটা প্রভাব থেকে যায়। গত বছর দেশে-বিদেশে নানান ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে আমাদের জীবনে।
জুলাই অভ্যুত্থানের বড় প্রভাব পড়েছে এ দেশের মানুষের জীবনে। এ ঘটনা সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। আবার কিছু দরজা বন্ধও হয়ে গেছে। সেগুলো খুলবে কি না কিংবা খুললেও কবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত কেউ জানে না।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিভিন্ন খাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে কথা বলতে শুরু করেছে। গঠন করা হয়েছে সংস্কার কমিশন। সব মিলিয়ে দেশের নাগরিক ও বর্তমান সরকার নিজেদের মধ্যে একটা তাল খোঁজার চেষ্টা করছে।
এরই মধ্যে গত নভেম্বর মাসে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। তবে এখন সবাই তাকিয়ে আছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে। যেখান থেকে আসলে জনগণ সব সমস্যার সমাধান পাওয়ার আশা করে।
কিছু বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তার মতামত সোজাভাবে জানিয়ে দিলে সেসব বিষয়ে কথা বলা এবং কাজ করা সহজ হয়ে যায়। ড. তানিয়া হক অধ্যাপক উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাবি
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, ‘নির্বাচনে সরাসরি ভোট দেওয়ার যে দাবিটা আমরা সব সময় করে আসছি, নতুন সংসদ গঠন না হলে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ তত দিন পর্যন্ত নারী সংস্কার কমিশন ঠিক কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছুটা সন্দিহান। এই পাঁচ মাসে উচ্চপর্যায় থেকে নারীদের বিষয়ে তেমন কোনো আলাপ দেখা বা শোনা যাচ্ছে না বলেও মনে করছেন ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সব মিলিয়ে নারীর অধিকার বজায় রাখতে সাংগঠনিক আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোটা প্রথার বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের সূচনা, সেই কোটার মধ্যে গিয়েই নারীরা আবারও বৈষম্যের শিকার হবেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। বিষয়টি উল্লেখ করে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, ‘কোটা যেহেতু লিমিটেড হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে মেয়েদের লেখাপড়া করে চাকরি করতে আসার যে জায়গা, সেটাও সংকুচিত হয়ে গেছে। এখানে একটা ধাক্কা খেতে হবে।’
সময় অনেক কিছুই ঠিক করে দেয়। নতুন কোনো কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মানুষের কিছুটা সমস্যা হয়। তাই যেকোনো নতুন বিষয়কে স্থির হতে কিছুটা
সময় দেওয়া প্রয়োজন। এভাবেই নতুন দিনগুলোকে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নতুন যেকোনো বিষয়কেই আসলে একটা সময় দেওয়া দরকার। সেই ধৈর্য ধরতে হবে। পূর্বের জিনিস ঘুরেফিরে আসবে কি না, সেটাও আমাদের দেখার বিষয়।’
ড. তানিয়া হক নতুন সময় নিয়ে তাঁর অবস্থান থেকে বেশ আশাবাদী। তবে একটা কিছু বানিয়ে ফেলে প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি তা বাধাগ্রস্ত হয়, তখন সেই নতুন তৈরির কোনো মূল্য থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. তানিয়া হক বলেন, ‘ইমপ্লিমেন্টেশনও অনেক বিশাল একটা পার্ট। একটা কিছু তৈরি করলাম, মজাদার কিছু, তারপর সেটা আমি খেলাম না। এতে কোনো লাভ নেই।’ তাই সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছু তৈরি করে তা প্রয়োগেরও জায়গা তৈরি করে দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন, যা সচরাচর আমাদের দেশে শেষে আর দেখা যায় না। কোনো বিষয় তৈরি হলে তা আমাদের অবস্থা বা প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যায় কি না, সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মনে করেন ড. তানিয়া।
উপদেষ্টা মহলে নারী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ এবং ক্ষুদ্র গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি রাখার কথা উল্লেখ করেছেন ড. তানিয়া হক। তিনি মনে করেন, কিছু বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তার মতামত সোজাভাবে জানিয়ে দিলে সেসব বিষয়ে কথা বলা এবং কাজ করা সহজ হয়ে যায়। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণ বেশি জরুরি। ‘একটু ধৈর্য ধরে সঠিক জিনিসটা আমাদের চাইতে হবে’ বলে মনে করেন ড. তানিয়া হক।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৫ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৫ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৫ দিন আগে