মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস
কাশফিয়া আলম ঝিলিক
আজ পালিত হচ্ছে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার ফর আ পিরিয়ড-ফ্রেন্ডলি ওয়ার্ল্ড’ বা একটি ঋতুস্রাববান্ধব বিশ্ব গড়ার জন্য একসঙ্গে। একজন নারীর স্বাভাবিক জীবনচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ মিন্সট্রেশন অথবা পিরিয়ড। সে হিসেবে এটি নিয়ে আলোচনা খুব স্বাভাবিক বিষয় হওয়ার কথা। এটি শারীরবৃত্তীয় বিষয় বলে এর পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে কথা হওয়া জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার এবং এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হয়ে ওঠা দরকার। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিশোরী ও নারী এখনো নীরব। প্রয়োজনের বিষয়টি বলতে তাঁরা দ্বিধা বোধ করেন। এই নীরবতা ভাঙার জন্য তিন ক্ষেত্রের তিনজন নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।
লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চেষ্টা ও প্রণোদনা জারি রাখতে হবে
সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭১ শতাংশ নারী এখনো মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন নন। মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাডের পরিবর্তে পুরোনো অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহারের ফলে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন নানান সংক্রমণে। মাসের এই বিশেষ কয়েকটি দিন যদি কোনো নারী ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখেন কিংবা স্বাস্থ্যসচেতন না থাকেন, তাহলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এসব সংক্রমণ থেকে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে নারীদের উৎসাহিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক কাউন্সেলিং ও মোটিভেশন। যদিও নারীদের একটা বড় অংশ এখনো সচেতন নয়; তবু বলা যেতে পারে, মাসিক পরিচ্ছন্নতা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক প্রচারের ফলে আগের চেয়ে কিছুটা হলেও অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হয়েছেন।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা, প্রণোদনা জারি রাখতে হবে। নারীদের বোঝাতে হবে, মাসিকের সময় পুরোনো ধ্যানধারণা কিংবা অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে অপরিচ্ছন্ন আচার-আচরণ পালন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য কঠিন রোগব্যাধির ঝুঁকির মুখে ফেলা উচিত নয়। এই সময় অপরিষ্কার থাকার কারণে পেলভিসের প্রদাহ (পিআইডি), বন্ধ্যাত্ব, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ পর্যন্ত হতে পারে।
আমাদের মতো দেশে নারীদের মাসিক সুরক্ষার উপকরণের বিষয়টি প্রায়ই পারিবারিক ও সামাজিক সংস্কার, প্রাপ্যতা ও খরচের ওপর নির্ভর করে। তাই যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে কুসংস্কার থেকে উত্তরণের পাশাপাশি নারীর স্বাস্থ্যবিধি পণ্যের সহজলভ্যতা এবং ব্যয় সংকোচন জরুরি।
প্রতিবন্ধী নারীদের কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট চাই
মাসিকের সময় সাধারণ নারীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী নারীদের সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়। যাঁদের হাত নেই, তাঁদের সমস্যা এক রকম; আবার যাঁরা হুইলচেয়ারে বসে থাকেন, তাঁদের সমস্যা অন্য রকম। অন্যদিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীদের সমস্যা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাঁদের এটা বোঝানো যায় না যে বিষয়টি কী এবং কীভাবে এটা ম্যানেজ করতে হয়।
পণ্যের ক্ষেত্রে যদি বলি, প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য মাসিকের পণ্যগুলো তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যায় না। হুইলচেয়ারে যাঁরা বসে থাকেন, বেশি নড়াচড়ার ফলে অনেক সময় লিকেজ হয়, পোশাক নষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁদের রিকয়ারমেন্ট কী, সেটা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয় না।
গুরুতর প্রতিবন্ধী নারী যাঁরা, তাঁদের অবস্থা এ ক্ষেত্রে আরও করুণ। তাঁদের অন্যের সাহায্য নিতে হয়। তাঁদের কেয়ারগিভারেরও কষ্ট হয়
এ ধরনের ক্ষেত্রে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব বেশি ধারণা নেই। তাই প্রতিবন্ধী নারী এবং তাঁর কেয়ারগিভার কীভাবে কী করবেন, সেই বিষয় নিয়ে খুব বেশি সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের মানুষকে অনেক বেশি অসুবিধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মনে হয় যেন মাসিক তাঁদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে এসেছে।
স্কুল-কলেজে এখনো প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট নেই। যাঁরা গুরুতর প্রতিবন্ধী নারী কিংবা কিশোরী আছেন, তাঁদের জন্য স্কুল-কলেজ এখনো উপযোগী হয়ে ওঠেনি। কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট আমরা পাচ্ছি না। যেসব কুসংস্কার এবং বাধা তৃণমূল কিশোরী ও নারীরা ভোগ করেন, সেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন খুব ধীরগতির। তবে এটাও ঠিক, অনেক সংগঠন এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে।
সচেতনতার উদ্যোগ বাড়ানো জরুরি
২০২৩ সালে একটি ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভেতে দেখা গেছে, দেশের ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী নিয়মিত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন; যেটা ১০ বছর আগে প্রায় ১৩ শতাংশ ছিল। বেড়েছে অবশ্যই। তবে সেই সংখ্যা আশানুরূপ নয়। এর কারণ সচেতনতা। আমরা এটাকে প্রায়োরিটিতে আনছি না। সবাই বলে, এটা অ্যাকসেসেবল ও অ্যাফোর্ডেবল নয়। কিন্তু ৫০ টাকায়ও এক পিরিয়ড চালানোর মতো সেনোরার স্যানিটারী ন্যাপকিন বাজারে আছে। যেকোন নারী এই খরচ বহন করতে পারবেন। কিন্তু সেটা না করে এখনো অনেকে কাপড়, তুলা কিংবা টিস্যু ব্যবহার করছেন। সেটা ক্ষতিকর। এই ক্ষতিটা তাঁর জীবনে জরায়ু ইনফেকশন থেকে শুরু করে সার্ভিক্যাল ক্যানসার পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
আবার যাঁরা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন, তাঁরাও অনেক সময় না বুঝে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাড, সুগন্ধিযুক্ত প্যাড ব্যবহার করছেন; যেগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর। কমার্শিয়াল ব্র্যান্ডগুলো সচেতনতা তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্যানিটারি পণ্য ব্যবহারের বিষয়টি পরিবার থেকেও আসতে হবে। আরও একটা সমস্যা হলো ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল। বাংলাদেশের কোনো জায়গাই নারীদের জন্য টয়লেট-ফ্রেন্ডলি নয়। স্কুল, রাস্তাঘাট এমনকি কাজের জায়গাতেও অনেক সময় এর সংখ্যা খুব কম থাকে। এই মুহূর্তে নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করাটাই মূল লক্ষ্য।
আমরা নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সেভাবে উদ্বুদ্ধ বা সচেতন করতে পারিনি; যা করছি, তার গতি খুবই ধীর। মিন্সট্রুয়াল কাপ, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিংবা সুগন্ধিযুক্ত প্যাড নিয়ে যে বিবাদগুলো আছে, সবকিছু তাঁদের বিস্তারিত বলতে হবে। বিজনেস এথিকস বাড়াতে হবে। সবার কোলাবোরেটিভ নলেজ বাড়াতে হবে। আজকের জন্য নয়, একজন নারীর মাতৃত্বকে নিরাপদ করার জন্য, তাঁর নিজের স্বাস্থ্যের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে তাঁদের খোলাসা করে জানাতে হবে। এসব উদ্যোগ বাড়ানো জরুরি।
আজ পালিত হচ্ছে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার ফর আ পিরিয়ড-ফ্রেন্ডলি ওয়ার্ল্ড’ বা একটি ঋতুস্রাববান্ধব বিশ্ব গড়ার জন্য একসঙ্গে। একজন নারীর স্বাভাবিক জীবনচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ মিন্সট্রেশন অথবা পিরিয়ড। সে হিসেবে এটি নিয়ে আলোচনা খুব স্বাভাবিক বিষয় হওয়ার কথা। এটি শারীরবৃত্তীয় বিষয় বলে এর পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে কথা হওয়া জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার এবং এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হয়ে ওঠা দরকার। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিশোরী ও নারী এখনো নীরব। প্রয়োজনের বিষয়টি বলতে তাঁরা দ্বিধা বোধ করেন। এই নীরবতা ভাঙার জন্য তিন ক্ষেত্রের তিনজন নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।
লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চেষ্টা ও প্রণোদনা জারি রাখতে হবে
সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭১ শতাংশ নারী এখনো মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন নন। মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাডের পরিবর্তে পুরোনো অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহারের ফলে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন নানান সংক্রমণে। মাসের এই বিশেষ কয়েকটি দিন যদি কোনো নারী ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখেন কিংবা স্বাস্থ্যসচেতন না থাকেন, তাহলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এসব সংক্রমণ থেকে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে নারীদের উৎসাহিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক কাউন্সেলিং ও মোটিভেশন। যদিও নারীদের একটা বড় অংশ এখনো সচেতন নয়; তবু বলা যেতে পারে, মাসিক পরিচ্ছন্নতা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক প্রচারের ফলে আগের চেয়ে কিছুটা হলেও অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হয়েছেন।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা, প্রণোদনা জারি রাখতে হবে। নারীদের বোঝাতে হবে, মাসিকের সময় পুরোনো ধ্যানধারণা কিংবা অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে অপরিচ্ছন্ন আচার-আচরণ পালন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য কঠিন রোগব্যাধির ঝুঁকির মুখে ফেলা উচিত নয়। এই সময় অপরিষ্কার থাকার কারণে পেলভিসের প্রদাহ (পিআইডি), বন্ধ্যাত্ব, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ পর্যন্ত হতে পারে।
আমাদের মতো দেশে নারীদের মাসিক সুরক্ষার উপকরণের বিষয়টি প্রায়ই পারিবারিক ও সামাজিক সংস্কার, প্রাপ্যতা ও খরচের ওপর নির্ভর করে। তাই যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে কুসংস্কার থেকে উত্তরণের পাশাপাশি নারীর স্বাস্থ্যবিধি পণ্যের সহজলভ্যতা এবং ব্যয় সংকোচন জরুরি।
প্রতিবন্ধী নারীদের কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট চাই
মাসিকের সময় সাধারণ নারীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী নারীদের সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়। যাঁদের হাত নেই, তাঁদের সমস্যা এক রকম; আবার যাঁরা হুইলচেয়ারে বসে থাকেন, তাঁদের সমস্যা অন্য রকম। অন্যদিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীদের সমস্যা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাঁদের এটা বোঝানো যায় না যে বিষয়টি কী এবং কীভাবে এটা ম্যানেজ করতে হয়।
পণ্যের ক্ষেত্রে যদি বলি, প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য মাসিকের পণ্যগুলো তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যায় না। হুইলচেয়ারে যাঁরা বসে থাকেন, বেশি নড়াচড়ার ফলে অনেক সময় লিকেজ হয়, পোশাক নষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁদের রিকয়ারমেন্ট কী, সেটা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয় না।
গুরুতর প্রতিবন্ধী নারী যাঁরা, তাঁদের অবস্থা এ ক্ষেত্রে আরও করুণ। তাঁদের অন্যের সাহায্য নিতে হয়। তাঁদের কেয়ারগিভারেরও কষ্ট হয়
এ ধরনের ক্ষেত্রে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব বেশি ধারণা নেই। তাই প্রতিবন্ধী নারী এবং তাঁর কেয়ারগিভার কীভাবে কী করবেন, সেই বিষয় নিয়ে খুব বেশি সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের মানুষকে অনেক বেশি অসুবিধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মনে হয় যেন মাসিক তাঁদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে এসেছে।
স্কুল-কলেজে এখনো প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট নেই। যাঁরা গুরুতর প্রতিবন্ধী নারী কিংবা কিশোরী আছেন, তাঁদের জন্য স্কুল-কলেজ এখনো উপযোগী হয়ে ওঠেনি। কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট আমরা পাচ্ছি না। যেসব কুসংস্কার এবং বাধা তৃণমূল কিশোরী ও নারীরা ভোগ করেন, সেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন খুব ধীরগতির। তবে এটাও ঠিক, অনেক সংগঠন এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে।
সচেতনতার উদ্যোগ বাড়ানো জরুরি
২০২৩ সালে একটি ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভেতে দেখা গেছে, দেশের ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী নিয়মিত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন; যেটা ১০ বছর আগে প্রায় ১৩ শতাংশ ছিল। বেড়েছে অবশ্যই। তবে সেই সংখ্যা আশানুরূপ নয়। এর কারণ সচেতনতা। আমরা এটাকে প্রায়োরিটিতে আনছি না। সবাই বলে, এটা অ্যাকসেসেবল ও অ্যাফোর্ডেবল নয়। কিন্তু ৫০ টাকায়ও এক পিরিয়ড চালানোর মতো সেনোরার স্যানিটারী ন্যাপকিন বাজারে আছে। যেকোন নারী এই খরচ বহন করতে পারবেন। কিন্তু সেটা না করে এখনো অনেকে কাপড়, তুলা কিংবা টিস্যু ব্যবহার করছেন। সেটা ক্ষতিকর। এই ক্ষতিটা তাঁর জীবনে জরায়ু ইনফেকশন থেকে শুরু করে সার্ভিক্যাল ক্যানসার পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
আবার যাঁরা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন, তাঁরাও অনেক সময় না বুঝে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাড, সুগন্ধিযুক্ত প্যাড ব্যবহার করছেন; যেগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর। কমার্শিয়াল ব্র্যান্ডগুলো সচেতনতা তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্যানিটারি পণ্য ব্যবহারের বিষয়টি পরিবার থেকেও আসতে হবে। আরও একটা সমস্যা হলো ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল। বাংলাদেশের কোনো জায়গাই নারীদের জন্য টয়লেট-ফ্রেন্ডলি নয়। স্কুল, রাস্তাঘাট এমনকি কাজের জায়গাতেও অনেক সময় এর সংখ্যা খুব কম থাকে। এই মুহূর্তে নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করাটাই মূল লক্ষ্য।
আমরা নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সেভাবে উদ্বুদ্ধ বা সচেতন করতে পারিনি; যা করছি, তার গতি খুবই ধীর। মিন্সট্রুয়াল কাপ, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিংবা সুগন্ধিযুক্ত প্যাড নিয়ে যে বিবাদগুলো আছে, সবকিছু তাঁদের বিস্তারিত বলতে হবে। বিজনেস এথিকস বাড়াতে হবে। সবার কোলাবোরেটিভ নলেজ বাড়াতে হবে। আজকের জন্য নয়, একজন নারীর মাতৃত্বকে নিরাপদ করার জন্য, তাঁর নিজের স্বাস্থ্যের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে তাঁদের খোলাসা করে জানাতে হবে। এসব উদ্যোগ বাড়ানো জরুরি।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৪ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৪ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৪ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৪ দিন আগে