ফিচার ডেস্ক
শুধু দেশের জন্য নয়, একজন নারী হিসেবে নিজেদের ও মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন এমন নারীর সংখ্যা পৃথিবীতে কম নয়। তেমনই দুজন নারী কিউ জিন ও গৌরী আইয়ুব। দুজন দুই দেশের হলেও নারী অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা।
কিউ জিন
নারীর মুক্তি আন্দোলন এবং চীনে প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালনকারী নারী কিউ জিন। তিনি ছিলেন চীনা বিপ্লবী, নারীবাদী ও লেখক। কিউ জিনের পরিবার ধনী হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল। আর এটিই ছিল তাঁর নারীমুক্তি আন্দোলন এবং চীনে প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবের জন্য একজন অগ্রগামী নারী হয়ে ওঠার মূল কারণ।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে পশ্চিমা প্রভাব অনুভব করতে শুরু করে চীন। পিছিয়ে না পড়ার জন্য কিং সরকার অনেক অভিজাতকে জাপানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠায়। তাঁদের একজন ছিলেন কিউ। জাপানের একটি নারী স্কুলে পড়াশোনা শেষে কিউ বিভিন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য চীনে ফিরে আসেন। ভালো বক্তা হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন নারীদের বিয়ে, শিক্ষার স্বাধীনতা এবং পা বাঁধা প্রথার বিলুপ্তির পক্ষে। ১৯০৬ সালে তিনি সাংহাইতে নারী কবি জু জিহুয়ার সঙ্গে ‘চায়না উইমেন্স নিউজ’ নামের একটি নারীদের জার্নাল প্রকাশ শুরু করেন। এর মাত্র এক বছরের মাথায় কিং রাজবংশের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহ ও বিদ্রোহী ভাবের কবিতা লেখার দায়ে নিজ গ্রাম শানিনে মাত্র ৩১ বছর বয়সে প্রকাশ্যে তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়। তারিখটি ছিল ১৯০৭ সালের ১৫ জুলাই।
তবে আজও চীনের জাতীয় বীর এবং প্রজাতন্ত্র ও নারীবাদের শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিউ জিনকে। তাঁকে হ্যাংজুতে ওয়েস্ট লেকের পাশে সমাহিত করা হয়।
গৌরী আইয়ুব
ছোটগল্প, অনুবাদ এবং সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখা অসংখ্য প্রবন্ধের জন্য আলোচিত ছিলেন গৌরী আইয়ুব। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সমাজকর্মী, লেখক ও শিক্ষক।
১৯৩১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পাটনায় জন্ম নেওয়া গৌরী দত্ত সাহিত্য সমালোচক আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ের পর হন গৌরী আইয়ুব। তিনি ছিলেন ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় কলকাতায় কাটলেও একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। সে সময়ে শরণার্থীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গৌরী আইয়ুবের সেবাধর্ম ও সাংগঠনিক শক্তির প্রকৃত পরিচয় মেলে।
১৯৭৪ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন গৌরী। তাঁর সেবাধর্ম আরও স্থায়ী রূপ পায় মৈত্রেয়ী দেবীর সঙ্গে অনাথ ও পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য গড়ে তোলা ‘খেলাঘর’ প্রতিষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে। মৈত্রেয়ী দেবীর মৃত্যুর পর এর পুরো দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার গৌরী আইয়ুব বিশ্বাস করতেন, অন্যকে ঘৃণা করে বিদ্বেষ ছড়িয়ে ধর্ম হয় না। ১৯৯৮ সালের ১৩ জুলাই কলকাতায় মারা যান তিনি।
শুধু দেশের জন্য নয়, একজন নারী হিসেবে নিজেদের ও মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন এমন নারীর সংখ্যা পৃথিবীতে কম নয়। তেমনই দুজন নারী কিউ জিন ও গৌরী আইয়ুব। দুজন দুই দেশের হলেও নারী অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা।
কিউ জিন
নারীর মুক্তি আন্দোলন এবং চীনে প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালনকারী নারী কিউ জিন। তিনি ছিলেন চীনা বিপ্লবী, নারীবাদী ও লেখক। কিউ জিনের পরিবার ধনী হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল। আর এটিই ছিল তাঁর নারীমুক্তি আন্দোলন এবং চীনে প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবের জন্য একজন অগ্রগামী নারী হয়ে ওঠার মূল কারণ।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে পশ্চিমা প্রভাব অনুভব করতে শুরু করে চীন। পিছিয়ে না পড়ার জন্য কিং সরকার অনেক অভিজাতকে জাপানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠায়। তাঁদের একজন ছিলেন কিউ। জাপানের একটি নারী স্কুলে পড়াশোনা শেষে কিউ বিভিন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য চীনে ফিরে আসেন। ভালো বক্তা হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন নারীদের বিয়ে, শিক্ষার স্বাধীনতা এবং পা বাঁধা প্রথার বিলুপ্তির পক্ষে। ১৯০৬ সালে তিনি সাংহাইতে নারী কবি জু জিহুয়ার সঙ্গে ‘চায়না উইমেন্স নিউজ’ নামের একটি নারীদের জার্নাল প্রকাশ শুরু করেন। এর মাত্র এক বছরের মাথায় কিং রাজবংশের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহ ও বিদ্রোহী ভাবের কবিতা লেখার দায়ে নিজ গ্রাম শানিনে মাত্র ৩১ বছর বয়সে প্রকাশ্যে তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়। তারিখটি ছিল ১৯০৭ সালের ১৫ জুলাই।
তবে আজও চীনের জাতীয় বীর এবং প্রজাতন্ত্র ও নারীবাদের শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিউ জিনকে। তাঁকে হ্যাংজুতে ওয়েস্ট লেকের পাশে সমাহিত করা হয়।
গৌরী আইয়ুব
ছোটগল্প, অনুবাদ এবং সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখা অসংখ্য প্রবন্ধের জন্য আলোচিত ছিলেন গৌরী আইয়ুব। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সমাজকর্মী, লেখক ও শিক্ষক।
১৯৩১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পাটনায় জন্ম নেওয়া গৌরী দত্ত সাহিত্য সমালোচক আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ের পর হন গৌরী আইয়ুব। তিনি ছিলেন ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় কলকাতায় কাটলেও একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। সে সময়ে শরণার্থীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গৌরী আইয়ুবের সেবাধর্ম ও সাংগঠনিক শক্তির প্রকৃত পরিচয় মেলে।
১৯৭৪ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন গৌরী। তাঁর সেবাধর্ম আরও স্থায়ী রূপ পায় মৈত্রেয়ী দেবীর সঙ্গে অনাথ ও পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য গড়ে তোলা ‘খেলাঘর’ প্রতিষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে। মৈত্রেয়ী দেবীর মৃত্যুর পর এর পুরো দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার গৌরী আইয়ুব বিশ্বাস করতেন, অন্যকে ঘৃণা করে বিদ্বেষ ছড়িয়ে ধর্ম হয় না। ১৯৯৮ সালের ১৩ জুলাই কলকাতায় মারা যান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
২ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
২ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
২ দিন আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
২ দিন আগে