শুধু বসন্তে নয়, সারা বছর ফুল ফোটে ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে। কিন্তু বছরের ছয় মাস, বিশেষ করে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজারে ফুলের চাহিদা কম থাকে। এমনকি ওই সময় ফুল গোখাদ্য অথবা ভাগাড়েও জায়গা পায়। এ জন্য ফুলচাষিরা অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েন।
তবে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। সেই বদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনজন নারী। তাঁরা হলেন পানিসারা গ্রামের নাসরিন নাহার আশা ও রাবেয়া খাতুন এবং হাড়িয়া গ্রামের সাজেদা বেগম। ফুল কানন পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটি ওই নারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুল থেকে অরগানিক প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়। বাংলাদেশ-আমেরিকা ফুল বিপণনকেন্দ্রের ১১টি লক্ষ্যের মধ্যে ফুলের বিকল্প ব্যবহার তৈরি করা হলো একটি। সেই প্রকল্প থেকেই ওই তিন নারীকে এ বছরের শুরুর দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ড. ওয়াইএসআর হর্টিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের পণ্য তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সোসাইটি ফর ব্রাইট সোশ্যাল সার্ভিসেসের বাস্তবায়নে হয়েছে এই প্রশিক্ষণ। গ্রামে ফিরে তাঁরা ৩০ জন নারীকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এই নারীরা গোলাপের শুকনো পাপড়ি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়ালম্যাট, চুড়ি, দুল, চাবির রিং, ফটোফ্রেম ও কলম তৈরি করছেন। এ ছাড়া গোলাপের শুকনো পাপড়ির গুঁড়া থেকে তৈরি হচ্ছে আগরবাতি ও সাবান। সতেজ গোলাপের পাপড়ি ও গাঁদা ফুল জ্বাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রাকৃতিক রং। তা দিয়ে কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন নকশা। আবার রজনীগন্ধা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হচ্ছে সুগন্ধি তেল ও গোলাপজল।
পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রের একটি কক্ষে কাজের ফাঁকে কথা হয় রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পরে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগলকে গোলাপ ফুল খাওয়াতে দেখি।’ সেখান থেকে কয়েকটি গোলাপ এনে পাপড়িগুলো রোদে শুকিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন ওয়ালম্যাট তৈরি করেন তিনি। সেটি ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। এই ঘটনা তাঁকে এ ধরনের কাজ করার জন্য আরও উৎসাহিত করে।
রাবেয়া খাতুন জানিয়েছেন, তিনি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্য দুজন গ্রামের নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দলগতভাবে কিছু কাজ করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফুল ও ফুলের কাজ’ শিরোনামে একটি পেজও খুলেছেন তাঁরা। কিন্তু কারখানা করার মতো পুঁজি তাঁদের নেই। কারখানা হলে গ্রামের অনেক নারীর বাড়িতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন রাবেয়া। এ জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে জানান তিনি।
নাসরিন নাহার আশা জানিয়েছেন, এসব পণ্য তৈরির উদ্যোগ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও প্যাকেজিং করতে হলে অন্তত দুটি যন্ত্র বিদেশ থেকে আনতে হবে। সেই যন্ত্র কেনা ও কারখানা স্থাপনে ৫০ লাখ টাকা দরকার।
এসব সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনায় রেখেই ঝিকরগাছার পানিসারাসহ আশপাশের গ্রামের নারীরা ফুল থেকে বিকল্প পণ্য তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।
শুধু বসন্তে নয়, সারা বছর ফুল ফোটে ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে। কিন্তু বছরের ছয় মাস, বিশেষ করে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজারে ফুলের চাহিদা কম থাকে। এমনকি ওই সময় ফুল গোখাদ্য অথবা ভাগাড়েও জায়গা পায়। এ জন্য ফুলচাষিরা অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েন।
তবে এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। সেই বদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনজন নারী। তাঁরা হলেন পানিসারা গ্রামের নাসরিন নাহার আশা ও রাবেয়া খাতুন এবং হাড়িয়া গ্রামের সাজেদা বেগম। ফুল কানন পানিসারায় অবস্থিত বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রটি ওই নারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুল থেকে অরগানিক প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয়। বাংলাদেশ-আমেরিকা ফুল বিপণনকেন্দ্রের ১১টি লক্ষ্যের মধ্যে ফুলের বিকল্প ব্যবহার তৈরি করা হলো একটি। সেই প্রকল্প থেকেই ওই তিন নারীকে এ বছরের শুরুর দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ড. ওয়াইএসআর হর্টিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের পণ্য তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সোসাইটি ফর ব্রাইট সোশ্যাল সার্ভিসেসের বাস্তবায়নে হয়েছে এই প্রশিক্ষণ। গ্রামে ফিরে তাঁরা ৩০ জন নারীকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এই নারীরা গোলাপের শুকনো পাপড়ি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়ালম্যাট, চুড়ি, দুল, চাবির রিং, ফটোফ্রেম ও কলম তৈরি করছেন। এ ছাড়া গোলাপের শুকনো পাপড়ির গুঁড়া থেকে তৈরি হচ্ছে আগরবাতি ও সাবান। সতেজ গোলাপের পাপড়ি ও গাঁদা ফুল জ্বাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রাকৃতিক রং। তা দিয়ে কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন নকশা। আবার রজনীগন্ধা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি হচ্ছে সুগন্ধি তেল ও গোলাপজল।
পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণনকেন্দ্রের একটি কক্ষে কাজের ফাঁকে কথা হয় রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পরে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগলকে গোলাপ ফুল খাওয়াতে দেখি।’ সেখান থেকে কয়েকটি গোলাপ এনে পাপড়িগুলো রোদে শুকিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন ওয়ালম্যাট তৈরি করেন তিনি। সেটি ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। এই ঘটনা তাঁকে এ ধরনের কাজ করার জন্য আরও উৎসাহিত করে।
রাবেয়া খাতুন জানিয়েছেন, তিনি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্য দুজন গ্রামের নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দলগতভাবে কিছু কাজ করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফুল ও ফুলের কাজ’ শিরোনামে একটি পেজও খুলেছেন তাঁরা। কিন্তু কারখানা করার মতো পুঁজি তাঁদের নেই। কারখানা হলে গ্রামের অনেক নারীর বাড়িতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন রাবেয়া। এ জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে জানান তিনি।
নাসরিন নাহার আশা জানিয়েছেন, এসব পণ্য তৈরির উদ্যোগ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও প্যাকেজিং করতে হলে অন্তত দুটি যন্ত্র বিদেশ থেকে আনতে হবে। সেই যন্ত্র কেনা ও কারখানা স্থাপনে ৫০ লাখ টাকা দরকার।
এসব সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনায় রেখেই ঝিকরগাছার পানিসারাসহ আশপাশের গ্রামের নারীরা ফুল থেকে বিকল্প পণ্য তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।
টিকটকে নিজের একা থাকার সিদ্ধান্ত শেয়ার করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সী প্যাট এম। অনলাইনে প্রায় সময় ত্রিশের মধ্যে সম্পর্ক গড়ার বিষয়টি অনেক গুরুত্বসহকারে দেখানো হয়। কিন্তু এই বয়সে এসে করপোরেট চাকরিজীবী প্যাটের মনে হয়েছে, আপাতত তাঁর নিজের ওপর মনোযোগ...
১ দিন আগেবাংলাদেশে গণপরিবহনে যাতায়াতকালে ৮৭ ভাগ নারী বিভিন্নভাবে মৌখিক শারীরিক ও অন্যান্যভাবে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। আর ৩৬ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে (ডিটিসিএ) আয়োজিত ‘গণপরিবহনে নারীর সম্মান রাখুন’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারীদের বাসে চলাচলের
৬ দিন আগে২৪ এপ্রিল ২০১৩ সাল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। পৃথিবীর কারখানা দুর্ঘটনার ইতিহাসে লেখা হয় এক মর্মান্তিক অধ্যায়। এক যুগ পরেও সেই স্মৃতি শুধু আমাদের নয়, তাড়া করে ফেরে পুরো বিশ্বকে।
৭ দিন আগেবাবা-মা দুজনেই প্রচুর বই পড়তেন। বাড়িতে ছিল প্রায় পাঁচ হাজার বইয়ের এক বিশাল সংগ্রহশালা। তাই ছেলেবেলা থেকে বাড়িতে বই দেখতে দেখতেই বড় হয়ে উঠেছেন জান্নাতুল। স্কুলজীবনে ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির একজন নিয়মিত সদস্য। জান্নাতুলের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে এভাবেই জড়িয়ে গেছে বই।
৭ দিন আগে