
অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের একসময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
তাসমানিয়ায় অবস্থিত পোর্ট আর্থারের ইতিহাসের গোড়াপত্তন ১৮৩০ সালে, একটি টিম্বার স্টেশন হিসেবে। অবশ্য এই পরিচয় বেশি দিন থাকেনি। নির্মাণের বছর কয়েকের মধ্যে একে পেনাল কলোনি হিসেবে, অর্থাৎ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীদের এখানে জায়গা হতো। পাশাপাশি বারবার বিভিন্ন অপরাধ করে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কারাগারে জায়গা হওয়া অপরাধীদেরও এনে বন্দী করা হতে থাকে এখানে। এদের অনেকের পরিবারের ঠাঁই হতো পোর্ট আর্থারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল শিশুও।
বলা হয়, এখানকার পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই ছিল অনেক বৈরী। বন্দী দণ্ডিতদের দিয়ে প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য কাজ করানো হতো। এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকের মৃত্যুও হতো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বিশ্বাস, এখানে মারা যাওয়া বন্দী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় জায়গাটিতে।
পোর্ট আর্থারের অফিশিয়াল ওয়েব পেজেও ভুতুড়ে বিভিন্ন আলামতের কথা বলা হয়েছে। রাতে এখানে নিয়ম করে ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ভুতুড়ে কোনো ঘটনা দেখার আশায় তাতে অংশ নেন বহু মানুষ। শুনে অবাক হবেন, পোর্ট আর্থারে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটার শুরু সেই ১৮৭০ সালে, যখন এটি জেলখানা হিসেবে চালু ছিল। পোর্ট আর্থার ডট অরগ ডট এওর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, লেখক জর্জ গ্রানসেল এখানে ১৮৭০-এর দশকে ঘটা কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
এমন একটি এখানে তুলে ধরছি। পোর্ট আর্থারের যাজক রেভারেন্ড হেওয়ার্ড পরিবার নিয়ে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। তবে কোনো একটি প্রয়োজনে পরিবারকে সেখানে রেখে রেভারেন্ডকে তাঁর, অর্থাৎ যাজকের বাসভবনে ফিরে আসতে হয়। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পরে এক রাতে এখানকার চিকিৎসক ওপরের তলার কামরাগুলোয় বাতি জ্বলতে দেখেন। ভাবেন যাজকের স্ত্রী ও সন্তান ফিরে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িতে কেবল যাজক ও গৃহপরিচারককে আবিষ্কার করেন। এমনকি ওপরের তলায় কেউ ছিল না তখন, সেখানে গিয়ে দেখেন অন্ধকারে ডুবে আছে পুরো দোতলা। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসতির আরও কেউ কেউ এমন আলো দেখেছেন।
এ তো গেল পুরোনো দিনের কথা। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরাও লিখিতভাবেও জানিয়েছেন এখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই ব্লু লেডি বা নীল পোশাকের এক নারীর ভূত দেখার কথা বলেন। বলা হয়, ওই নারী ছিলেন পোর্ট আর্থারের হিসাবরক্ষকের স্ত্রী। কারাগার হিসেবে জায়গাটিকে ব্যবহার শুরু করার পর থেকে স্বামী-স্ত্রী এখানেই বাস করতেন।
‘ছড়ানো স্কার্টের এক নারীর ভুতুড়ে ছায়ামূর্তি দেখি আমি। দুই হাত ছড়িয়ে রেখেছিলেন তিনি।’ বলেন জায়গাটি ভ্রমণে আসা এক পর্যটক। অনেক পর্যটকই জানান, তাঁর পোশাক ছিল নীল, কেউ আবার তাকে ধূসর পোশাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন। পোশাকের ঝুল মাটি ছুঁই ছুঁই।
কিংবদন্তি অনুসারে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় ছোট শিশুটিসহ মারা যান ওই নারী। তাই সেই নির্দিষ্ট দালানে বারবার ফিরে আসে তাঁর অতৃপ্ত আত্মা, পৃথিবীর আলো না দেখা শিশুটির খোঁজে।
অন্যরা আবার ছোট্ট একটি মেয়েকে দেখার দাবি করেন। পোর্ট আর্থারের কমানডেন্টের বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে যার মৃত্যু হয়েছিল। ‘সিঁড়ির নিচে একটি মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি। রক্তের একটি পুকুরের মধ্যে পড়ে ছিল সে। মেয়েটির ডান হাত ভাঙা, চেহারায় ভয়ের ছাপ।’ বলেন এক পর্যটক।
অনেকে আবার জানালায় শিশুদের মুখ দেখেন। হঠাৎই যা দেখা দেয়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক পর্যটক আবার দাবি করেন শিশুদের হাসি আর খেলার শব্দ পেয়েছেন, কিন্তু কাউকে দেখতে পাননি। বিশেষ করে সিঁড়ি ধরে দৌড়াদৌড়ি করার শব্দ শোনা যায় বেশি। গ্রীষ্মের শান্ত কোনো রাতে সেখানে গেলে শিশুদের এক্কাদোক্কা খেলার ও গান গাওয়ার শব্দ শুনতে পাবেন।
২০১৫ সালে ভুতুড়ে কিছু কাঠামোর ছবি তোলেন এখান থেকে। ফেসবুক পেজ ‘অস্ট্রেলিয়ান হান্টিংসে’ এগুলো পোস্ট করার পর বেশ সারা পড়ে। একটি ছবিতে ছোট্ট একটি ছেলের আবয়বকে একটি সেলের মধ্যে গুটিসুটি মেরে থাকতে দেখা যায়। অন্য একটি ছবিতে ঝাপসা ভুতুড়ে একটি কাঠামো দেখা যায়। তবে সবচেয়ে গা ছমছম করা ছবিটি সম্ভবত একটি দালানের জানালা গলে মুখ বের করা শিশুর মতো দেখতে কয়েকটি কাঠামোর।
তাসমানিয়ার রাজধানী হোবার্ট থেকে পোর্ট আর্থারের দূরত্ব বেশি নয়, ৬০ মাইল। এখানকার নানা কিংবদন্তি আর ভুতুড়ে ঘটনায় যদি বিশ্বাস না-ও করেন, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অতীত ইতিহাস আর পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দালানগুলো দেখতে হলেও জায়গাটিতে একটি বার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন। আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ে আগ্রহী হলে তো কথাই নেই, রাতের ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজনের অংশ হয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে।
সূত্র: মামামিয়া ডট কম, ডেইলি মেইল

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের একসময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
তাসমানিয়ায় অবস্থিত পোর্ট আর্থারের ইতিহাসের গোড়াপত্তন ১৮৩০ সালে, একটি টিম্বার স্টেশন হিসেবে। অবশ্য এই পরিচয় বেশি দিন থাকেনি। নির্মাণের বছর কয়েকের মধ্যে একে পেনাল কলোনি হিসেবে, অর্থাৎ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীদের এখানে জায়গা হতো। পাশাপাশি বারবার বিভিন্ন অপরাধ করে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কারাগারে জায়গা হওয়া অপরাধীদেরও এনে বন্দী করা হতে থাকে এখানে। এদের অনেকের পরিবারের ঠাঁই হতো পোর্ট আর্থারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল শিশুও।
বলা হয়, এখানকার পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই ছিল অনেক বৈরী। বন্দী দণ্ডিতদের দিয়ে প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য কাজ করানো হতো। এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকের মৃত্যুও হতো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বিশ্বাস, এখানে মারা যাওয়া বন্দী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় জায়গাটিতে।
পোর্ট আর্থারের অফিশিয়াল ওয়েব পেজেও ভুতুড়ে বিভিন্ন আলামতের কথা বলা হয়েছে। রাতে এখানে নিয়ম করে ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ভুতুড়ে কোনো ঘটনা দেখার আশায় তাতে অংশ নেন বহু মানুষ। শুনে অবাক হবেন, পোর্ট আর্থারে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটার শুরু সেই ১৮৭০ সালে, যখন এটি জেলখানা হিসেবে চালু ছিল। পোর্ট আর্থার ডট অরগ ডট এওর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, লেখক জর্জ গ্রানসেল এখানে ১৮৭০-এর দশকে ঘটা কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
এমন একটি এখানে তুলে ধরছি। পোর্ট আর্থারের যাজক রেভারেন্ড হেওয়ার্ড পরিবার নিয়ে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। তবে কোনো একটি প্রয়োজনে পরিবারকে সেখানে রেখে রেভারেন্ডকে তাঁর, অর্থাৎ যাজকের বাসভবনে ফিরে আসতে হয়। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পরে এক রাতে এখানকার চিকিৎসক ওপরের তলার কামরাগুলোয় বাতি জ্বলতে দেখেন। ভাবেন যাজকের স্ত্রী ও সন্তান ফিরে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িতে কেবল যাজক ও গৃহপরিচারককে আবিষ্কার করেন। এমনকি ওপরের তলায় কেউ ছিল না তখন, সেখানে গিয়ে দেখেন অন্ধকারে ডুবে আছে পুরো দোতলা। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসতির আরও কেউ কেউ এমন আলো দেখেছেন।
এ তো গেল পুরোনো দিনের কথা। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরাও লিখিতভাবেও জানিয়েছেন এখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই ব্লু লেডি বা নীল পোশাকের এক নারীর ভূত দেখার কথা বলেন। বলা হয়, ওই নারী ছিলেন পোর্ট আর্থারের হিসাবরক্ষকের স্ত্রী। কারাগার হিসেবে জায়গাটিকে ব্যবহার শুরু করার পর থেকে স্বামী-স্ত্রী এখানেই বাস করতেন।
‘ছড়ানো স্কার্টের এক নারীর ভুতুড়ে ছায়ামূর্তি দেখি আমি। দুই হাত ছড়িয়ে রেখেছিলেন তিনি।’ বলেন জায়গাটি ভ্রমণে আসা এক পর্যটক। অনেক পর্যটকই জানান, তাঁর পোশাক ছিল নীল, কেউ আবার তাকে ধূসর পোশাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন। পোশাকের ঝুল মাটি ছুঁই ছুঁই।
কিংবদন্তি অনুসারে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় ছোট শিশুটিসহ মারা যান ওই নারী। তাই সেই নির্দিষ্ট দালানে বারবার ফিরে আসে তাঁর অতৃপ্ত আত্মা, পৃথিবীর আলো না দেখা শিশুটির খোঁজে।
অন্যরা আবার ছোট্ট একটি মেয়েকে দেখার দাবি করেন। পোর্ট আর্থারের কমানডেন্টের বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে যার মৃত্যু হয়েছিল। ‘সিঁড়ির নিচে একটি মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি। রক্তের একটি পুকুরের মধ্যে পড়ে ছিল সে। মেয়েটির ডান হাত ভাঙা, চেহারায় ভয়ের ছাপ।’ বলেন এক পর্যটক।
অনেকে আবার জানালায় শিশুদের মুখ দেখেন। হঠাৎই যা দেখা দেয়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক পর্যটক আবার দাবি করেন শিশুদের হাসি আর খেলার শব্দ পেয়েছেন, কিন্তু কাউকে দেখতে পাননি। বিশেষ করে সিঁড়ি ধরে দৌড়াদৌড়ি করার শব্দ শোনা যায় বেশি। গ্রীষ্মের শান্ত কোনো রাতে সেখানে গেলে শিশুদের এক্কাদোক্কা খেলার ও গান গাওয়ার শব্দ শুনতে পাবেন।
২০১৫ সালে ভুতুড়ে কিছু কাঠামোর ছবি তোলেন এখান থেকে। ফেসবুক পেজ ‘অস্ট্রেলিয়ান হান্টিংসে’ এগুলো পোস্ট করার পর বেশ সারা পড়ে। একটি ছবিতে ছোট্ট একটি ছেলের আবয়বকে একটি সেলের মধ্যে গুটিসুটি মেরে থাকতে দেখা যায়। অন্য একটি ছবিতে ঝাপসা ভুতুড়ে একটি কাঠামো দেখা যায়। তবে সবচেয়ে গা ছমছম করা ছবিটি সম্ভবত একটি দালানের জানালা গলে মুখ বের করা শিশুর মতো দেখতে কয়েকটি কাঠামোর।
তাসমানিয়ার রাজধানী হোবার্ট থেকে পোর্ট আর্থারের দূরত্ব বেশি নয়, ৬০ মাইল। এখানকার নানা কিংবদন্তি আর ভুতুড়ে ঘটনায় যদি বিশ্বাস না-ও করেন, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অতীত ইতিহাস আর পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দালানগুলো দেখতে হলেও জায়গাটিতে একটি বার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন। আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ে আগ্রহী হলে তো কথাই নেই, রাতের ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজনের অংশ হয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে।
সূত্র: মামামিয়া ডট কম, ডেইলি মেইল

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের একসময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
তাসমানিয়ায় অবস্থিত পোর্ট আর্থারের ইতিহাসের গোড়াপত্তন ১৮৩০ সালে, একটি টিম্বার স্টেশন হিসেবে। অবশ্য এই পরিচয় বেশি দিন থাকেনি। নির্মাণের বছর কয়েকের মধ্যে একে পেনাল কলোনি হিসেবে, অর্থাৎ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীদের এখানে জায়গা হতো। পাশাপাশি বারবার বিভিন্ন অপরাধ করে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কারাগারে জায়গা হওয়া অপরাধীদেরও এনে বন্দী করা হতে থাকে এখানে। এদের অনেকের পরিবারের ঠাঁই হতো পোর্ট আর্থারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল শিশুও।
বলা হয়, এখানকার পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই ছিল অনেক বৈরী। বন্দী দণ্ডিতদের দিয়ে প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য কাজ করানো হতো। এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকের মৃত্যুও হতো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বিশ্বাস, এখানে মারা যাওয়া বন্দী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় জায়গাটিতে।
পোর্ট আর্থারের অফিশিয়াল ওয়েব পেজেও ভুতুড়ে বিভিন্ন আলামতের কথা বলা হয়েছে। রাতে এখানে নিয়ম করে ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ভুতুড়ে কোনো ঘটনা দেখার আশায় তাতে অংশ নেন বহু মানুষ। শুনে অবাক হবেন, পোর্ট আর্থারে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটার শুরু সেই ১৮৭০ সালে, যখন এটি জেলখানা হিসেবে চালু ছিল। পোর্ট আর্থার ডট অরগ ডট এওর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, লেখক জর্জ গ্রানসেল এখানে ১৮৭০-এর দশকে ঘটা কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
এমন একটি এখানে তুলে ধরছি। পোর্ট আর্থারের যাজক রেভারেন্ড হেওয়ার্ড পরিবার নিয়ে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। তবে কোনো একটি প্রয়োজনে পরিবারকে সেখানে রেখে রেভারেন্ডকে তাঁর, অর্থাৎ যাজকের বাসভবনে ফিরে আসতে হয়। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পরে এক রাতে এখানকার চিকিৎসক ওপরের তলার কামরাগুলোয় বাতি জ্বলতে দেখেন। ভাবেন যাজকের স্ত্রী ও সন্তান ফিরে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িতে কেবল যাজক ও গৃহপরিচারককে আবিষ্কার করেন। এমনকি ওপরের তলায় কেউ ছিল না তখন, সেখানে গিয়ে দেখেন অন্ধকারে ডুবে আছে পুরো দোতলা। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসতির আরও কেউ কেউ এমন আলো দেখেছেন।
এ তো গেল পুরোনো দিনের কথা। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরাও লিখিতভাবেও জানিয়েছেন এখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই ব্লু লেডি বা নীল পোশাকের এক নারীর ভূত দেখার কথা বলেন। বলা হয়, ওই নারী ছিলেন পোর্ট আর্থারের হিসাবরক্ষকের স্ত্রী। কারাগার হিসেবে জায়গাটিকে ব্যবহার শুরু করার পর থেকে স্বামী-স্ত্রী এখানেই বাস করতেন।
‘ছড়ানো স্কার্টের এক নারীর ভুতুড়ে ছায়ামূর্তি দেখি আমি। দুই হাত ছড়িয়ে রেখেছিলেন তিনি।’ বলেন জায়গাটি ভ্রমণে আসা এক পর্যটক। অনেক পর্যটকই জানান, তাঁর পোশাক ছিল নীল, কেউ আবার তাকে ধূসর পোশাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন। পোশাকের ঝুল মাটি ছুঁই ছুঁই।
কিংবদন্তি অনুসারে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় ছোট শিশুটিসহ মারা যান ওই নারী। তাই সেই নির্দিষ্ট দালানে বারবার ফিরে আসে তাঁর অতৃপ্ত আত্মা, পৃথিবীর আলো না দেখা শিশুটির খোঁজে।
অন্যরা আবার ছোট্ট একটি মেয়েকে দেখার দাবি করেন। পোর্ট আর্থারের কমানডেন্টের বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে যার মৃত্যু হয়েছিল। ‘সিঁড়ির নিচে একটি মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি। রক্তের একটি পুকুরের মধ্যে পড়ে ছিল সে। মেয়েটির ডান হাত ভাঙা, চেহারায় ভয়ের ছাপ।’ বলেন এক পর্যটক।
অনেকে আবার জানালায় শিশুদের মুখ দেখেন। হঠাৎই যা দেখা দেয়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক পর্যটক আবার দাবি করেন শিশুদের হাসি আর খেলার শব্দ পেয়েছেন, কিন্তু কাউকে দেখতে পাননি। বিশেষ করে সিঁড়ি ধরে দৌড়াদৌড়ি করার শব্দ শোনা যায় বেশি। গ্রীষ্মের শান্ত কোনো রাতে সেখানে গেলে শিশুদের এক্কাদোক্কা খেলার ও গান গাওয়ার শব্দ শুনতে পাবেন।
২০১৫ সালে ভুতুড়ে কিছু কাঠামোর ছবি তোলেন এখান থেকে। ফেসবুক পেজ ‘অস্ট্রেলিয়ান হান্টিংসে’ এগুলো পোস্ট করার পর বেশ সারা পড়ে। একটি ছবিতে ছোট্ট একটি ছেলের আবয়বকে একটি সেলের মধ্যে গুটিসুটি মেরে থাকতে দেখা যায়। অন্য একটি ছবিতে ঝাপসা ভুতুড়ে একটি কাঠামো দেখা যায়। তবে সবচেয়ে গা ছমছম করা ছবিটি সম্ভবত একটি দালানের জানালা গলে মুখ বের করা শিশুর মতো দেখতে কয়েকটি কাঠামোর।
তাসমানিয়ার রাজধানী হোবার্ট থেকে পোর্ট আর্থারের দূরত্ব বেশি নয়, ৬০ মাইল। এখানকার নানা কিংবদন্তি আর ভুতুড়ে ঘটনায় যদি বিশ্বাস না-ও করেন, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অতীত ইতিহাস আর পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দালানগুলো দেখতে হলেও জায়গাটিতে একটি বার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন। আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ে আগ্রহী হলে তো কথাই নেই, রাতের ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজনের অংশ হয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে।
সূত্র: মামামিয়া ডট কম, ডেইলি মেইল

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের একসময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
তাসমানিয়ায় অবস্থিত পোর্ট আর্থারের ইতিহাসের গোড়াপত্তন ১৮৩০ সালে, একটি টিম্বার স্টেশন হিসেবে। অবশ্য এই পরিচয় বেশি দিন থাকেনি। নির্মাণের বছর কয়েকের মধ্যে একে পেনাল কলোনি হিসেবে, অর্থাৎ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীদের এখানে জায়গা হতো। পাশাপাশি বারবার বিভিন্ন অপরাধ করে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কারাগারে জায়গা হওয়া অপরাধীদেরও এনে বন্দী করা হতে থাকে এখানে। এদের অনেকের পরিবারের ঠাঁই হতো পোর্ট আর্থারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল শিশুও।
বলা হয়, এখানকার পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই ছিল অনেক বৈরী। বন্দী দণ্ডিতদের দিয়ে প্রচুর পরিশ্রমসাধ্য কাজ করানো হতো। এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকের মৃত্যুও হতো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বিশ্বাস, এখানে মারা যাওয়া বন্দী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় জায়গাটিতে।
পোর্ট আর্থারের অফিশিয়াল ওয়েব পেজেও ভুতুড়ে বিভিন্ন আলামতের কথা বলা হয়েছে। রাতে এখানে নিয়ম করে ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ভুতুড়ে কোনো ঘটনা দেখার আশায় তাতে অংশ নেন বহু মানুষ। শুনে অবাক হবেন, পোর্ট আর্থারে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটার শুরু সেই ১৮৭০ সালে, যখন এটি জেলখানা হিসেবে চালু ছিল। পোর্ট আর্থার ডট অরগ ডট এওর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, লেখক জর্জ গ্রানসেল এখানে ১৮৭০-এর দশকে ঘটা কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
এমন একটি এখানে তুলে ধরছি। পোর্ট আর্থারের যাজক রেভারেন্ড হেওয়ার্ড পরিবার নিয়ে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। তবে কোনো একটি প্রয়োজনে পরিবারকে সেখানে রেখে রেভারেন্ডকে তাঁর, অর্থাৎ যাজকের বাসভবনে ফিরে আসতে হয়। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পরে এক রাতে এখানকার চিকিৎসক ওপরের তলার কামরাগুলোয় বাতি জ্বলতে দেখেন। ভাবেন যাজকের স্ত্রী ও সন্তান ফিরে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়িতে কেবল যাজক ও গৃহপরিচারককে আবিষ্কার করেন। এমনকি ওপরের তলায় কেউ ছিল না তখন, সেখানে গিয়ে দেখেন অন্ধকারে ডুবে আছে পুরো দোতলা। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসতির আরও কেউ কেউ এমন আলো দেখেছেন।
এ তো গেল পুরোনো দিনের কথা। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরাও লিখিতভাবেও জানিয়েছেন এখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই ব্লু লেডি বা নীল পোশাকের এক নারীর ভূত দেখার কথা বলেন। বলা হয়, ওই নারী ছিলেন পোর্ট আর্থারের হিসাবরক্ষকের স্ত্রী। কারাগার হিসেবে জায়গাটিকে ব্যবহার শুরু করার পর থেকে স্বামী-স্ত্রী এখানেই বাস করতেন।
‘ছড়ানো স্কার্টের এক নারীর ভুতুড়ে ছায়ামূর্তি দেখি আমি। দুই হাত ছড়িয়ে রেখেছিলেন তিনি।’ বলেন জায়গাটি ভ্রমণে আসা এক পর্যটক। অনেক পর্যটকই জানান, তাঁর পোশাক ছিল নীল, কেউ আবার তাকে ধূসর পোশাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন। পোশাকের ঝুল মাটি ছুঁই ছুঁই।
কিংবদন্তি অনুসারে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় ছোট শিশুটিসহ মারা যান ওই নারী। তাই সেই নির্দিষ্ট দালানে বারবার ফিরে আসে তাঁর অতৃপ্ত আত্মা, পৃথিবীর আলো না দেখা শিশুটির খোঁজে।
অন্যরা আবার ছোট্ট একটি মেয়েকে দেখার দাবি করেন। পোর্ট আর্থারের কমানডেন্টের বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে যার মৃত্যু হয়েছিল। ‘সিঁড়ির নিচে একটি মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি। রক্তের একটি পুকুরের মধ্যে পড়ে ছিল সে। মেয়েটির ডান হাত ভাঙা, চেহারায় ভয়ের ছাপ।’ বলেন এক পর্যটক।
অনেকে আবার জানালায় শিশুদের মুখ দেখেন। হঠাৎই যা দেখা দেয়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক পর্যটক আবার দাবি করেন শিশুদের হাসি আর খেলার শব্দ পেয়েছেন, কিন্তু কাউকে দেখতে পাননি। বিশেষ করে সিঁড়ি ধরে দৌড়াদৌড়ি করার শব্দ শোনা যায় বেশি। গ্রীষ্মের শান্ত কোনো রাতে সেখানে গেলে শিশুদের এক্কাদোক্কা খেলার ও গান গাওয়ার শব্দ শুনতে পাবেন।
২০১৫ সালে ভুতুড়ে কিছু কাঠামোর ছবি তোলেন এখান থেকে। ফেসবুক পেজ ‘অস্ট্রেলিয়ান হান্টিংসে’ এগুলো পোস্ট করার পর বেশ সারা পড়ে। একটি ছবিতে ছোট্ট একটি ছেলের আবয়বকে একটি সেলের মধ্যে গুটিসুটি মেরে থাকতে দেখা যায়। অন্য একটি ছবিতে ঝাপসা ভুতুড়ে একটি কাঠামো দেখা যায়। তবে সবচেয়ে গা ছমছম করা ছবিটি সম্ভবত একটি দালানের জানালা গলে মুখ বের করা শিশুর মতো দেখতে কয়েকটি কাঠামোর।
তাসমানিয়ার রাজধানী হোবার্ট থেকে পোর্ট আর্থারের দূরত্ব বেশি নয়, ৬০ মাইল। এখানকার নানা কিংবদন্তি আর ভুতুড়ে ঘটনায় যদি বিশ্বাস না-ও করেন, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অতীত ইতিহাস আর পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দালানগুলো দেখতে হলেও জায়গাটিতে একটি বার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন। আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ে আগ্রহী হলে তো কথাই নেই, রাতের ঘোস্ট ট্যুরের আয়োজনের অংশ হয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে।
সূত্র: মামামিয়া ডট কম, ডেইলি মেইল

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের এক সময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এঁদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
২৫ এপ্রিল ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের এক সময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এঁদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
২৫ এপ্রিল ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের এক সময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এঁদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
২৫ এপ্রিল ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের এক সময়কার পেনাল কলোনিতে ভ্রমণে যান প্রচুর পর্যটক। এঁদের অনেকেই অদ্ভুত, ভুতুড়ে সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প বলেন। এর মধ্যে আছে নীল পোশাকের এক নারীর হঠাৎ উপস্থিতি, শিশুর গা শিউরে দেওয়া চিৎকার, জানালায় রহস্যময় কিছু চেহারার উপস্থিতি।
২৫ এপ্রিল ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে