ইশতিয়াক হাসান

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। আমাদের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশে নদীর প্রভাব অনেক। কিন্তু আমাদের মানুষদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে পানি বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। নদী নেই এমন কয়টি দেশের সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
মোনাকো
ইউরোপ মহাদেশের এ দেশটির জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের আশপাশে। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
এমন ছোট একটি দেশ, এখানে নদী না থাকাটা তো খুব অস্বাভাবিক না, কি বলেন? মোনাকোতে কোনো হ্রদও নেই। তবে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। দেশটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা। আর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসায় দেশটির খাবার পানির চাহিদা বেশি। মূলত পানিকে লবণাক্ত মুক্ত করে এই চাহিদা পূরণ করা হয়।
সৌদি আরব
নদী নেই এমন সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরব। ২১ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে মরুভূমি। মরু এলাকার বিস্তৃতি দেশটিতে নদী না থাকার অন্যতম কারণ। তবে এই প্রতিকূল ভূ-প্রকৃতির মধ্যেও দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চমৎকার।
নানা ধরনের পানির উৎস ব্যবহার করতে হয় এখানে জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা এবং পানির পুনর্ব্যবহার অন্যতম। দেশটির খাবার পানির ৭০ শতাংশই আসে সাগরের জল লবণাক্ততা মুক্ত করার মাধ্যমে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
আর সাগরের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এমন একটি দেশে নদী না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে দেশটির স্বাদু পানি নিয়ে বড় সংকটে পড়তে হয়েছে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ স্বাদু পানি সংগ্রহের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখে।
আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নদী নেই। ৮৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার মরুময় দেশটিতে অবশ্য বেশ কিছু ওয়াদি বা খাল আছে। তবে এসব খালে কেবল বর্ষাতেই পানি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো গোটা দেশের পানি চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প এবং কৃষির উন্নয়ন শুষ্ক দেশটিতে পানির বিপুল চাহিদা তৈরি করেছে। তবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা স্থাপন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সমস্যাটি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। ভূগর্ভস্থ জলের একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিতে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই দ্বীপ দেশটিতে নদী না থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
তবে বিপুল পর্যটকের উপস্থিতির কারণে দেশটিতে স্বাদু পানির চাহিদা অনেক বাড়িয়েছে। এখানকার অনেক দ্বীপে বসবাসকারী লোকদেরই আমদানি করা বোতলজাত জল এবং বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভূগর্ভস্থ জলের অধিকাংশই পানের উপযোগী নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে জাহাজে পানি পাঠানো ব্যয়সাপেক্ষ। তারা পানির লবণাক্ততা দূরের প্ল্যান্টের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
ভ্যাটিকান সিটি
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু যতই ছোট দেশ হোক আর জনসংখ্যা যতই কম হোক ভ্যাটিকান সিটিরও তো পানির প্রয়োজন। আর এর জন্য তারা নির্ভরশীল রোমের পানি সাপ্লাইয়ের ওপর।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও মাল্টায় জল নিয়ে হাহাকার। আর এটা পানযোগ্য পানির জন্য। কারণ দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয় দেশটিতে।
তবে ঘটনা হলো, ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই এক পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। এদিকে বিপুল পর্যটকের জন্য অনেক পানির প্রয়োজন হয়।
কৃষিকাজে ব্যবহার করা রাসায়নিকের কারণে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত। তাই লবণাক্ত পানিকে বিশুদ্ধ করার প্রক্রিয়াও কাজে লাগানো হচ্ছে।
কাতার
১১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি তার তেল শিল্পের কারণে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কিন্তু কোনো নদী না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার বেশ সমস্যায় আছে।
কাতারের স্বাদু পানির ৯৯ শতাংশ আসে পানি লবণাক্ততা মুক্তকরণের মাধ্যমে। তবে এটি ব্যয়বহুল এবং টেকসই প্রক্রিয়া নয়। লবণাক্ততা মুক্ত করার প্ল্যান্টের জন্য প্রচুর শক্তিরও প্রয়োজন হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক দেশের মতো কাতারেও ওয়াদি আছে। তবে এই খালগুলো দেশটির পানি সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এদিকে অল্প কিছু ওয়াদি ছাড়া কাতারে স্বাদু পানির আর কোনো উৎসই নেই। দেশটিতে টেকসই পানির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জল পরিমিত ব্যবহারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও একটিও নদী নেই এমন দেশের তালিকায় আছে কমোরোজ, জিবুতি, লিবিয়া, কিরিবাতি, নওরু, টোঙ্গা, ট্যুভ্যালু, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন প্রভৃতি।
সূত্র: এমএসএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। আমাদের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশে নদীর প্রভাব অনেক। কিন্তু আমাদের মানুষদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে পানি বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। নদী নেই এমন কয়টি দেশের সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
মোনাকো
ইউরোপ মহাদেশের এ দেশটির জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের আশপাশে। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
এমন ছোট একটি দেশ, এখানে নদী না থাকাটা তো খুব অস্বাভাবিক না, কি বলেন? মোনাকোতে কোনো হ্রদও নেই। তবে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। দেশটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা। আর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসায় দেশটির খাবার পানির চাহিদা বেশি। মূলত পানিকে লবণাক্ত মুক্ত করে এই চাহিদা পূরণ করা হয়।
সৌদি আরব
নদী নেই এমন সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরব। ২১ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে মরুভূমি। মরু এলাকার বিস্তৃতি দেশটিতে নদী না থাকার অন্যতম কারণ। তবে এই প্রতিকূল ভূ-প্রকৃতির মধ্যেও দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চমৎকার।
নানা ধরনের পানির উৎস ব্যবহার করতে হয় এখানে জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা এবং পানির পুনর্ব্যবহার অন্যতম। দেশটির খাবার পানির ৭০ শতাংশই আসে সাগরের জল লবণাক্ততা মুক্ত করার মাধ্যমে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
আর সাগরের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এমন একটি দেশে নদী না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে দেশটির স্বাদু পানি নিয়ে বড় সংকটে পড়তে হয়েছে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ স্বাদু পানি সংগ্রহের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখে।
আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নদী নেই। ৮৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার মরুময় দেশটিতে অবশ্য বেশ কিছু ওয়াদি বা খাল আছে। তবে এসব খালে কেবল বর্ষাতেই পানি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো গোটা দেশের পানি চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প এবং কৃষির উন্নয়ন শুষ্ক দেশটিতে পানির বিপুল চাহিদা তৈরি করেছে। তবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা স্থাপন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সমস্যাটি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। ভূগর্ভস্থ জলের একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিতে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই দ্বীপ দেশটিতে নদী না থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
তবে বিপুল পর্যটকের উপস্থিতির কারণে দেশটিতে স্বাদু পানির চাহিদা অনেক বাড়িয়েছে। এখানকার অনেক দ্বীপে বসবাসকারী লোকদেরই আমদানি করা বোতলজাত জল এবং বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভূগর্ভস্থ জলের অধিকাংশই পানের উপযোগী নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে জাহাজে পানি পাঠানো ব্যয়সাপেক্ষ। তারা পানির লবণাক্ততা দূরের প্ল্যান্টের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
ভ্যাটিকান সিটি
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু যতই ছোট দেশ হোক আর জনসংখ্যা যতই কম হোক ভ্যাটিকান সিটিরও তো পানির প্রয়োজন। আর এর জন্য তারা নির্ভরশীল রোমের পানি সাপ্লাইয়ের ওপর।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও মাল্টায় জল নিয়ে হাহাকার। আর এটা পানযোগ্য পানির জন্য। কারণ দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয় দেশটিতে।
তবে ঘটনা হলো, ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই এক পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। এদিকে বিপুল পর্যটকের জন্য অনেক পানির প্রয়োজন হয়।
কৃষিকাজে ব্যবহার করা রাসায়নিকের কারণে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত। তাই লবণাক্ত পানিকে বিশুদ্ধ করার প্রক্রিয়াও কাজে লাগানো হচ্ছে।
কাতার
১১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি তার তেল শিল্পের কারণে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কিন্তু কোনো নদী না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার বেশ সমস্যায় আছে।
কাতারের স্বাদু পানির ৯৯ শতাংশ আসে পানি লবণাক্ততা মুক্তকরণের মাধ্যমে। তবে এটি ব্যয়বহুল এবং টেকসই প্রক্রিয়া নয়। লবণাক্ততা মুক্ত করার প্ল্যান্টের জন্য প্রচুর শক্তিরও প্রয়োজন হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক দেশের মতো কাতারেও ওয়াদি আছে। তবে এই খালগুলো দেশটির পানি সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এদিকে অল্প কিছু ওয়াদি ছাড়া কাতারে স্বাদু পানির আর কোনো উৎসই নেই। দেশটিতে টেকসই পানির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জল পরিমিত ব্যবহারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও একটিও নদী নেই এমন দেশের তালিকায় আছে কমোরোজ, জিবুতি, লিবিয়া, কিরিবাতি, নওরু, টোঙ্গা, ট্যুভ্যালু, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন প্রভৃতি।
সূত্র: এমএসএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া
ইশতিয়াক হাসান

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। আমাদের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশে নদীর প্রভাব অনেক। কিন্তু আমাদের মানুষদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে পানি বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। নদী নেই এমন কয়টি দেশের সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
মোনাকো
ইউরোপ মহাদেশের এ দেশটির জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের আশপাশে। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
এমন ছোট একটি দেশ, এখানে নদী না থাকাটা তো খুব অস্বাভাবিক না, কি বলেন? মোনাকোতে কোনো হ্রদও নেই। তবে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। দেশটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা। আর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসায় দেশটির খাবার পানির চাহিদা বেশি। মূলত পানিকে লবণাক্ত মুক্ত করে এই চাহিদা পূরণ করা হয়।
সৌদি আরব
নদী নেই এমন সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরব। ২১ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে মরুভূমি। মরু এলাকার বিস্তৃতি দেশটিতে নদী না থাকার অন্যতম কারণ। তবে এই প্রতিকূল ভূ-প্রকৃতির মধ্যেও দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চমৎকার।
নানা ধরনের পানির উৎস ব্যবহার করতে হয় এখানে জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা এবং পানির পুনর্ব্যবহার অন্যতম। দেশটির খাবার পানির ৭০ শতাংশই আসে সাগরের জল লবণাক্ততা মুক্ত করার মাধ্যমে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
আর সাগরের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এমন একটি দেশে নদী না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে দেশটির স্বাদু পানি নিয়ে বড় সংকটে পড়তে হয়েছে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ স্বাদু পানি সংগ্রহের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখে।
আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নদী নেই। ৮৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার মরুময় দেশটিতে অবশ্য বেশ কিছু ওয়াদি বা খাল আছে। তবে এসব খালে কেবল বর্ষাতেই পানি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো গোটা দেশের পানি চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প এবং কৃষির উন্নয়ন শুষ্ক দেশটিতে পানির বিপুল চাহিদা তৈরি করেছে। তবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা স্থাপন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সমস্যাটি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। ভূগর্ভস্থ জলের একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিতে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই দ্বীপ দেশটিতে নদী না থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
তবে বিপুল পর্যটকের উপস্থিতির কারণে দেশটিতে স্বাদু পানির চাহিদা অনেক বাড়িয়েছে। এখানকার অনেক দ্বীপে বসবাসকারী লোকদেরই আমদানি করা বোতলজাত জল এবং বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভূগর্ভস্থ জলের অধিকাংশই পানের উপযোগী নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে জাহাজে পানি পাঠানো ব্যয়সাপেক্ষ। তারা পানির লবণাক্ততা দূরের প্ল্যান্টের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
ভ্যাটিকান সিটি
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু যতই ছোট দেশ হোক আর জনসংখ্যা যতই কম হোক ভ্যাটিকান সিটিরও তো পানির প্রয়োজন। আর এর জন্য তারা নির্ভরশীল রোমের পানি সাপ্লাইয়ের ওপর।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও মাল্টায় জল নিয়ে হাহাকার। আর এটা পানযোগ্য পানির জন্য। কারণ দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয় দেশটিতে।
তবে ঘটনা হলো, ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই এক পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। এদিকে বিপুল পর্যটকের জন্য অনেক পানির প্রয়োজন হয়।
কৃষিকাজে ব্যবহার করা রাসায়নিকের কারণে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত। তাই লবণাক্ত পানিকে বিশুদ্ধ করার প্রক্রিয়াও কাজে লাগানো হচ্ছে।
কাতার
১১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি তার তেল শিল্পের কারণে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কিন্তু কোনো নদী না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার বেশ সমস্যায় আছে।
কাতারের স্বাদু পানির ৯৯ শতাংশ আসে পানি লবণাক্ততা মুক্তকরণের মাধ্যমে। তবে এটি ব্যয়বহুল এবং টেকসই প্রক্রিয়া নয়। লবণাক্ততা মুক্ত করার প্ল্যান্টের জন্য প্রচুর শক্তিরও প্রয়োজন হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক দেশের মতো কাতারেও ওয়াদি আছে। তবে এই খালগুলো দেশটির পানি সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এদিকে অল্প কিছু ওয়াদি ছাড়া কাতারে স্বাদু পানির আর কোনো উৎসই নেই। দেশটিতে টেকসই পানির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জল পরিমিত ব্যবহারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও একটিও নদী নেই এমন দেশের তালিকায় আছে কমোরোজ, জিবুতি, লিবিয়া, কিরিবাতি, নওরু, টোঙ্গা, ট্যুভ্যালু, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন প্রভৃতি।
সূত্র: এমএসএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। আমাদের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশে নদীর প্রভাব অনেক। কিন্তু আমাদের মানুষদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে পানি বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। নদী নেই এমন কয়টি দেশের সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
মোনাকো
ইউরোপ মহাদেশের এ দেশটির জনসংখ্যা ৩৭ হাজারের আশপাশে। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
এমন ছোট একটি দেশ, এখানে নদী না থাকাটা তো খুব অস্বাভাবিক না, কি বলেন? মোনাকোতে কোনো হ্রদও নেই। তবে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। দেশটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা। আর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসায় দেশটির খাবার পানির চাহিদা বেশি। মূলত পানিকে লবণাক্ত মুক্ত করে এই চাহিদা পূরণ করা হয়।
সৌদি আরব
নদী নেই এমন সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরব। ২১ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির একটি বড় অংশ জুড়ে আছে মরুভূমি। মরু এলাকার বিস্তৃতি দেশটিতে নদী না থাকার অন্যতম কারণ। তবে এই প্রতিকূল ভূ-প্রকৃতির মধ্যেও দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চমৎকার।
নানা ধরনের পানির উৎস ব্যবহার করতে হয় এখানে জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ করার জন্য। এগুলোর মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা এবং পানির পুনর্ব্যবহার অন্যতম। দেশটির খাবার পানির ৭০ শতাংশই আসে সাগরের জল লবণাক্ততা মুক্ত করার মাধ্যমে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
আর সাগরের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এমন একটি দেশে নদী না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে দেশটির স্বাদু পানি নিয়ে বড় সংকটে পড়তে হয়েছে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ স্বাদু পানি সংগ্রহের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখে।
আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নদী নেই। ৮৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার মরুময় দেশটিতে অবশ্য বেশ কিছু ওয়াদি বা খাল আছে। তবে এসব খালে কেবল বর্ষাতেই পানি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো গোটা দেশের পানি চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প এবং কৃষির উন্নয়ন শুষ্ক দেশটিতে পানির বিপুল চাহিদা তৈরি করেছে। তবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার, পানির লবণাক্ততা মুক্ত করার কারখানা স্থাপন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সমস্যাটি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। ভূগর্ভস্থ জলের একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিতে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই দ্বীপ দেশটিতে নদী না থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
তবে বিপুল পর্যটকের উপস্থিতির কারণে দেশটিতে স্বাদু পানির চাহিদা অনেক বাড়িয়েছে। এখানকার অনেক দ্বীপে বসবাসকারী লোকদেরই আমদানি করা বোতলজাত জল এবং বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভূগর্ভস্থ জলের অধিকাংশই পানের উপযোগী নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে জাহাজে পানি পাঠানো ব্যয়সাপেক্ষ। তারা পানির লবণাক্ততা দূরের প্ল্যান্টের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
ভ্যাটিকান সিটি
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু যতই ছোট দেশ হোক আর জনসংখ্যা যতই কম হোক ভ্যাটিকান সিটিরও তো পানির প্রয়োজন। আর এর জন্য তারা নির্ভরশীল রোমের পানি সাপ্লাইয়ের ওপর।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও মাল্টায় জল নিয়ে হাহাকার। আর এটা পানযোগ্য পানির জন্য। কারণ দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয় দেশটিতে।
তবে ঘটনা হলো, ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই এক পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। এদিকে বিপুল পর্যটকের জন্য অনেক পানির প্রয়োজন হয়।
কৃষিকাজে ব্যবহার করা রাসায়নিকের কারণে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত। তাই লবণাক্ত পানিকে বিশুদ্ধ করার প্রক্রিয়াও কাজে লাগানো হচ্ছে।
কাতার
১১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি তার তেল শিল্পের কারণে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কিন্তু কোনো নদী না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার বেশ সমস্যায় আছে।
কাতারের স্বাদু পানির ৯৯ শতাংশ আসে পানি লবণাক্ততা মুক্তকরণের মাধ্যমে। তবে এটি ব্যয়বহুল এবং টেকসই প্রক্রিয়া নয়। লবণাক্ততা মুক্ত করার প্ল্যান্টের জন্য প্রচুর শক্তিরও প্রয়োজন হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক দেশের মতো কাতারেও ওয়াদি আছে। তবে এই খালগুলো দেশটির পানি সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না। এদিকে অল্প কিছু ওয়াদি ছাড়া কাতারে স্বাদু পানির আর কোনো উৎসই নেই। দেশটিতে টেকসই পানির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জল পরিমিত ব্যবহারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও একটিও নদী নেই এমন দেশের তালিকায় আছে কমোরোজ, জিবুতি, লিবিয়া, কিরিবাতি, নওরু, টোঙ্গা, ট্যুভ্যালু, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন প্রভৃতি।
সূত্র: এমএসএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। কিন্তু আমাদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না, সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপ
০৭ অক্টোবর ২০২৪
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। কিন্তু আমাদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না, সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপ
০৭ অক্টোবর ২০২৪
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। কিন্তু আমাদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না, সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপ
০৭ অক্টোবর ২০২৪
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানেই যান নদীর দেখা মেলে। কিন্তু আমাদের নানা কর্মকাণ্ডে দেশের অনেক নদীই আজ দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। শুনে অবাক হবেন, যেখানে পেয়েও আমরা মূল্য বুঝি না, সেখানে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোতে নদীই নেই। এসব দেশকে বিশুদ্ধকরণ, ভূগর্ভস্থ জলাধার, আমদানিসহ পানির বিভিন্ন বিকল্প উৎসের ওপ
০৭ অক্টোবর ২০২৪
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে