অর্ণব সান্যাল

সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:

সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:
অর্ণব সান্যাল

সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:

সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
৩১ মে ২০২২
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
৩১ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
৩১ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
৩১ মে ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে