অর্ণব সান্যাল

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
শাবানা এ দেশের কিংবদন্তিতুল্য অভিনয়শিল্পী। শৈশব থেকে বিটিভিতে তাঁর অভিনীত প্রচুর চলচ্চিত্র দেখা হয়েছে। একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, শাবানা অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়েই আমরা ছোটরা এবং অনেক বড়রাও লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-শোক-দুঃখ সহ্য করে অবিচল থাকার শিক্ষা পেতাম। এগুলো কাজেও লেগেছে বটে। এই যে এখন হাজারো কিছু সহ্য করে আদর্শ ‘সহনশীল’ প্রাণী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, তার জন্য অনেকটা ধন্যবাদ ওই ছবিগুলোর প্রাপ্য।
তবে তারপরও হতাশা আসে। এমন জোরেশোরেই আসে যে, মনে হয় রাস্তায় নেমে যাই সন্ন্যাসীর মতো। সন্ন্যাস গ্রহণ করে সবাই তো টিকে থাকতে পারে না। সেই টিকে না থাকা ব্যক্তিরাই সৎ সাহসের অভাবে একপর্যায়ে সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হতে চায়! ওই যতটা পারা যায় আর কী।
বলে ফেলা ভালো, শিরোনামের বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া। কোনো এক সৃষ্টিশীল মানুষের প্রোফাইলেই হয়তো পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেখা গেল এ প্রক্রিয়ায় সবাই-ই ট্রোলে অংশ নিচ্ছে। তা ভাবলাম, আমিই বা বাদ থাকি কেন?
যদিও মনকে চোখ মেরেছে এই নির্দিষ্ট লাইনটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও দর্শন। নিজের হতাশা প্রকাশ করার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’–এর বিষয়টির সঙ্গে স্কুল থেকেই আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু সত্যি বলছি, এতটা গভীর ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’ আর কোনো কথায় খুঁজে পাইনি। দ্বিমত থাকলে আমার সীমাবদ্ধতা মেনে ক্ষমা করে দেবেন, প্লিজ।
প্রথমে ভেবেছিলাম, এ লাইনটা শুনেই বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি বুঝি আমি একাই। পরে দেখলাম, না না, এ দেশে এমন অনেকেই আছে। সেটি নিশ্চিত করল বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গ্যালপ। কিছুদিন আগে বিশ্বে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ। নাম ‘গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট-২০২২’। সেখানে সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্টে চারটি বিভাগ রয়েছে—সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বনিম্ন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক ও সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক। এসব সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে মানুষের রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের অভিজ্ঞতার আলোকে।
গ্যালপের প্রতিবেদন বলছে, রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের দিক থেকে একেবারে শীর্ষে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর ৫৯। সেখানে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৪৫। একই স্কোর নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে ইকুয়েডর ও গিনি।
অর্থাৎ, আমার মতো সেলাই মেশিন কিনে হতাশা প্রকাশ করার মতো অনেক মানুষ এ দেশে আছে। তাদের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্ষোভের কারণগুলো কী আসলে? আরে সব কি আর বলা যায় নাকি! পকেটের টান বড় টান, প্রেমের টানের চেয়েও শক্তিশালী। বর্তমান বিশ্বে পকেট খালি তো মন বসবে না পড়ার (বা কাজের) টেবিলে! এবার দয়া করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না যেন, পকেটে কেন টান লাগছে। সব কথা এভাবে বলা যায় না যে! যদিও দুঃখের কথা ভাগাভাগি করলে মন হালকা হয়, তবে মাথাব্যথা বলে মাথা কাটার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করে হালকা হওয়ার কোনো ইচ্ছা এই অধমের নেই।
শেষটা করি নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে দিয়ে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন একটা সময় নাকি চিকিৎসা করতেন মানুষের। এ নিয়ে আশ্চর্য হতেই পারেন, তবে হোজ্জাকে দিয়ে সবই সম্ভব। তো এক দিন এক লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে ‘বাবা গো, মা গো’ চিৎকার শুরু করে দিল। চিকিৎসকরূপী মোল্লা স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে?’ জবাবে ওই ব্যক্তি জানাল তাঁর পেটে ব্যাপক ব্যথা। জানা গেল, রোগী খেয়েছিল পচা পিঠা। আর এই না শুনে কালবিলম্ব না করে মোল্লা নাসিরুদ্দিন গেলেন রোগীর চোখে ওষুধ দিতে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী জানাল—চোখে নয়, চোখে নয়, ব্যথা পেটে।
তখন হোজ্জা বললেন, ‘আসল রোগ তো চোখে। চোখ খারাপ না হলে কি আর কেউ পচা পিঠা খায়?’
আমরাও সবাই জানি যে, রোগটা আসলে কোথায়! কিন্তু পেট ঠিক করার আশায় চোখ কানা করার শখ কার হয়, বলুন!
সে যাক গে। জেনে রাখুন, গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তথা সবচেয়ে কম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে পানামা, স্কোর ৮৫। এবার কি তবে হতাশ বোধ করলে একটা জাহাজ কিনে পানামা চলে যাব?
ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু। আইডিয়া একেবারে খারাপ না!

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
শাবানা এ দেশের কিংবদন্তিতুল্য অভিনয়শিল্পী। শৈশব থেকে বিটিভিতে তাঁর অভিনীত প্রচুর চলচ্চিত্র দেখা হয়েছে। একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, শাবানা অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়েই আমরা ছোটরা এবং অনেক বড়রাও লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-শোক-দুঃখ সহ্য করে অবিচল থাকার শিক্ষা পেতাম। এগুলো কাজেও লেগেছে বটে। এই যে এখন হাজারো কিছু সহ্য করে আদর্শ ‘সহনশীল’ প্রাণী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, তার জন্য অনেকটা ধন্যবাদ ওই ছবিগুলোর প্রাপ্য।
তবে তারপরও হতাশা আসে। এমন জোরেশোরেই আসে যে, মনে হয় রাস্তায় নেমে যাই সন্ন্যাসীর মতো। সন্ন্যাস গ্রহণ করে সবাই তো টিকে থাকতে পারে না। সেই টিকে না থাকা ব্যক্তিরাই সৎ সাহসের অভাবে একপর্যায়ে সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হতে চায়! ওই যতটা পারা যায় আর কী।
বলে ফেলা ভালো, শিরোনামের বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া। কোনো এক সৃষ্টিশীল মানুষের প্রোফাইলেই হয়তো পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেখা গেল এ প্রক্রিয়ায় সবাই-ই ট্রোলে অংশ নিচ্ছে। তা ভাবলাম, আমিই বা বাদ থাকি কেন?
যদিও মনকে চোখ মেরেছে এই নির্দিষ্ট লাইনটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও দর্শন। নিজের হতাশা প্রকাশ করার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’–এর বিষয়টির সঙ্গে স্কুল থেকেই আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু সত্যি বলছি, এতটা গভীর ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’ আর কোনো কথায় খুঁজে পাইনি। দ্বিমত থাকলে আমার সীমাবদ্ধতা মেনে ক্ষমা করে দেবেন, প্লিজ।
প্রথমে ভেবেছিলাম, এ লাইনটা শুনেই বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি বুঝি আমি একাই। পরে দেখলাম, না না, এ দেশে এমন অনেকেই আছে। সেটি নিশ্চিত করল বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গ্যালপ। কিছুদিন আগে বিশ্বে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ। নাম ‘গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট-২০২২’। সেখানে সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্টে চারটি বিভাগ রয়েছে—সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বনিম্ন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক ও সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক। এসব সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে মানুষের রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের অভিজ্ঞতার আলোকে।
গ্যালপের প্রতিবেদন বলছে, রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের দিক থেকে একেবারে শীর্ষে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর ৫৯। সেখানে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৪৫। একই স্কোর নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে ইকুয়েডর ও গিনি।
অর্থাৎ, আমার মতো সেলাই মেশিন কিনে হতাশা প্রকাশ করার মতো অনেক মানুষ এ দেশে আছে। তাদের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্ষোভের কারণগুলো কী আসলে? আরে সব কি আর বলা যায় নাকি! পকেটের টান বড় টান, প্রেমের টানের চেয়েও শক্তিশালী। বর্তমান বিশ্বে পকেট খালি তো মন বসবে না পড়ার (বা কাজের) টেবিলে! এবার দয়া করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না যেন, পকেটে কেন টান লাগছে। সব কথা এভাবে বলা যায় না যে! যদিও দুঃখের কথা ভাগাভাগি করলে মন হালকা হয়, তবে মাথাব্যথা বলে মাথা কাটার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করে হালকা হওয়ার কোনো ইচ্ছা এই অধমের নেই।
শেষটা করি নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে দিয়ে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন একটা সময় নাকি চিকিৎসা করতেন মানুষের। এ নিয়ে আশ্চর্য হতেই পারেন, তবে হোজ্জাকে দিয়ে সবই সম্ভব। তো এক দিন এক লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে ‘বাবা গো, মা গো’ চিৎকার শুরু করে দিল। চিকিৎসকরূপী মোল্লা স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে?’ জবাবে ওই ব্যক্তি জানাল তাঁর পেটে ব্যাপক ব্যথা। জানা গেল, রোগী খেয়েছিল পচা পিঠা। আর এই না শুনে কালবিলম্ব না করে মোল্লা নাসিরুদ্দিন গেলেন রোগীর চোখে ওষুধ দিতে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী জানাল—চোখে নয়, চোখে নয়, ব্যথা পেটে।
তখন হোজ্জা বললেন, ‘আসল রোগ তো চোখে। চোখ খারাপ না হলে কি আর কেউ পচা পিঠা খায়?’
আমরাও সবাই জানি যে, রোগটা আসলে কোথায়! কিন্তু পেট ঠিক করার আশায় চোখ কানা করার শখ কার হয়, বলুন!
সে যাক গে। জেনে রাখুন, গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তথা সবচেয়ে কম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে পানামা, স্কোর ৮৫। এবার কি তবে হতাশ বোধ করলে একটা জাহাজ কিনে পানামা চলে যাব?
ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু। আইডিয়া একেবারে খারাপ না!
অর্ণব সান্যাল

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
শাবানা এ দেশের কিংবদন্তিতুল্য অভিনয়শিল্পী। শৈশব থেকে বিটিভিতে তাঁর অভিনীত প্রচুর চলচ্চিত্র দেখা হয়েছে। একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, শাবানা অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়েই আমরা ছোটরা এবং অনেক বড়রাও লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-শোক-দুঃখ সহ্য করে অবিচল থাকার শিক্ষা পেতাম। এগুলো কাজেও লেগেছে বটে। এই যে এখন হাজারো কিছু সহ্য করে আদর্শ ‘সহনশীল’ প্রাণী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, তার জন্য অনেকটা ধন্যবাদ ওই ছবিগুলোর প্রাপ্য।
তবে তারপরও হতাশা আসে। এমন জোরেশোরেই আসে যে, মনে হয় রাস্তায় নেমে যাই সন্ন্যাসীর মতো। সন্ন্যাস গ্রহণ করে সবাই তো টিকে থাকতে পারে না। সেই টিকে না থাকা ব্যক্তিরাই সৎ সাহসের অভাবে একপর্যায়ে সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হতে চায়! ওই যতটা পারা যায় আর কী।
বলে ফেলা ভালো, শিরোনামের বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া। কোনো এক সৃষ্টিশীল মানুষের প্রোফাইলেই হয়তো পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেখা গেল এ প্রক্রিয়ায় সবাই-ই ট্রোলে অংশ নিচ্ছে। তা ভাবলাম, আমিই বা বাদ থাকি কেন?
যদিও মনকে চোখ মেরেছে এই নির্দিষ্ট লাইনটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও দর্শন। নিজের হতাশা প্রকাশ করার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’–এর বিষয়টির সঙ্গে স্কুল থেকেই আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু সত্যি বলছি, এতটা গভীর ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’ আর কোনো কথায় খুঁজে পাইনি। দ্বিমত থাকলে আমার সীমাবদ্ধতা মেনে ক্ষমা করে দেবেন, প্লিজ।
প্রথমে ভেবেছিলাম, এ লাইনটা শুনেই বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি বুঝি আমি একাই। পরে দেখলাম, না না, এ দেশে এমন অনেকেই আছে। সেটি নিশ্চিত করল বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গ্যালপ। কিছুদিন আগে বিশ্বে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ। নাম ‘গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট-২০২২’। সেখানে সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্টে চারটি বিভাগ রয়েছে—সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বনিম্ন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক ও সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক। এসব সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে মানুষের রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের অভিজ্ঞতার আলোকে।
গ্যালপের প্রতিবেদন বলছে, রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের দিক থেকে একেবারে শীর্ষে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর ৫৯। সেখানে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৪৫। একই স্কোর নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে ইকুয়েডর ও গিনি।
অর্থাৎ, আমার মতো সেলাই মেশিন কিনে হতাশা প্রকাশ করার মতো অনেক মানুষ এ দেশে আছে। তাদের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্ষোভের কারণগুলো কী আসলে? আরে সব কি আর বলা যায় নাকি! পকেটের টান বড় টান, প্রেমের টানের চেয়েও শক্তিশালী। বর্তমান বিশ্বে পকেট খালি তো মন বসবে না পড়ার (বা কাজের) টেবিলে! এবার দয়া করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না যেন, পকেটে কেন টান লাগছে। সব কথা এভাবে বলা যায় না যে! যদিও দুঃখের কথা ভাগাভাগি করলে মন হালকা হয়, তবে মাথাব্যথা বলে মাথা কাটার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করে হালকা হওয়ার কোনো ইচ্ছা এই অধমের নেই।
শেষটা করি নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে দিয়ে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন একটা সময় নাকি চিকিৎসা করতেন মানুষের। এ নিয়ে আশ্চর্য হতেই পারেন, তবে হোজ্জাকে দিয়ে সবই সম্ভব। তো এক দিন এক লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে ‘বাবা গো, মা গো’ চিৎকার শুরু করে দিল। চিকিৎসকরূপী মোল্লা স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে?’ জবাবে ওই ব্যক্তি জানাল তাঁর পেটে ব্যাপক ব্যথা। জানা গেল, রোগী খেয়েছিল পচা পিঠা। আর এই না শুনে কালবিলম্ব না করে মোল্লা নাসিরুদ্দিন গেলেন রোগীর চোখে ওষুধ দিতে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী জানাল—চোখে নয়, চোখে নয়, ব্যথা পেটে।
তখন হোজ্জা বললেন, ‘আসল রোগ তো চোখে। চোখ খারাপ না হলে কি আর কেউ পচা পিঠা খায়?’
আমরাও সবাই জানি যে, রোগটা আসলে কোথায়! কিন্তু পেট ঠিক করার আশায় চোখ কানা করার শখ কার হয়, বলুন!
সে যাক গে। জেনে রাখুন, গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তথা সবচেয়ে কম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে পানামা, স্কোর ৮৫। এবার কি তবে হতাশ বোধ করলে একটা জাহাজ কিনে পানামা চলে যাব?
ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু। আইডিয়া একেবারে খারাপ না!

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
শাবানা এ দেশের কিংবদন্তিতুল্য অভিনয়শিল্পী। শৈশব থেকে বিটিভিতে তাঁর অভিনীত প্রচুর চলচ্চিত্র দেখা হয়েছে। একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, শাবানা অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়েই আমরা ছোটরা এবং অনেক বড়রাও লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-শোক-দুঃখ সহ্য করে অবিচল থাকার শিক্ষা পেতাম। এগুলো কাজেও লেগেছে বটে। এই যে এখন হাজারো কিছু সহ্য করে আদর্শ ‘সহনশীল’ প্রাণী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, তার জন্য অনেকটা ধন্যবাদ ওই ছবিগুলোর প্রাপ্য।
তবে তারপরও হতাশা আসে। এমন জোরেশোরেই আসে যে, মনে হয় রাস্তায় নেমে যাই সন্ন্যাসীর মতো। সন্ন্যাস গ্রহণ করে সবাই তো টিকে থাকতে পারে না। সেই টিকে না থাকা ব্যক্তিরাই সৎ সাহসের অভাবে একপর্যায়ে সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হতে চায়! ওই যতটা পারা যায় আর কী।
বলে ফেলা ভালো, শিরোনামের বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া। কোনো এক সৃষ্টিশীল মানুষের প্রোফাইলেই হয়তো পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেখা গেল এ প্রক্রিয়ায় সবাই-ই ট্রোলে অংশ নিচ্ছে। তা ভাবলাম, আমিই বা বাদ থাকি কেন?
যদিও মনকে চোখ মেরেছে এই নির্দিষ্ট লাইনটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও দর্শন। নিজের হতাশা প্রকাশ করার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’–এর বিষয়টির সঙ্গে স্কুল থেকেই আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু সত্যি বলছি, এতটা গভীর ‘অন্তর্নিহিত তাৎপর্য’ আর কোনো কথায় খুঁজে পাইনি। দ্বিমত থাকলে আমার সীমাবদ্ধতা মেনে ক্ষমা করে দেবেন, প্লিজ।
প্রথমে ভেবেছিলাম, এ লাইনটা শুনেই বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি বুঝি আমি একাই। পরে দেখলাম, না না, এ দেশে এমন অনেকেই আছে। সেটি নিশ্চিত করল বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গ্যালপ। কিছুদিন আগে বিশ্বে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ। নাম ‘গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট-২০২২’। সেখানে সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্টে চারটি বিভাগ রয়েছে—সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক, সর্বনিম্ন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক ও সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচক। এসব সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে মানুষের রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের অভিজ্ঞতার আলোকে।
গ্যালপের প্রতিবেদন বলছে, রাগ-ক্ষোভ-ক্রোধ, মানসিক চাপ ও বিষাদের দিক থেকে একেবারে শীর্ষে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর ৫৯। সেখানে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৪৫। একই স্কোর নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছে ইকুয়েডর ও গিনি।
অর্থাৎ, আমার মতো সেলাই মেশিন কিনে হতাশা প্রকাশ করার মতো অনেক মানুষ এ দেশে আছে। তাদের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্ষোভের কারণগুলো কী আসলে? আরে সব কি আর বলা যায় নাকি! পকেটের টান বড় টান, প্রেমের টানের চেয়েও শক্তিশালী। বর্তমান বিশ্বে পকেট খালি তো মন বসবে না পড়ার (বা কাজের) টেবিলে! এবার দয়া করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না যেন, পকেটে কেন টান লাগছে। সব কথা এভাবে বলা যায় না যে! যদিও দুঃখের কথা ভাগাভাগি করলে মন হালকা হয়, তবে মাথাব্যথা বলে মাথা কাটার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করে হালকা হওয়ার কোনো ইচ্ছা এই অধমের নেই।
শেষটা করি নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে দিয়ে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন একটা সময় নাকি চিকিৎসা করতেন মানুষের। এ নিয়ে আশ্চর্য হতেই পারেন, তবে হোজ্জাকে দিয়ে সবই সম্ভব। তো এক দিন এক লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে ‘বাবা গো, মা গো’ চিৎকার শুরু করে দিল। চিকিৎসকরূপী মোল্লা স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে?’ জবাবে ওই ব্যক্তি জানাল তাঁর পেটে ব্যাপক ব্যথা। জানা গেল, রোগী খেয়েছিল পচা পিঠা। আর এই না শুনে কালবিলম্ব না করে মোল্লা নাসিরুদ্দিন গেলেন রোগীর চোখে ওষুধ দিতে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী জানাল—চোখে নয়, চোখে নয়, ব্যথা পেটে।
তখন হোজ্জা বললেন, ‘আসল রোগ তো চোখে। চোখ খারাপ না হলে কি আর কেউ পচা পিঠা খায়?’
আমরাও সবাই জানি যে, রোগটা আসলে কোথায়! কিন্তু পেট ঠিক করার আশায় চোখ কানা করার শখ কার হয়, বলুন!
সে যাক গে। জেনে রাখুন, গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তথা সবচেয়ে কম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে পানামা, স্কোর ৮৫। এবার কি তবে হতাশ বোধ করলে একটা জাহাজ কিনে পানামা চলে যাব?
ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু। আইডিয়া একেবারে খারাপ না!

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
১১ জুলাই ২০২২
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
১১ জুলাই ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
১১ জুলাই ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

জীবনে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে, বুঝলেন। তখন কেমন জানি লাগে! একেবারে হতাশার চূড়ান্ত অবস্থা। ওই সময়টায় দুঃখে কখনো কখনো এমনটাই মনে হয় যে, আগামীকালই ‘একটা সেলাই মেশিন কিনে শাবানা হয়ে যাব’!
১১ জুলাই ২০২২
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে