ইশতিয়াক হাসান

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা
ইশতিয়াক হাসান

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে