
গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়।
ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া।
সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।
দ্য আলফ্রেড জুয়েল
১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’
আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে।
দ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে।
রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে।
দ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে।
দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়।
১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়...
০৭ আগস্ট ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে