ইশতিয়াক হাসান
নদীতে পানি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পাহাড়ি নদীতে জলের মাঝখানে ছোট-বড় নানা আকারের পাথরও দেখা যায়। তবে গোটা নদীতেই যদি বিশাল সব পাথর থাকে কিংবা আরও পরিষ্কারভাবে বললে গোটা নদীটিই যদি পাথরের হয় তখন? এমন পাথরের নদী সত্যি আছে। ছয় কিলোমিটার লম্বা পাথরের এই নদীর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাশিয়ার সাউদার্ন উরালের চেলিয়াবিনস্ক ওবলাস্ত এলাকায়।
কিন্তু ঘটনা হলো, এই এত পাথর কোথা থেকে এল কিংবা পাথরের এই নদীর জন্ম হলো কীভাবে? আজব এই নদীর জন্ম দিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তি ও গল্পগাথা ডালপালা মেললেও প্রায় ১০ হাজার বছর আগে পর্বত থেকে পাথর নেমে আসাই এর কারণ বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। ওই সময় তাগানায় পর্বতমালার ওপর জমা হওয়া হিমবাহের উচ্চতা গিয়ে ঠেকে ৪ হাজার ৮০০ মিটারে। বরফের প্রচণ্ড চাপে পর্বতের ওপরের অংশ ভেঙে গিয়ে লাখ লাখ বিশাল আকারের পাথরের টুকরোয় পরিণত হয়।
বরফ গলে গেলে পাথরগুলো ধীরে ধীরে পর্বতের শরীর বেয়ে নেমে এসে তৈরি করে বিশাল পাথরের নদীর। স্বাভাবিকভাবেই বিশাল সব পাথরের উপস্থিতির কারণে এর নামই হয়ে গেছে বিগ স্টোন রিভার। এই নদী প্রবাহিত না হলেও দেখতে পাথরের একটি নদীর মতো মনে হওয়ায় এমন নাম পায়। সত্যি কথা হলো, হাজার হাজার বছর ধরে স্থির অবস্থায় আছে এখানকার পাথরগুলো।
পাথরের নদীতে আছে কোয়ার্টজাইটের বিশাল সব ব্লক ও অ্যাভেনটুরিন। কোয়ার্টজ সমৃদ্ধ শক্ত পাথর হলো কোয়ার্টজাইট। আর সিলিকা কিংবা লৌহ সমৃদ্ধ কোয়ার্টজ হলো অ্যাভেনটুরিন। এখানকার কোনো কোনো পাথরের ওজন ৯-১০ টন।
মজার ঘটনা, পাথরগুলো হাজার বছর ধরে স্থির থাকলেও নদীর একেবারে কাছে চলে গেলে পানি বয়ে চলার মৃদু শব্দ শুনে চমকে উঠবেন। ঘটনা হলো, পাথরের নিচ দিয়ে ছোট ছোট নালা বয়ে গেছে। এসব নালার জলের এই শব্দই শোনা যায়।
পৃথিবীতে বিগ স্টোন রিভারই একমাত্র পাথরের নদী নয়। উরাল পর্বতমালায় এ ধরনের আরও নদী আছে। রাশিয়ার বাইরে বুলগেরিয়ার ভিতোশা পর্বতে এমন কয়েকটি পাথরের নদীর দেখা মেলে। এর মধ্যে ভ্লাদায়স্কা নদীর উজানের দিকে সাবালপাইন মালভূমিতে অবস্থিত একটি নদীর দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটারের মতো। এদিকে ভিতোশক বিসট্রিটসা নদীর উপত্যকায় অবস্থিত অপর একটি পাথরের নদীর কোনো কোনো অংশ প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া।
তবে এ ধরনের কোনো পাথরের নদীরই তুলনা চলে না সাউদার্ন উরাল এলাকার বিগ স্টোন রিভারের সঙ্গে। ছয় কিলোমিটার লম্বা এই পাথরের নদীটি গড়ে ২০০ মিটার চওড়া হলেও এর কোনো কোনো অংশ ৭০০ মিটার চওড়া। এই নদীটির আরেকটি মজার বিষয় আছে, চলার পথে সত্যিকারের নদীর মতো ঘন এক পাইনের জঙ্গল কেটে চলে গেছে এটি। পাথরের নদীটি গড়ে ৪ থেকে ৬ মিটার গভীর। এ কারণে নদীতে ছত্রাক ছাড়া আর কোনো উদ্ভিদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
তাগানায় ন্যাশনাল পার্ক এলাকার সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিগ স্টোন রিভারকে। শুধু তাই নয়, গোটা রাশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্রষ্টব্যগুলোর একটি এটি। তবে সুযোগ পেলে প্রকৃতির এই অনন্য বিস্ময়টি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয় কারওরই। তবে এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, আশপাশের কোনো পাহাড়ের ওপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেই বিগ স্টোন রিভার বা পাথরের নদীটি আপন সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, অডিটি সেন্ট্রাল, ভিয়েতনাম টাইমস
নদীতে পানি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পাহাড়ি নদীতে জলের মাঝখানে ছোট-বড় নানা আকারের পাথরও দেখা যায়। তবে গোটা নদীতেই যদি বিশাল সব পাথর থাকে কিংবা আরও পরিষ্কারভাবে বললে গোটা নদীটিই যদি পাথরের হয় তখন? এমন পাথরের নদী সত্যি আছে। ছয় কিলোমিটার লম্বা পাথরের এই নদীর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাশিয়ার সাউদার্ন উরালের চেলিয়াবিনস্ক ওবলাস্ত এলাকায়।
কিন্তু ঘটনা হলো, এই এত পাথর কোথা থেকে এল কিংবা পাথরের এই নদীর জন্ম হলো কীভাবে? আজব এই নদীর জন্ম দিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তি ও গল্পগাথা ডালপালা মেললেও প্রায় ১০ হাজার বছর আগে পর্বত থেকে পাথর নেমে আসাই এর কারণ বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। ওই সময় তাগানায় পর্বতমালার ওপর জমা হওয়া হিমবাহের উচ্চতা গিয়ে ঠেকে ৪ হাজার ৮০০ মিটারে। বরফের প্রচণ্ড চাপে পর্বতের ওপরের অংশ ভেঙে গিয়ে লাখ লাখ বিশাল আকারের পাথরের টুকরোয় পরিণত হয়।
বরফ গলে গেলে পাথরগুলো ধীরে ধীরে পর্বতের শরীর বেয়ে নেমে এসে তৈরি করে বিশাল পাথরের নদীর। স্বাভাবিকভাবেই বিশাল সব পাথরের উপস্থিতির কারণে এর নামই হয়ে গেছে বিগ স্টোন রিভার। এই নদী প্রবাহিত না হলেও দেখতে পাথরের একটি নদীর মতো মনে হওয়ায় এমন নাম পায়। সত্যি কথা হলো, হাজার হাজার বছর ধরে স্থির অবস্থায় আছে এখানকার পাথরগুলো।
পাথরের নদীতে আছে কোয়ার্টজাইটের বিশাল সব ব্লক ও অ্যাভেনটুরিন। কোয়ার্টজ সমৃদ্ধ শক্ত পাথর হলো কোয়ার্টজাইট। আর সিলিকা কিংবা লৌহ সমৃদ্ধ কোয়ার্টজ হলো অ্যাভেনটুরিন। এখানকার কোনো কোনো পাথরের ওজন ৯-১০ টন।
মজার ঘটনা, পাথরগুলো হাজার বছর ধরে স্থির থাকলেও নদীর একেবারে কাছে চলে গেলে পানি বয়ে চলার মৃদু শব্দ শুনে চমকে উঠবেন। ঘটনা হলো, পাথরের নিচ দিয়ে ছোট ছোট নালা বয়ে গেছে। এসব নালার জলের এই শব্দই শোনা যায়।
পৃথিবীতে বিগ স্টোন রিভারই একমাত্র পাথরের নদী নয়। উরাল পর্বতমালায় এ ধরনের আরও নদী আছে। রাশিয়ার বাইরে বুলগেরিয়ার ভিতোশা পর্বতে এমন কয়েকটি পাথরের নদীর দেখা মেলে। এর মধ্যে ভ্লাদায়স্কা নদীর উজানের দিকে সাবালপাইন মালভূমিতে অবস্থিত একটি নদীর দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটারের মতো। এদিকে ভিতোশক বিসট্রিটসা নদীর উপত্যকায় অবস্থিত অপর একটি পাথরের নদীর কোনো কোনো অংশ প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া।
তবে এ ধরনের কোনো পাথরের নদীরই তুলনা চলে না সাউদার্ন উরাল এলাকার বিগ স্টোন রিভারের সঙ্গে। ছয় কিলোমিটার লম্বা এই পাথরের নদীটি গড়ে ২০০ মিটার চওড়া হলেও এর কোনো কোনো অংশ ৭০০ মিটার চওড়া। এই নদীটির আরেকটি মজার বিষয় আছে, চলার পথে সত্যিকারের নদীর মতো ঘন এক পাইনের জঙ্গল কেটে চলে গেছে এটি। পাথরের নদীটি গড়ে ৪ থেকে ৬ মিটার গভীর। এ কারণে নদীতে ছত্রাক ছাড়া আর কোনো উদ্ভিদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
তাগানায় ন্যাশনাল পার্ক এলাকার সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিগ স্টোন রিভারকে। শুধু তাই নয়, গোটা রাশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্রষ্টব্যগুলোর একটি এটি। তবে সুযোগ পেলে প্রকৃতির এই অনন্য বিস্ময়টি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয় কারওরই। তবে এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, আশপাশের কোনো পাহাড়ের ওপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলেই বিগ স্টোন রিভার বা পাথরের নদীটি আপন সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, অডিটি সেন্ট্রাল, ভিয়েতনাম টাইমস
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৮ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
১০ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৬ দিন আগে