
জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাঁদের গুপ্তধন। এদিকে এখন বাংলাদেশি একটি জাহাজের দখলে নিয়ে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে আলোচনায় সোমালি জলদস্যুরা। অবশ্য এখনকার এই জলদস্যুদের সঙ্গে পুরোনো দিনের সেই জলদস্যুদের অনেকই তফাত।
আগের জমানার ওই জলদস্যুরা শাসন করত সাগর। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিল তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে।
জলদস্যুতার সোনালি সময়
সতেরো ও আঠারো শতকে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরগুলোয় মহা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে জলদস্যুরা। জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত এই উত্তাল যুগে কুখ্যাত সব জলদস্যুর উত্থান ঘটেছিল। যারা বণিকদের জাহাজ লুণ্ঠন করত, উপকূলীয় শহরগুলিতে লুটতরাজ চালাত। চলুন তবে কয়েকটি শতাব্দী পিছিয়ে যাই, পরিচিত হই জলদস্যুতার সোনালি সময়ের সেই সব দুর্দমনীয়-ভয়ংকর জলদস্যুদের সঙ্গে।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড
যার নাম শুনলেই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকদের গা কাটা দিয়ে উঠত তিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড। তার আসল নাম এডওয়ার্ড টিচ। অনেকের বিবেচনাতেই তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জলদস্যু। কালো জট পাকানো চুল, দাঁড়ির কিনারা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া, ভাটার মতো জ্বলন্ত দুই চোখ, শরীরের সঙ্গে আটকানো পিস্তল—সব মিলিয়ে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে দেখলেই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হতো নাবিকদের।
ব্ল্যাকবিয়ার্ডের হাত থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকেরা জানান, লুটতরাজের সময় টুপির নিচে জ্বলন্ত দড়ির টুকরো রেখে দিত ভয়ানক এই দস্যু। জাহাজের একটি বহরের নেতৃত্ব দেওয়া ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্যারিবিয়ান ও আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজ লুট করে বিশাল সম্পদের মালিক হন। বলা চলে অক্ষত অবস্থায় তার এলাকা অতিক্রমের সাধ্য ছিল না কোনো জাহাজের। পরে পাইরেট হান্টারদের হাতে নিহত হন এই ভয়ংকর দস্যু।
দিনটি ছিল ১৭১৮ সালের ২২ নভেম্বর। আমেরিকার উত্তর ক্যারোলাইনার ওকরাকক দ্বীপের কাছে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে কোণঠাসা করে ফেলে পাইরেট হান্টাররা। জলদস্যুদের জন্য ঘোষণা করা পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার জন্য যারা তাদের ধরত বা মারত তাদেরই বলা হতো পাইরেট হান্টার। দারুণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মারা পড়েন ব্ল্যাকবিয়ার্ড।
অ্যান বনি
পুরুষের আধিপত্যময় এক বিশ্বে, অ্যান বনি আবির্ভূত হন নিষ্ঠুর এবং নির্ভীক এক নারী জলদস্যু হিসেবে। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বনি সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বনে যান জলদস্যু। প্রেমিক কুখ্যাত ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেমের সঙ্গে মিলে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতেন অ্যান বনি।
একজন দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি এবং নারীর প্রথাগত ভূমিকা মেনে চলতে অস্বীকৃতি বনিকে জলদস্যুদের মধ্যে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে। তবে একপর্যায়ে বন্দী হন এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে তিনি ফাঁসির মঞ্চ থেকে পালাতে সক্ষম হন। তারপর তার আর খোঁজ না মিললেও বনির সাহস এবং অনমনীয়তা রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে তাকে।
ক্যালিকো জ্যাক র্যাকহেম
বনির কথা যেহেতু বলা হলোই তাহলে তার প্রেমিক ক্যালিকো জ্যাক রেকহ্যাম কেন বাদ থাকবেন! র্যাকহেম রঙিন সুতির বা ক্যালিকো পোশাক পরতেন। এ কারণে ক্যালিকো জ্যাক নামে পরিচিতি পান। তার জলদস্যু জীবন ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাকে বন্দী করার পর ১৭২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বন্দী হওয়ার আগেই অসংখ্য জাহাজ দখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেন।
ক্যাপ্টেন কিড
উইলিয়াম কিড পরিচিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামে। তার শুরুটা প্রাইভেটিয়ার হিসেবে। ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রাইভেটিয়ারদের কাজ ছিল যুদ্ধের সময় শত্রু জাহাজ আক্রমণ করা। তবে দ্রুতই জলদস্যুতে পরিণত হন। শত্রু জাহাজের পাশাপাশি সাধারণ সদাগরি জাহাজগুলিও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এটা তাকে একজন নির্মম এবং রক্তপিপাসু জলদস্যু হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেয়। তবে একপর্যায়ে কিড বন্দী হন এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। যতদূর জানা যায় ১৭০১ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার।
বার্থলোমিও রবার্টস
বার্থলোমিও রবার্টস পরিচিত ছিলেন ব্ল্যাক বার্ট নামে। অনেকেই তাকে বিবেচনা করেন সোনালি যুগের সবচেয়ে সফল জলদস্যু হিসেবে। ৪০০-র বেশি জাহাজ দখল করে নাবিকদের মধ্যে নিজেদের ভীতিকর এক ইমেজ তৈরি করেন তিনি। রবার্টস তার কঠোর আচরণবিধির জন্য পরিচিত ছিলেন। নিজের জাহাজে জুয়া, মদ্যপান এবং লড়াই নিষিদ্ধ করেছিলেন।
হেনরি মরগান
হেনরি মরগানের গল্পটা অন্য জলদস্যুদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুরুটা তার জলদস্যু হিসেবে। বিশেষ করে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলিতে হামলা চালিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তবে একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পান এবং ব্রিটিশ সরকার স্পেনীয় জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রাইভেটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব দেয় তাকে। পানামা সিটি দখল করে বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেন। পরবর্তীতে জ্যামাইকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হন। ১৬৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মেরি রিড
অ্যান বনির মতো কুখ্যাতি কামানো আরেক নারী জলদস্যু মেরি রিড। তবে তিনি সবসময় থাকতেন পুরুষের ছদ্মবেশে। এমনকি দলের অন্য জলদস্যুদের থেকেও নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেটা প্রকাশ পায় রিডসহ অন্য জলদস্যুরা ধরা পড়ার পর।
বন্দী হওয়ার পরে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই কারাগারে মারা যান তিনি। তার গল্প সেইসব নারীর গুপ্ত ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করে যারা চিরাচরিত রীতিকে অস্বীকার করেন এবং জলদস্যুতার মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন।
চিং শি
চীনা এই নারী জলদস্যু নেতৃত্ব দিতেন ইতিহাসের জলদস্যুদের সবচেয়ে বড় জাহাজ বহরগুলির একটির। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সদাগরি জাহাজের পাশাপাশি ও নৌবাহিনীর জাহাজও আতঙ্কে থাকত এই নারী জলদস্যু ও তার দলবলকে নিয়ে।
চিং শির অসাধারণ কৌশল এবং কঠোর আচরণবিধি তাকে প্রচুর সম্পদের মালিক করার পাশাপাশি বিপুল ক্ষমতাশালী করে। অবশ্য একপর্যায়ে জলদস্যুর জীবন ছেড়ে সাধারণ, বৈধ নাগরিকের মতো জীবন-যাপন করতে থাকেন।
এডওয়ার্ড লো
নাবিকদের মনে ভীতি সৃষ্টির জন্য এডওয়ার্ড লোর নামটিই ছিল যথেষ্ট। তিনি বন্দীদের সঙ্গে নৃশংস আচরণের জন্য কুখ্যাতি পান। নিষ্ঠুরতার জন্য তার খ্যাতি তাকে আঠারো শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যুদের তালিকায় ওপরের দিকে রাখবে। অবশ্য একপর্যায়ে তাকে বন্দী করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
জঁ লাফিত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে গালফ অব মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান চালাতেন জঁ লাফিত। লাফিত ও তার ভাই পিয়ের চোরাচালানের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৮১২ সালের যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার আগ্রহের জন্যও পরিচিতি পান। তার অপারেশনের মূল ঘাঁটি ছিল নিউ অরলিন্স। সেখানে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে একজন প্রাইভেটিয়ার হিসেবে তার দক্ষতা তাকে আমেরিকানদের কাছে মূল্যবান এক সম্পদে পরিণত করে। নায়ক এবং খলনায়কের মধ্যে সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা করে দেন জঁ লাফিত।
সূত্র: ফ্যামিলি ওয়াইজ ডট কম ইউকে, উইকিপিডিয়া

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

জলদস্যুরা শত শত বছর ধরে আমাদের কল্পনায় বিশেষ এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর কারণ জলদস্যুদের ভয়াবহতার নানা কাহিনি, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সাগরে রোমাঞ্চকর অভিযান ও তাদের গুপ্তধন। ব্ল্যাকবিয়ার্ড থেকে শুরু করে অ্যানি বনি, এই সব জলদস্যুরা যে শুধু অপরাধী ছিলেন তা নয়, তারা প্রকৃতপক্ষে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। চলুন
১৭ মার্চ ২০২৪
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে