গোলাম ওয়াদুদ

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।

ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
৩ দিন আগে