ইশতিয়াক হাসান

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয়, ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখা পাবেন উড়োজাহাজেরও।
শুনতে যতই অস্বাভাবিক লাগুক, এমন শহর বা বসতি সত্যি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই এলাকার নাম ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। এখানে প্রত্যেকেই তাঁদের বাড়ির সামনেই উড়োজাহাজে চেপে চলে আসতে পারেন। যেখানে যেতে চান, নিজের ব্যক্তিগত ছোট্ট প্লেনটায় চেপে বসলেই হলো। এই আজব শহরের ছবি ও ভিডিও অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোড়ন তুলেছে।
মজার ঘটনা, শহরটির নকশাই করা হয়েছে পাইলটদের কথা ভেবে। একটি বিমানবন্দর ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছে শহরটি। যেন পাইলটেরা সেখান থেকে সহজে বাড়িতে আসতে এবং বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারেন। তাঁদের বাড়িতে গ্যারেজ যদি না-ও থাকে, উড়োজাহাজ রাখার হ্যাঙ্গার ঠিকই আছে। অফিসে কিংবা বেড়াতে গেলে তাঁদের বড় ভরসা এই উড়োজাহাজ।
এবার বরং এ রকম একটি শহরের গোড়াপত্তন কীভাবে হলো তা জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক এয়ারফিল্ডই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পাইলটের সংখ্যা ১৯৩৯ সালে যেখানে ছিল ৩৪ হাজার, ১৯৪৬ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ। সেখানকার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি দেশজুড়ে আবাসিক এয়ারফিল্ড গড় তোলার প্রস্তাব দিল। এর একটি উদ্দেশ্য অব্যবহৃত এয়ারফিল্ডগুলো কাজে লাগনো। অপরটি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক পাইলটদেরও একটি ভালো ব্যবস্থা হওয়া। তাই এমন সব বসতি গড়ে উঠল, যেখানে সবাই কোনো না কোনোভাবে উড়োজাহাজ চালনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এমনই একটি আবাসিক এয়ারপার্ক ক্যামেরন এয়ার পার্ক।
পৃথিবীতে এ ধরনের কয়েক শ এয়ারপার্ক থাকলেও ক্যামেরন এয়ারপার্ক এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছে। যদ্দুর জানা যায়, ১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই শহরে ১২৪টি বাড়ি আছে।
ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের একসময়কার ম্যানেজার কুকসি এক সাক্ষাৎকারে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন, এয়ারপার্কের রাস্তাগুলো এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে চওড়া। কারণ রানওয়েতে কেবল উড়োজাহাজই চলে। অন্যদিকে উড়োজাহাজ ও গাড়ি যেন পাশাপাশি নিরাপদে একে অপরকে অতিক্রম করে যেতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই এখানকার রাস্তার নকশা করা।
তাই ওই শহরে গেলে গাড়ি আর উড়োজাহাজকে রাস্তায় পাশাপাশি চলতে দেখলে চোখ কচলানোর কোনো কারণ নেই। এটাই সেখানকার অতি স্বাভাবিক চিত্র।
এই আজব শহরের আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, এখানকার রাস্তার সাইন ও ডাকবাক্সগুলো বেশ নিচু করে বানানো, সেটা এমনকি তিন ফুটের নিচে। এর কারণ হলো উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে যেন এগুলোর সংঘর্ষ না হয়। রাস্তার নামগুলো উড়োজাহাজের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন বোয়িং রোড, সেসানা ড্রাইভ ইত্যাদি। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে রিমোট থাকে, যেটা দিয়ে বৈদ্যুতিক গেট খুলে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা।
স্বাভাবিকভাবেই উড়োজাহাজপ্রেমীদের আবাসস্থল এই শহর। ২০০৩ সালে বে এরিয়া থেকে ক্যামেরন এয়ারপার্ক এস্টেটসে ঘাঁটি গাড়েন বার্ল স্ক্যাগস। একটা কারণ, এখানকার বাড়ির দাম তখন বেশ কম ছিল, তবে আসল কারণ তাঁর একটা ব্যক্তিগত প্লেন আছে আর ক্যামেরনের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই বড়সড় হ্যাঙ্গার আছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পরের সাত বছর এই প্রকৌশলী পালো আল্টোতে নিজের কর্মস্থলে যেতেন উড়োজাহাজে। এভাবে যানজটে আটকা না পড়ায় প্রতিদিন বেশ কতকটা সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারতেন।
‘আড়াই-তিন ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বদলে ৩৫-৪০ মিনিটেই উড়োজাহাজে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতাম,’ স্ক্যাগস বলেন, ‘এখন আর কর্মস্থলে যেতে না হলেও এখনো একটি প্লেন আছে আমার।’
‘এখান থেকে অন্য কোনো বিমানবন্দরে যেতে এক ঘণ্টা লাগবে। তারপর সেখানে অপেক্ষা করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তামূলক পরীক্ষা করা হবে। এখানে কেবল গ্যারেজের দরজা খুলে প্লেনে উঠে বসবেন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রানওয়েতে ওঠে পড়বেন, আর আকাশে উড়বে আপনার উড়োজাহাজ।’ বলেন শহরটিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ফ্রেন্ডস অব ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কুরিচক।
ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে একটি বিশেষ জেলা এই ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। পাঁচ সদস্যের নির্বাচিত একটি বোর্ড এটি পরিচালনা করেন। এখানে যেসব মানুষের বাস, তাঁদের বেশির ভাগই পাইলট। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্লেন চালান। শনিবার সকালে এখানকার অধিবাসীরা একত্র হয়ে স্থানীয় এয়ারপোর্টে যান।
জুলিয়া ক্লার্কের বাসও এই শহরে। তিনি আকাশে উড়োজাহাজ নিয়ে নানা কৌশল দেখাতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী বাণিজ্যিক পাইলটদের একজন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে বাস তাঁর।
তিনি জানান, এই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের খুব কাছের। একজন আরেকজনকে ভালোভাবে জানেন। এমনকি নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটিকেও জুলিয়া মেরামত করে কাজে লাগান। নিজের অনেক কাজই সেখানে করেন। ‘আমার কাজগুলো উড়োজাহাজের ভেতরেই করি।’
স্ক্যাগস জানান, এখানকার যেসব মানুষ গাড়ি ভালোবাসেন, তাঁদেরও বিশাল হ্যাঙ্গারগুলো পছন্দ। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখন শহরে বাস করা শতভাগ লোকই প্রবলভাবে উড়োজাহাজপ্রেমী নয়।
কাজেই পাঠক মার্কিন মুল্লুকে ভ্রমণে গেলে এমন একটি শহরে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বলা যায় না, কথা বলার পর ভালো লেগে গেলে এখানকার কোনো বাসিন্দা ছোট্ট একটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে সঙ্গীও করে নিতে পারে আপনাকে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিপা নিউজ,

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয়, ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখা পাবেন উড়োজাহাজেরও।
শুনতে যতই অস্বাভাবিক লাগুক, এমন শহর বা বসতি সত্যি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই এলাকার নাম ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। এখানে প্রত্যেকেই তাঁদের বাড়ির সামনেই উড়োজাহাজে চেপে চলে আসতে পারেন। যেখানে যেতে চান, নিজের ব্যক্তিগত ছোট্ট প্লেনটায় চেপে বসলেই হলো। এই আজব শহরের ছবি ও ভিডিও অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোড়ন তুলেছে।
মজার ঘটনা, শহরটির নকশাই করা হয়েছে পাইলটদের কথা ভেবে। একটি বিমানবন্দর ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছে শহরটি। যেন পাইলটেরা সেখান থেকে সহজে বাড়িতে আসতে এবং বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারেন। তাঁদের বাড়িতে গ্যারেজ যদি না-ও থাকে, উড়োজাহাজ রাখার হ্যাঙ্গার ঠিকই আছে। অফিসে কিংবা বেড়াতে গেলে তাঁদের বড় ভরসা এই উড়োজাহাজ।
এবার বরং এ রকম একটি শহরের গোড়াপত্তন কীভাবে হলো তা জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক এয়ারফিল্ডই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পাইলটের সংখ্যা ১৯৩৯ সালে যেখানে ছিল ৩৪ হাজার, ১৯৪৬ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ। সেখানকার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি দেশজুড়ে আবাসিক এয়ারফিল্ড গড় তোলার প্রস্তাব দিল। এর একটি উদ্দেশ্য অব্যবহৃত এয়ারফিল্ডগুলো কাজে লাগনো। অপরটি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক পাইলটদেরও একটি ভালো ব্যবস্থা হওয়া। তাই এমন সব বসতি গড়ে উঠল, যেখানে সবাই কোনো না কোনোভাবে উড়োজাহাজ চালনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এমনই একটি আবাসিক এয়ারপার্ক ক্যামেরন এয়ার পার্ক।
পৃথিবীতে এ ধরনের কয়েক শ এয়ারপার্ক থাকলেও ক্যামেরন এয়ারপার্ক এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছে। যদ্দুর জানা যায়, ১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই শহরে ১২৪টি বাড়ি আছে।
ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের একসময়কার ম্যানেজার কুকসি এক সাক্ষাৎকারে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন, এয়ারপার্কের রাস্তাগুলো এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে চওড়া। কারণ রানওয়েতে কেবল উড়োজাহাজই চলে। অন্যদিকে উড়োজাহাজ ও গাড়ি যেন পাশাপাশি নিরাপদে একে অপরকে অতিক্রম করে যেতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই এখানকার রাস্তার নকশা করা।
তাই ওই শহরে গেলে গাড়ি আর উড়োজাহাজকে রাস্তায় পাশাপাশি চলতে দেখলে চোখ কচলানোর কোনো কারণ নেই। এটাই সেখানকার অতি স্বাভাবিক চিত্র।
এই আজব শহরের আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, এখানকার রাস্তার সাইন ও ডাকবাক্সগুলো বেশ নিচু করে বানানো, সেটা এমনকি তিন ফুটের নিচে। এর কারণ হলো উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে যেন এগুলোর সংঘর্ষ না হয়। রাস্তার নামগুলো উড়োজাহাজের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন বোয়িং রোড, সেসানা ড্রাইভ ইত্যাদি। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে রিমোট থাকে, যেটা দিয়ে বৈদ্যুতিক গেট খুলে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা।
স্বাভাবিকভাবেই উড়োজাহাজপ্রেমীদের আবাসস্থল এই শহর। ২০০৩ সালে বে এরিয়া থেকে ক্যামেরন এয়ারপার্ক এস্টেটসে ঘাঁটি গাড়েন বার্ল স্ক্যাগস। একটা কারণ, এখানকার বাড়ির দাম তখন বেশ কম ছিল, তবে আসল কারণ তাঁর একটা ব্যক্তিগত প্লেন আছে আর ক্যামেরনের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই বড়সড় হ্যাঙ্গার আছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পরের সাত বছর এই প্রকৌশলী পালো আল্টোতে নিজের কর্মস্থলে যেতেন উড়োজাহাজে। এভাবে যানজটে আটকা না পড়ায় প্রতিদিন বেশ কতকটা সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারতেন।
‘আড়াই-তিন ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বদলে ৩৫-৪০ মিনিটেই উড়োজাহাজে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতাম,’ স্ক্যাগস বলেন, ‘এখন আর কর্মস্থলে যেতে না হলেও এখনো একটি প্লেন আছে আমার।’
‘এখান থেকে অন্য কোনো বিমানবন্দরে যেতে এক ঘণ্টা লাগবে। তারপর সেখানে অপেক্ষা করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তামূলক পরীক্ষা করা হবে। এখানে কেবল গ্যারেজের দরজা খুলে প্লেনে উঠে বসবেন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রানওয়েতে ওঠে পড়বেন, আর আকাশে উড়বে আপনার উড়োজাহাজ।’ বলেন শহরটিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ফ্রেন্ডস অব ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কুরিচক।
ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে একটি বিশেষ জেলা এই ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। পাঁচ সদস্যের নির্বাচিত একটি বোর্ড এটি পরিচালনা করেন। এখানে যেসব মানুষের বাস, তাঁদের বেশির ভাগই পাইলট। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্লেন চালান। শনিবার সকালে এখানকার অধিবাসীরা একত্র হয়ে স্থানীয় এয়ারপোর্টে যান।
জুলিয়া ক্লার্কের বাসও এই শহরে। তিনি আকাশে উড়োজাহাজ নিয়ে নানা কৌশল দেখাতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী বাণিজ্যিক পাইলটদের একজন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে বাস তাঁর।
তিনি জানান, এই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের খুব কাছের। একজন আরেকজনকে ভালোভাবে জানেন। এমনকি নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটিকেও জুলিয়া মেরামত করে কাজে লাগান। নিজের অনেক কাজই সেখানে করেন। ‘আমার কাজগুলো উড়োজাহাজের ভেতরেই করি।’
স্ক্যাগস জানান, এখানকার যেসব মানুষ গাড়ি ভালোবাসেন, তাঁদেরও বিশাল হ্যাঙ্গারগুলো পছন্দ। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখন শহরে বাস করা শতভাগ লোকই প্রবলভাবে উড়োজাহাজপ্রেমী নয়।
কাজেই পাঠক মার্কিন মুল্লুকে ভ্রমণে গেলে এমন একটি শহরে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বলা যায় না, কথা বলার পর ভালো লেগে গেলে এখানকার কোনো বাসিন্দা ছোট্ট একটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে সঙ্গীও করে নিতে পারে আপনাকে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিপা নিউজ,
ইশতিয়াক হাসান

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয়, ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখা পাবেন উড়োজাহাজেরও।
শুনতে যতই অস্বাভাবিক লাগুক, এমন শহর বা বসতি সত্যি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই এলাকার নাম ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। এখানে প্রত্যেকেই তাঁদের বাড়ির সামনেই উড়োজাহাজে চেপে চলে আসতে পারেন। যেখানে যেতে চান, নিজের ব্যক্তিগত ছোট্ট প্লেনটায় চেপে বসলেই হলো। এই আজব শহরের ছবি ও ভিডিও অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোড়ন তুলেছে।
মজার ঘটনা, শহরটির নকশাই করা হয়েছে পাইলটদের কথা ভেবে। একটি বিমানবন্দর ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছে শহরটি। যেন পাইলটেরা সেখান থেকে সহজে বাড়িতে আসতে এবং বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারেন। তাঁদের বাড়িতে গ্যারেজ যদি না-ও থাকে, উড়োজাহাজ রাখার হ্যাঙ্গার ঠিকই আছে। অফিসে কিংবা বেড়াতে গেলে তাঁদের বড় ভরসা এই উড়োজাহাজ।
এবার বরং এ রকম একটি শহরের গোড়াপত্তন কীভাবে হলো তা জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক এয়ারফিল্ডই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পাইলটের সংখ্যা ১৯৩৯ সালে যেখানে ছিল ৩৪ হাজার, ১৯৪৬ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ। সেখানকার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি দেশজুড়ে আবাসিক এয়ারফিল্ড গড় তোলার প্রস্তাব দিল। এর একটি উদ্দেশ্য অব্যবহৃত এয়ারফিল্ডগুলো কাজে লাগনো। অপরটি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক পাইলটদেরও একটি ভালো ব্যবস্থা হওয়া। তাই এমন সব বসতি গড়ে উঠল, যেখানে সবাই কোনো না কোনোভাবে উড়োজাহাজ চালনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এমনই একটি আবাসিক এয়ারপার্ক ক্যামেরন এয়ার পার্ক।
পৃথিবীতে এ ধরনের কয়েক শ এয়ারপার্ক থাকলেও ক্যামেরন এয়ারপার্ক এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছে। যদ্দুর জানা যায়, ১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই শহরে ১২৪টি বাড়ি আছে।
ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের একসময়কার ম্যানেজার কুকসি এক সাক্ষাৎকারে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন, এয়ারপার্কের রাস্তাগুলো এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে চওড়া। কারণ রানওয়েতে কেবল উড়োজাহাজই চলে। অন্যদিকে উড়োজাহাজ ও গাড়ি যেন পাশাপাশি নিরাপদে একে অপরকে অতিক্রম করে যেতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই এখানকার রাস্তার নকশা করা।
তাই ওই শহরে গেলে গাড়ি আর উড়োজাহাজকে রাস্তায় পাশাপাশি চলতে দেখলে চোখ কচলানোর কোনো কারণ নেই। এটাই সেখানকার অতি স্বাভাবিক চিত্র।
এই আজব শহরের আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, এখানকার রাস্তার সাইন ও ডাকবাক্সগুলো বেশ নিচু করে বানানো, সেটা এমনকি তিন ফুটের নিচে। এর কারণ হলো উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে যেন এগুলোর সংঘর্ষ না হয়। রাস্তার নামগুলো উড়োজাহাজের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন বোয়িং রোড, সেসানা ড্রাইভ ইত্যাদি। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে রিমোট থাকে, যেটা দিয়ে বৈদ্যুতিক গেট খুলে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা।
স্বাভাবিকভাবেই উড়োজাহাজপ্রেমীদের আবাসস্থল এই শহর। ২০০৩ সালে বে এরিয়া থেকে ক্যামেরন এয়ারপার্ক এস্টেটসে ঘাঁটি গাড়েন বার্ল স্ক্যাগস। একটা কারণ, এখানকার বাড়ির দাম তখন বেশ কম ছিল, তবে আসল কারণ তাঁর একটা ব্যক্তিগত প্লেন আছে আর ক্যামেরনের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই বড়সড় হ্যাঙ্গার আছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পরের সাত বছর এই প্রকৌশলী পালো আল্টোতে নিজের কর্মস্থলে যেতেন উড়োজাহাজে। এভাবে যানজটে আটকা না পড়ায় প্রতিদিন বেশ কতকটা সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারতেন।
‘আড়াই-তিন ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বদলে ৩৫-৪০ মিনিটেই উড়োজাহাজে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতাম,’ স্ক্যাগস বলেন, ‘এখন আর কর্মস্থলে যেতে না হলেও এখনো একটি প্লেন আছে আমার।’
‘এখান থেকে অন্য কোনো বিমানবন্দরে যেতে এক ঘণ্টা লাগবে। তারপর সেখানে অপেক্ষা করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তামূলক পরীক্ষা করা হবে। এখানে কেবল গ্যারেজের দরজা খুলে প্লেনে উঠে বসবেন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রানওয়েতে ওঠে পড়বেন, আর আকাশে উড়বে আপনার উড়োজাহাজ।’ বলেন শহরটিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ফ্রেন্ডস অব ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কুরিচক।
ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে একটি বিশেষ জেলা এই ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। পাঁচ সদস্যের নির্বাচিত একটি বোর্ড এটি পরিচালনা করেন। এখানে যেসব মানুষের বাস, তাঁদের বেশির ভাগই পাইলট। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্লেন চালান। শনিবার সকালে এখানকার অধিবাসীরা একত্র হয়ে স্থানীয় এয়ারপোর্টে যান।
জুলিয়া ক্লার্কের বাসও এই শহরে। তিনি আকাশে উড়োজাহাজ নিয়ে নানা কৌশল দেখাতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী বাণিজ্যিক পাইলটদের একজন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে বাস তাঁর।
তিনি জানান, এই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের খুব কাছের। একজন আরেকজনকে ভালোভাবে জানেন। এমনকি নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটিকেও জুলিয়া মেরামত করে কাজে লাগান। নিজের অনেক কাজই সেখানে করেন। ‘আমার কাজগুলো উড়োজাহাজের ভেতরেই করি।’
স্ক্যাগস জানান, এখানকার যেসব মানুষ গাড়ি ভালোবাসেন, তাঁদেরও বিশাল হ্যাঙ্গারগুলো পছন্দ। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখন শহরে বাস করা শতভাগ লোকই প্রবলভাবে উড়োজাহাজপ্রেমী নয়।
কাজেই পাঠক মার্কিন মুল্লুকে ভ্রমণে গেলে এমন একটি শহরে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বলা যায় না, কথা বলার পর ভালো লেগে গেলে এখানকার কোনো বাসিন্দা ছোট্ট একটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে সঙ্গীও করে নিতে পারে আপনাকে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিপা নিউজ,

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয়, ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখা পাবেন উড়োজাহাজেরও।
শুনতে যতই অস্বাভাবিক লাগুক, এমন শহর বা বসতি সত্যি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওই এলাকার নাম ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। এখানে প্রত্যেকেই তাঁদের বাড়ির সামনেই উড়োজাহাজে চেপে চলে আসতে পারেন। যেখানে যেতে চান, নিজের ব্যক্তিগত ছোট্ট প্লেনটায় চেপে বসলেই হলো। এই আজব শহরের ছবি ও ভিডিও অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোড়ন তুলেছে।
মজার ঘটনা, শহরটির নকশাই করা হয়েছে পাইলটদের কথা ভেবে। একটি বিমানবন্দর ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছে শহরটি। যেন পাইলটেরা সেখান থেকে সহজে বাড়িতে আসতে এবং বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারেন। তাঁদের বাড়িতে গ্যারেজ যদি না-ও থাকে, উড়োজাহাজ রাখার হ্যাঙ্গার ঠিকই আছে। অফিসে কিংবা বেড়াতে গেলে তাঁদের বড় ভরসা এই উড়োজাহাজ।
এবার বরং এ রকম একটি শহরের গোড়াপত্তন কীভাবে হলো তা জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক এয়ারফিল্ডই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। পাইলটের সংখ্যা ১৯৩৯ সালে যেখানে ছিল ৩৪ হাজার, ১৯৪৬ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ। সেখানকার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি দেশজুড়ে আবাসিক এয়ারফিল্ড গড় তোলার প্রস্তাব দিল। এর একটি উদ্দেশ্য অব্যবহৃত এয়ারফিল্ডগুলো কাজে লাগনো। অপরটি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক পাইলটদেরও একটি ভালো ব্যবস্থা হওয়া। তাই এমন সব বসতি গড়ে উঠল, যেখানে সবাই কোনো না কোনোভাবে উড়োজাহাজ চালনার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এমনই একটি আবাসিক এয়ারপার্ক ক্যামেরন এয়ার পার্ক।
পৃথিবীতে এ ধরনের কয়েক শ এয়ারপার্ক থাকলেও ক্যামেরন এয়ারপার্ক এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগিয়েছে। যদ্দুর জানা যায়, ১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই শহরে ১২৪টি বাড়ি আছে।
ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের একসময়কার ম্যানেজার কুকসি এক সাক্ষাৎকারে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন, এয়ারপার্কের রাস্তাগুলো এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে চওড়া। কারণ রানওয়েতে কেবল উড়োজাহাজই চলে। অন্যদিকে উড়োজাহাজ ও গাড়ি যেন পাশাপাশি নিরাপদে একে অপরকে অতিক্রম করে যেতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই এখানকার রাস্তার নকশা করা।
তাই ওই শহরে গেলে গাড়ি আর উড়োজাহাজকে রাস্তায় পাশাপাশি চলতে দেখলে চোখ কচলানোর কোনো কারণ নেই। এটাই সেখানকার অতি স্বাভাবিক চিত্র।
এই আজব শহরের আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, এখানকার রাস্তার সাইন ও ডাকবাক্সগুলো বেশ নিচু করে বানানো, সেটা এমনকি তিন ফুটের নিচে। এর কারণ হলো উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে যেন এগুলোর সংঘর্ষ না হয়। রাস্তার নামগুলো উড়োজাহাজের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত। যেমন বোয়িং রোড, সেসানা ড্রাইভ ইত্যাদি। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে রিমোট থাকে, যেটা দিয়ে বৈদ্যুতিক গেট খুলে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেন তাঁরা।
স্বাভাবিকভাবেই উড়োজাহাজপ্রেমীদের আবাসস্থল এই শহর। ২০০৩ সালে বে এরিয়া থেকে ক্যামেরন এয়ারপার্ক এস্টেটসে ঘাঁটি গাড়েন বার্ল স্ক্যাগস। একটা কারণ, এখানকার বাড়ির দাম তখন বেশ কম ছিল, তবে আসল কারণ তাঁর একটা ব্যক্তিগত প্লেন আছে আর ক্যামেরনের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই বড়সড় হ্যাঙ্গার আছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পরের সাত বছর এই প্রকৌশলী পালো আল্টোতে নিজের কর্মস্থলে যেতেন উড়োজাহাজে। এভাবে যানজটে আটকা না পড়ায় প্রতিদিন বেশ কতকটা সময় বাঁচিয়ে ফেলতে পারতেন।
‘আড়াই-তিন ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বদলে ৩৫-৪০ মিনিটেই উড়োজাহাজে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতাম,’ স্ক্যাগস বলেন, ‘এখন আর কর্মস্থলে যেতে না হলেও এখনো একটি প্লেন আছে আমার।’
‘এখান থেকে অন্য কোনো বিমানবন্দরে যেতে এক ঘণ্টা লাগবে। তারপর সেখানে অপেক্ষা করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তামূলক পরীক্ষা করা হবে। এখানে কেবল গ্যারেজের দরজা খুলে প্লেনে উঠে বসবেন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রানওয়েতে ওঠে পড়বেন, আর আকাশে উড়বে আপনার উড়োজাহাজ।’ বলেন শহরটিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ফ্রেন্ডস অব ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্টের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কুরিচক।
ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে একটি বিশেষ জেলা এই ক্যামেরন এয়ারপার্ক স্টেটস। পাঁচ সদস্যের নির্বাচিত একটি বোর্ড এটি পরিচালনা করেন। এখানে যেসব মানুষের বাস, তাঁদের বেশির ভাগই পাইলট। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্লেন চালান। শনিবার সকালে এখানকার অধিবাসীরা একত্র হয়ে স্থানীয় এয়ারপোর্টে যান।
জুলিয়া ক্লার্কের বাসও এই শহরে। তিনি আকাশে উড়োজাহাজ নিয়ে নানা কৌশল দেখাতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী বাণিজ্যিক পাইলটদের একজন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে বাস তাঁর।
তিনি জানান, এই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের খুব কাছের। একজন আরেকজনকে ভালোভাবে জানেন। এমনকি নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটিকেও জুলিয়া মেরামত করে কাজে লাগান। নিজের অনেক কাজই সেখানে করেন। ‘আমার কাজগুলো উড়োজাহাজের ভেতরেই করি।’
স্ক্যাগস জানান, এখানকার যেসব মানুষ গাড়ি ভালোবাসেন, তাঁদেরও বিশাল হ্যাঙ্গারগুলো পছন্দ। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখন শহরে বাস করা শতভাগ লোকই প্রবলভাবে উড়োজাহাজপ্রেমী নয়।
কাজেই পাঠক মার্কিন মুল্লুকে ভ্রমণে গেলে এমন একটি শহরে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বলা যায় না, কথা বলার পর ভালো লেগে গেলে এখানকার কোনো বাসিন্দা ছোট্ট একটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে সঙ্গীও করে নিতে পারে আপনাকে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিপা নিউজ,

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১০ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয় ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখবেন উড়োজাহাজকেও।
২৬ আগস্ট ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১০ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয় ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখবেন উড়োজাহাজকেও।
২৬ আগস্ট ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১০ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয় ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখবেন উড়োজাহাজকেও।
২৬ আগস্ট ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

গল্পটি এমন এক শহরের, যেখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট ছোট উড়োজাহাজ বা প্লেন আছে। গাড়ির গ্যারেজ যেমন আমাদের কাছে এখন খুব পরিচিত একটি বিষয় ওই শহরে উড়োজাহাজের হ্যাঙ্গারও তেমনি। সেখানে এমনকি গাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় দেখবেন উড়োজাহাজকেও।
২৬ আগস্ট ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১০ দিন আগে