ইশতিয়াক হাসান

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প-উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয়, তবে কেমন হবে বলুন তো? না, ভয়ের কিছু নেই, মানুষ থেকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হওয়া ভয়ানক কিছু একটার কথা বলছি না। আজকের গল্প ভ্যাম্পায়ার বেট বা ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের নিয়ে।
বেশির ভাগ মানুষ যখন ঘুমের অতলে, ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা তখন আত্মপ্রকাশ করে অন্ধকার গুহা, খনি, গহিন অরণ্যের গাছের গর্ত কিংবা পরিত্যক্ত ঘর-বাড়ি থেকে। আমাজনের জঙ্গলসহ দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল ও মেক্সিকোয় দেখা মেলে এ বাদুড়দের।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা রাতের আকাশে শরীরটা ভাসিয়ে দেয় খাবারের খোঁজে। তবে এদের সম্পর্কে সবচেয়ে পিলে চমকানো তথ্য হলো, গল্পের বই কিংবা সিনেমার পর্দার ভ্যাম্পায়ারদের মতো এদেরও বেঁচে থাকার জন্য রক্ত পান করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত গরু, শূকর, ঘোড়া, পাখিসহ বনের বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খায় এরা। এখানেই শেষ নয়, খুব বিপদে পড়লে মানে খাবারে টান পড়লে মানুষের রক্তও পান করে এরা।
এই ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের কথা প্রথম জেনেছিলাম অবশ্য তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য বইটি পড়ে। যেখানে চিড়িয়াখানার জন্য প্রাণী সংগ্রহ করতে দক্ষিণ আমেরিকার গহিন অরণ্যে গিয়েছিল তিন গোয়েন্দা মানে কিশোর, রবিন, মুসা। সেখানে একটি ভ্যাম্পায়ার বেট বা রক্তচোষা বাদুড় সংগ্রহ করে তারা। ওটার জন্য রক্তের জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ে যেতে হয়েছিল। বলা চলে তখন থেকেই প্রাণীটির প্রতি আগ্রহ জন্মায় মনে।
অবশ্য এই বাদুড়েরা কল্পকথার ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্ত চুষে নেয় না, বরং দাঁত দিয়ে শিকারের শরীরে একটু ফুটো করে দেয়। তারপর বের হতে থাকা রক্ত জিভ দিয়ে চেটে চেটে খায়। অর্থাৎ একে রক্তচোষা না বলে রক্তচাটা বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। যদ্দুর মনে পড়ছে, ভীষণ অরণ্যে মুসাও ভ্যাম্পায়ার বাদুড়টিকে ‘রক্তচাটা’ নামই দিয়েছিল। প্রাণীটি এতটাই হালকা যে অনেক সময়ই শিকারকে ঘুম থেকে না জাগিয়েই টানা ত্রিশ মিনিট রক্ত খায়। অবশ্য তার মানে এরা অনেকটা রক্ত খেয়ে ফেলে তা নয়। এমনকি এ সময় শিকার খুব একটা আঘাতও পায় না।
এবার বরং ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক, এরা দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো হয়। ছড়ানো ডানার দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি। বন্য অবস্থায় সাধারণত বাঁচে ৯ বছর। ওজন মোটে দুই আউন্স। তবে একবার ভরপেট রক্ত পানের পর ওজন দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এরা কলোনি করে থাকে। এমন একটি কলোনিতে কয়েক শ ভ্যাম্পায়ার বাদুড় থাকতে পারে। কমন ভ্যাম্পায়ার বাদুড় ছাড়াও এদের আরও দুটি জাত আছে।
মজার ঘটনা, এই বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার জন্য ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের আলাদা কিছু ক্ষমতা আছে। গবেষকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, উড়ুক্কু এই স্তন্যপায়ীরা কোনো প্রাণীর শ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। আরও আশ্চর্য ব্যাপার, কোনো একটি প্রাণী যেমন গরুকে শ্বাস–প্রশ্বাসের শব্দ শুনেই আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। এর রক্ত খাওয়ার জন্য রাতের পর রাত ফিরে আসে।
বাদুড়দের অন্যান্য জাতের মতো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা হাঁটতে, দৌড়াতে এবং লাফাতে পারে, যা এদের শিকারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। নাকের মধ্যে থাকা হিট সেনসর কোনো প্রাণীর দেহের রক্ত খাওয়ার জন্য সঠিক একটি জায়গা বাছাইয়ে সাহায্য করে। শক্তিশালী পেছনের পা জোড়া ও বুড়ো আঙুল রক্তপান শেষে উড়াল দিতে সাহায্য করে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের লালায় ড্রাকুলিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এটি শিকারের রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে আক্রান্ত স্থান থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে, আর মজা করে খেতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। ড্রাকুলিন নামটি কিন্তু এসেছে কাউন্ট ড্রাকুলা থেকে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড় যদি রাতের খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ হয় তবে কী হবে? টানা দুই রাত রক্ত খুঁজে না পেলে অর্থাৎ রক্ত পান করতে না পারলে বাদুড়টি মারা যাবে। তবে কিছু কিছু ভ্যাম্পায়ার বাদুড় খুব উদার। রক্ত পান করে পেট ঢোল করে ফেলা কোনো কোনো বাদুড় রক্ত মুখ দিয়ে উগরে দিয়ে খাবার না পাওয়া সঙ্গীকে বাঁচায়। এ ছাড়া বন্দী স্ত্রী বাদুড়দের মা বাদুড়দের প্রতি বেশ সহমর্মিতা দেখাতে দেখা যায়।
বাদুড়ের কামড়ে খুব একটা ক্ষত না হলেও র্যাবিসসহ বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। রক্ত খেয়ে কৃষকদের গবাদিপশুরও ক্ষতি করে এরা। তবে এই বাদুড়েরা আক্রমণাত্মক নয়। বন্দী অবস্থায় মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করতে দেখা যায়। গবেষকদের থেকে জানা গেছে, এমনকি নাম ধরে ডাকলে কাছে আসার প্রবণতাও আছে কোনো কোনো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, এ–জেড অ্যানিমেলস ডট কম

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প-উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয়, তবে কেমন হবে বলুন তো? না, ভয়ের কিছু নেই, মানুষ থেকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হওয়া ভয়ানক কিছু একটার কথা বলছি না। আজকের গল্প ভ্যাম্পায়ার বেট বা ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের নিয়ে।
বেশির ভাগ মানুষ যখন ঘুমের অতলে, ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা তখন আত্মপ্রকাশ করে অন্ধকার গুহা, খনি, গহিন অরণ্যের গাছের গর্ত কিংবা পরিত্যক্ত ঘর-বাড়ি থেকে। আমাজনের জঙ্গলসহ দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল ও মেক্সিকোয় দেখা মেলে এ বাদুড়দের।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা রাতের আকাশে শরীরটা ভাসিয়ে দেয় খাবারের খোঁজে। তবে এদের সম্পর্কে সবচেয়ে পিলে চমকানো তথ্য হলো, গল্পের বই কিংবা সিনেমার পর্দার ভ্যাম্পায়ারদের মতো এদেরও বেঁচে থাকার জন্য রক্ত পান করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত গরু, শূকর, ঘোড়া, পাখিসহ বনের বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খায় এরা। এখানেই শেষ নয়, খুব বিপদে পড়লে মানে খাবারে টান পড়লে মানুষের রক্তও পান করে এরা।
এই ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের কথা প্রথম জেনেছিলাম অবশ্য তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য বইটি পড়ে। যেখানে চিড়িয়াখানার জন্য প্রাণী সংগ্রহ করতে দক্ষিণ আমেরিকার গহিন অরণ্যে গিয়েছিল তিন গোয়েন্দা মানে কিশোর, রবিন, মুসা। সেখানে একটি ভ্যাম্পায়ার বেট বা রক্তচোষা বাদুড় সংগ্রহ করে তারা। ওটার জন্য রক্তের জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ে যেতে হয়েছিল। বলা চলে তখন থেকেই প্রাণীটির প্রতি আগ্রহ জন্মায় মনে।
অবশ্য এই বাদুড়েরা কল্পকথার ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্ত চুষে নেয় না, বরং দাঁত দিয়ে শিকারের শরীরে একটু ফুটো করে দেয়। তারপর বের হতে থাকা রক্ত জিভ দিয়ে চেটে চেটে খায়। অর্থাৎ একে রক্তচোষা না বলে রক্তচাটা বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। যদ্দুর মনে পড়ছে, ভীষণ অরণ্যে মুসাও ভ্যাম্পায়ার বাদুড়টিকে ‘রক্তচাটা’ নামই দিয়েছিল। প্রাণীটি এতটাই হালকা যে অনেক সময়ই শিকারকে ঘুম থেকে না জাগিয়েই টানা ত্রিশ মিনিট রক্ত খায়। অবশ্য তার মানে এরা অনেকটা রক্ত খেয়ে ফেলে তা নয়। এমনকি এ সময় শিকার খুব একটা আঘাতও পায় না।
এবার বরং ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক, এরা দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো হয়। ছড়ানো ডানার দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি। বন্য অবস্থায় সাধারণত বাঁচে ৯ বছর। ওজন মোটে দুই আউন্স। তবে একবার ভরপেট রক্ত পানের পর ওজন দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এরা কলোনি করে থাকে। এমন একটি কলোনিতে কয়েক শ ভ্যাম্পায়ার বাদুড় থাকতে পারে। কমন ভ্যাম্পায়ার বাদুড় ছাড়াও এদের আরও দুটি জাত আছে।
মজার ঘটনা, এই বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার জন্য ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের আলাদা কিছু ক্ষমতা আছে। গবেষকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, উড়ুক্কু এই স্তন্যপায়ীরা কোনো প্রাণীর শ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। আরও আশ্চর্য ব্যাপার, কোনো একটি প্রাণী যেমন গরুকে শ্বাস–প্রশ্বাসের শব্দ শুনেই আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। এর রক্ত খাওয়ার জন্য রাতের পর রাত ফিরে আসে।
বাদুড়দের অন্যান্য জাতের মতো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা হাঁটতে, দৌড়াতে এবং লাফাতে পারে, যা এদের শিকারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। নাকের মধ্যে থাকা হিট সেনসর কোনো প্রাণীর দেহের রক্ত খাওয়ার জন্য সঠিক একটি জায়গা বাছাইয়ে সাহায্য করে। শক্তিশালী পেছনের পা জোড়া ও বুড়ো আঙুল রক্তপান শেষে উড়াল দিতে সাহায্য করে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের লালায় ড্রাকুলিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এটি শিকারের রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে আক্রান্ত স্থান থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে, আর মজা করে খেতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। ড্রাকুলিন নামটি কিন্তু এসেছে কাউন্ট ড্রাকুলা থেকে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড় যদি রাতের খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ হয় তবে কী হবে? টানা দুই রাত রক্ত খুঁজে না পেলে অর্থাৎ রক্ত পান করতে না পারলে বাদুড়টি মারা যাবে। তবে কিছু কিছু ভ্যাম্পায়ার বাদুড় খুব উদার। রক্ত পান করে পেট ঢোল করে ফেলা কোনো কোনো বাদুড় রক্ত মুখ দিয়ে উগরে দিয়ে খাবার না পাওয়া সঙ্গীকে বাঁচায়। এ ছাড়া বন্দী স্ত্রী বাদুড়দের মা বাদুড়দের প্রতি বেশ সহমর্মিতা দেখাতে দেখা যায়।
বাদুড়ের কামড়ে খুব একটা ক্ষত না হলেও র্যাবিসসহ বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। রক্ত খেয়ে কৃষকদের গবাদিপশুরও ক্ষতি করে এরা। তবে এই বাদুড়েরা আক্রমণাত্মক নয়। বন্দী অবস্থায় মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করতে দেখা যায়। গবেষকদের থেকে জানা গেছে, এমনকি নাম ধরে ডাকলে কাছে আসার প্রবণতাও আছে কোনো কোনো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, এ–জেড অ্যানিমেলস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প-উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয়, তবে কেমন হবে বলুন তো? না, ভয়ের কিছু নেই, মানুষ থেকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হওয়া ভয়ানক কিছু একটার কথা বলছি না। আজকের গল্প ভ্যাম্পায়ার বেট বা ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের নিয়ে।
বেশির ভাগ মানুষ যখন ঘুমের অতলে, ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা তখন আত্মপ্রকাশ করে অন্ধকার গুহা, খনি, গহিন অরণ্যের গাছের গর্ত কিংবা পরিত্যক্ত ঘর-বাড়ি থেকে। আমাজনের জঙ্গলসহ দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল ও মেক্সিকোয় দেখা মেলে এ বাদুড়দের।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা রাতের আকাশে শরীরটা ভাসিয়ে দেয় খাবারের খোঁজে। তবে এদের সম্পর্কে সবচেয়ে পিলে চমকানো তথ্য হলো, গল্পের বই কিংবা সিনেমার পর্দার ভ্যাম্পায়ারদের মতো এদেরও বেঁচে থাকার জন্য রক্ত পান করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত গরু, শূকর, ঘোড়া, পাখিসহ বনের বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খায় এরা। এখানেই শেষ নয়, খুব বিপদে পড়লে মানে খাবারে টান পড়লে মানুষের রক্তও পান করে এরা।
এই ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের কথা প্রথম জেনেছিলাম অবশ্য তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য বইটি পড়ে। যেখানে চিড়িয়াখানার জন্য প্রাণী সংগ্রহ করতে দক্ষিণ আমেরিকার গহিন অরণ্যে গিয়েছিল তিন গোয়েন্দা মানে কিশোর, রবিন, মুসা। সেখানে একটি ভ্যাম্পায়ার বেট বা রক্তচোষা বাদুড় সংগ্রহ করে তারা। ওটার জন্য রক্তের জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ে যেতে হয়েছিল। বলা চলে তখন থেকেই প্রাণীটির প্রতি আগ্রহ জন্মায় মনে।
অবশ্য এই বাদুড়েরা কল্পকথার ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্ত চুষে নেয় না, বরং দাঁত দিয়ে শিকারের শরীরে একটু ফুটো করে দেয়। তারপর বের হতে থাকা রক্ত জিভ দিয়ে চেটে চেটে খায়। অর্থাৎ একে রক্তচোষা না বলে রক্তচাটা বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। যদ্দুর মনে পড়ছে, ভীষণ অরণ্যে মুসাও ভ্যাম্পায়ার বাদুড়টিকে ‘রক্তচাটা’ নামই দিয়েছিল। প্রাণীটি এতটাই হালকা যে অনেক সময়ই শিকারকে ঘুম থেকে না জাগিয়েই টানা ত্রিশ মিনিট রক্ত খায়। অবশ্য তার মানে এরা অনেকটা রক্ত খেয়ে ফেলে তা নয়। এমনকি এ সময় শিকার খুব একটা আঘাতও পায় না।
এবার বরং ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক, এরা দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো হয়। ছড়ানো ডানার দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি। বন্য অবস্থায় সাধারণত বাঁচে ৯ বছর। ওজন মোটে দুই আউন্স। তবে একবার ভরপেট রক্ত পানের পর ওজন দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এরা কলোনি করে থাকে। এমন একটি কলোনিতে কয়েক শ ভ্যাম্পায়ার বাদুড় থাকতে পারে। কমন ভ্যাম্পায়ার বাদুড় ছাড়াও এদের আরও দুটি জাত আছে।
মজার ঘটনা, এই বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার জন্য ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের আলাদা কিছু ক্ষমতা আছে। গবেষকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, উড়ুক্কু এই স্তন্যপায়ীরা কোনো প্রাণীর শ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। আরও আশ্চর্য ব্যাপার, কোনো একটি প্রাণী যেমন গরুকে শ্বাস–প্রশ্বাসের শব্দ শুনেই আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। এর রক্ত খাওয়ার জন্য রাতের পর রাত ফিরে আসে।
বাদুড়দের অন্যান্য জাতের মতো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা হাঁটতে, দৌড়াতে এবং লাফাতে পারে, যা এদের শিকারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। নাকের মধ্যে থাকা হিট সেনসর কোনো প্রাণীর দেহের রক্ত খাওয়ার জন্য সঠিক একটি জায়গা বাছাইয়ে সাহায্য করে। শক্তিশালী পেছনের পা জোড়া ও বুড়ো আঙুল রক্তপান শেষে উড়াল দিতে সাহায্য করে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের লালায় ড্রাকুলিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এটি শিকারের রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে আক্রান্ত স্থান থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে, আর মজা করে খেতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। ড্রাকুলিন নামটি কিন্তু এসেছে কাউন্ট ড্রাকুলা থেকে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড় যদি রাতের খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ হয় তবে কী হবে? টানা দুই রাত রক্ত খুঁজে না পেলে অর্থাৎ রক্ত পান করতে না পারলে বাদুড়টি মারা যাবে। তবে কিছু কিছু ভ্যাম্পায়ার বাদুড় খুব উদার। রক্ত পান করে পেট ঢোল করে ফেলা কোনো কোনো বাদুড় রক্ত মুখ দিয়ে উগরে দিয়ে খাবার না পাওয়া সঙ্গীকে বাঁচায়। এ ছাড়া বন্দী স্ত্রী বাদুড়দের মা বাদুড়দের প্রতি বেশ সহমর্মিতা দেখাতে দেখা যায়।
বাদুড়ের কামড়ে খুব একটা ক্ষত না হলেও র্যাবিসসহ বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। রক্ত খেয়ে কৃষকদের গবাদিপশুরও ক্ষতি করে এরা। তবে এই বাদুড়েরা আক্রমণাত্মক নয়। বন্দী অবস্থায় মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করতে দেখা যায়। গবেষকদের থেকে জানা গেছে, এমনকি নাম ধরে ডাকলে কাছে আসার প্রবণতাও আছে কোনো কোনো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, এ–জেড অ্যানিমেলস ডট কম

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প-উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয়, তবে কেমন হবে বলুন তো? না, ভয়ের কিছু নেই, মানুষ থেকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হওয়া ভয়ানক কিছু একটার কথা বলছি না। আজকের গল্প ভ্যাম্পায়ার বেট বা ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের নিয়ে।
বেশির ভাগ মানুষ যখন ঘুমের অতলে, ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা তখন আত্মপ্রকাশ করে অন্ধকার গুহা, খনি, গহিন অরণ্যের গাছের গর্ত কিংবা পরিত্যক্ত ঘর-বাড়ি থেকে। আমাজনের জঙ্গলসহ দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চল ও মেক্সিকোয় দেখা মেলে এ বাদুড়দের।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা রাতের আকাশে শরীরটা ভাসিয়ে দেয় খাবারের খোঁজে। তবে এদের সম্পর্কে সবচেয়ে পিলে চমকানো তথ্য হলো, গল্পের বই কিংবা সিনেমার পর্দার ভ্যাম্পায়ারদের মতো এদেরও বেঁচে থাকার জন্য রক্ত পান করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত গরু, শূকর, ঘোড়া, পাখিসহ বনের বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত খায় এরা। এখানেই শেষ নয়, খুব বিপদে পড়লে মানে খাবারে টান পড়লে মানুষের রক্তও পান করে এরা।
এই ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের কথা প্রথম জেনেছিলাম অবশ্য তিন গোয়েন্দার ভীষণ অরণ্য বইটি পড়ে। যেখানে চিড়িয়াখানার জন্য প্রাণী সংগ্রহ করতে দক্ষিণ আমেরিকার গহিন অরণ্যে গিয়েছিল তিন গোয়েন্দা মানে কিশোর, রবিন, মুসা। সেখানে একটি ভ্যাম্পায়ার বেট বা রক্তচোষা বাদুড় সংগ্রহ করে তারা। ওটার জন্য রক্তের জোগান দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়ে যেতে হয়েছিল। বলা চলে তখন থেকেই প্রাণীটির প্রতি আগ্রহ জন্মায় মনে।
অবশ্য এই বাদুড়েরা কল্পকথার ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্ত চুষে নেয় না, বরং দাঁত দিয়ে শিকারের শরীরে একটু ফুটো করে দেয়। তারপর বের হতে থাকা রক্ত জিভ দিয়ে চেটে চেটে খায়। অর্থাৎ একে রক্তচোষা না বলে রক্তচাটা বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। যদ্দুর মনে পড়ছে, ভীষণ অরণ্যে মুসাও ভ্যাম্পায়ার বাদুড়টিকে ‘রক্তচাটা’ নামই দিয়েছিল। প্রাণীটি এতটাই হালকা যে অনেক সময়ই শিকারকে ঘুম থেকে না জাগিয়েই টানা ত্রিশ মিনিট রক্ত খায়। অবশ্য তার মানে এরা অনেকটা রক্ত খেয়ে ফেলে তা নয়। এমনকি এ সময় শিকার খুব একটা আঘাতও পায় না।
এবার বরং ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক, এরা দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো হয়। ছড়ানো ডানার দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি। বন্য অবস্থায় সাধারণত বাঁচে ৯ বছর। ওজন মোটে দুই আউন্স। তবে একবার ভরপেট রক্ত পানের পর ওজন দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এরা কলোনি করে থাকে। এমন একটি কলোনিতে কয়েক শ ভ্যাম্পায়ার বাদুড় থাকতে পারে। কমন ভ্যাম্পায়ার বাদুড় ছাড়াও এদের আরও দুটি জাত আছে।
মজার ঘটনা, এই বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার জন্য ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের আলাদা কিছু ক্ষমতা আছে। গবেষকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, উড়ুক্কু এই স্তন্যপায়ীরা কোনো প্রাণীর শ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। আরও আশ্চর্য ব্যাপার, কোনো একটি প্রাণী যেমন গরুকে শ্বাস–প্রশ্বাসের শব্দ শুনেই আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। এর রক্ত খাওয়ার জন্য রাতের পর রাত ফিরে আসে।
বাদুড়দের অন্যান্য জাতের মতো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা হাঁটতে, দৌড়াতে এবং লাফাতে পারে, যা এদের শিকারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। নাকের মধ্যে থাকা হিট সেনসর কোনো প্রাণীর দেহের রক্ত খাওয়ার জন্য সঠিক একটি জায়গা বাছাইয়ে সাহায্য করে। শক্তিশালী পেছনের পা জোড়া ও বুড়ো আঙুল রক্তপান শেষে উড়াল দিতে সাহায্য করে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড়দের লালায় ড্রাকুলিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এটি শিকারের রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে আক্রান্ত স্থান থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে, আর মজা করে খেতে পারে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়েরা। ড্রাকুলিন নামটি কিন্তু এসেছে কাউন্ট ড্রাকুলা থেকে।
ভ্যাম্পায়ার বাদুড় যদি রাতের খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ হয় তবে কী হবে? টানা দুই রাত রক্ত খুঁজে না পেলে অর্থাৎ রক্ত পান করতে না পারলে বাদুড়টি মারা যাবে। তবে কিছু কিছু ভ্যাম্পায়ার বাদুড় খুব উদার। রক্ত পান করে পেট ঢোল করে ফেলা কোনো কোনো বাদুড় রক্ত মুখ দিয়ে উগরে দিয়ে খাবার না পাওয়া সঙ্গীকে বাঁচায়। এ ছাড়া বন্দী স্ত্রী বাদুড়দের মা বাদুড়দের প্রতি বেশ সহমর্মিতা দেখাতে দেখা যায়।
বাদুড়ের কামড়ে খুব একটা ক্ষত না হলেও র্যাবিসসহ বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। রক্ত খেয়ে কৃষকদের গবাদিপশুরও ক্ষতি করে এরা। তবে এই বাদুড়েরা আক্রমণাত্মক নয়। বন্দী অবস্থায় মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করতে দেখা যায়। গবেষকদের থেকে জানা গেছে, এমনকি নাম ধরে ডাকলে কাছে আসার প্রবণতাও আছে কোনো কোনো ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, এ–জেড অ্যানিমেলস ডট কম

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প–উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয় তবে কেমন হবে বলুন তো? না ভয়ের কিছু নেই মানুষ থেকে ভ
১০ এপ্রিল ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প–উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয় তবে কেমন হবে বলুন তো? না ভয়ের কিছু নেই মানুষ থেকে ভ
১০ এপ্রিল ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প–উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয় তবে কেমন হবে বলুন তো? না ভয়ের কিছু নেই মানুষ থেকে ভ
১০ এপ্রিল ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

ড্রাকুলাসহ বিভিন্ন পিশাচকাহিনির কল্যাণে ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে আমাদের ভালোই পরিচয় আছে। রাতের অন্ধকারে রক্ত খেয়ে নেওয়া ভ্যাম্পায়ারদের কাহিনি পড়ে কিংবা সিনেমায় দৃশ্যায়ন দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। কিন্তু গল্প–উপন্যাসের ভ্যাম্পায়ার যদি বাস্তবে এসে হাজির হয় তবে কেমন হবে বলুন তো? না ভয়ের কিছু নেই মানুষ থেকে ভ
১০ এপ্রিল ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
২ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে