
আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৯ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে