সাহিত্য

শহীদুল জহির ছিলেন ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক। স্বকীয় ভাষাবিন্যাস এবং রীতি-ব্যবহার করে গল্প বলার নয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন।

মার্কেজ তাঁর ছেলেদের বলে গিয়েছিলেন, তাঁর শেষ লেখা যেন প্রকাশ করা না হয়। এমনকি মার্কেজ চেয়েছিলেন, তাঁর সেই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি ধ্বংস করা হোক। কিন্তু বাবার সেই আদেশ মানেননি ছেলে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া মার্কেজের শেষ লেখা উপন্যাস প্রকাশ করেছেন তাঁরা

উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ইয়াসমীন আরা লেখা ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বেলা দাসের যৌথ সম্পাদনায় ‘নজরুল-সৃষ্টি ফিরে দেখা’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়। 

‘সাহিত্যে সূচনা, সাহিত্যেই সমাপ্তি’ এই নীতিবাক্য নিয়ে ২০২১ সালে শুরু হয় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ক্লাবের পথচলা। তবে ক্লাবের শুরুটা হয়েছিল একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে। লকডাউনের সময়টায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহিত্যচর্চা চালু রাখতে এই গ্রুপটি তৈরি করা হয়।

মোজাহিদুল ইসলাম একটি বই লিখেছেন। এই বই লিখেছেন বা বের করেছেন– বিষয়টি এখন বেশ ক্লিশে। একুশের বইমেলার সময় এলে অনেকেই এখন বই বের করছেন। তা তিনি লেখক হোন, বা না–ই হোন। সেদিক থেকে মোজাহিদুলের নামে বই বের হওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। কথা হলো, পাঠক হিসেবে কেউ এই বই কিনতে আগ্রহী হবেন কিনা। এ বিষয়টি নিয়েই এবার আল

অকালপ্রয়াত এই কবি তাঁর কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’ এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থা

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক–২০২৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের থেকে বেশ কয়েকজন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক–২০২৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিত্যক্ত গোরস্থানে হেঁটে বেড়ায় কারা? কলজে কাঁপানো কণ্ঠে শিষ দেওয়া জন্তুগুলোই বা কী? কালো পোশাকের ভুতুড়ে ছায়ামূর্তি অস্বস্তি বাড়ালো নাহিদের। ওর গলায় সুচ ফুটানোর মতো দাগ কিসের ইঙ্গিত? নাহিদ দ্য ইনভেস্টিগেটর সিরিজের তৃতীয় বই মানিকপুরের নেকড়ে রহস্য।

প্রকাশের ছয় বছর পর নতুন সংস্করণে মেলায় এসেছে কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অলাত এহ্সানের গল্পগ্রন্থ ‘অনভ্যাসের দিনে’। এর মধ্যে দেড় বছর বাজারে বইটির কোনো মুদ্রিত কপি ছিল না। এবার আরও একটি গল্প যুক্ত করে বইটি প্রকাশ করেছে অর্জন প্রকাশন।

অনেকের কাছেই তিনি কল্পবিজ্ঞান কাহিনির জনক, তাঁর অসাধারণ সব অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি এখনো আলোড়িত করে পাঠকদের। গল্পটি ফরাসি ঔপন্যাসিক জুল ভার্নের। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮২৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি। 

বহুদিন পর এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলবার মতো বইটি হাতে পেলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ড. মোস্তফা সারওয়ার পেশায় একজন শিক্ষক কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে হোঁচটই খেলাম কারণ বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের কাহিনির বর্ণনায় কোন জ্ঞান দানের প্রবণতা নেই–নেই ভাষা ও উপস্থাপনার কচকচানি ও দুর্বোধ্যতা। 

‘দুঃখের আঁধার রাত্রি বারে বারে এসেছে আমার দ্বারে; একমাত্র অস্ত্র তার দেখেছিনু, কষ্টের বিকৃত ভাল, ত্রাসের বিকট ভঙ্গি যত, অন্ধকারে ছলনার ভূমিকা তাহার॥...’ কবিতাটি কি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের লেখা সর্বশেষ কবিতা? কবিতাপ্রেমী নামের কলকাতাকেন্দ্রিক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ কবিতা’ শিরোনামে

নাট্যজন মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা এই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু সেই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র এখন আর নেই। রাজনীতির কাছে চলে গেছে। তারপরেও আনর্ত আজকে যে সাহস দেখিয়েছে, যে নাট্যজনদের এক করেছে তা সত্যিই পরম গৌরবের...

মাইকেল মধুসূদনের অবদান, বিশেষ করে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে আজকে অনেকটাই বিস্মৃত ও প্রায় অবহেলিত। বাঙালি ‘বীর’ চায় কিন্তু বীরকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারে না।

হাট্টিমা টিম টিম/তারা মাঠে পাড়ে ডিম/তাদের খাড়া দুটো শিং/তারা হাট্টিমা টিম টিম—ছোটবেলায় এই ছড়া কে না পড়েছে! কিন্তু কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে, ছড়াটি মাত্র চার লাইনের, নাকি আরও বড়? যদি এখন শোনেন, ছোটবেলা থেকে পড়ে বা শুনে বড় হওয়া চার লাইনের এই ছড়া এইটুকুই নয় বরং ৫২ লাইনের! তখন নিশ্চয় বিস্মিত হবেন! 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক, প্রহসন ও ট্র‍্যাজেডি লেখেন। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দেরও প্রবর্তক। সাত বছর বয়সে তিনি কলকাতায় যান। স্কুলে পড়া শেষ করে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এ সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংরেজি সাহিত্যের বড় কবি হওয়ার।