সম্পাদকীয়
শহীদুল জহির ছিলেন ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক। স্বকীয় ভাষাবিন্যাস এবং রীতি-ব্যবহার করে গল্প বলার নয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন।
তিনি পুরান ঢাকার নারিন্দার ভজহরি সাহা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তাঁর নাম ছিল মোহাম্মদ শহীদুল হক। তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাশিল গ্রামে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
তেইশ বছর বয়সে তিনি গল্প লেখা শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তাঁর প্রথম গল্প ‘ভালবাসা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৮১ সাল থেকে প্রায় তিন দশক তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চিরকুমার ছিলেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো হলো ‘পারাপার’, ‘আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই’, ‘কাঠুরে ও দাঁড়কাক’, ‘ডুমুরখেকো মানুষ’, ‘এই সময়’, ‘কাঁটা’, ‘চতুর্থ মাত্রা’, ‘কোথায় পাব তারে’, ‘ডলু নদীর হাওয়া’ প্রভৃতি। তাঁর গল্পগুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং বিশ্লেষিত হয়েছে।
শহীদুল জহিরের ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ উপন্যাসটি জাদুবাস্তবতাবাদী রচনার অন্যতম সংযোজন, যেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত। এই উপন্যাস নিয়ে জামিল চৌধুরী মঞ্চনাটক নির্মাণ করেছিলেন। মৃত্যুর পর প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস ‘আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু’। উপন্যাসটি ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা বই’ ১৪১৫ পুরস্কার লাভ করে। এ ছাড়া ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ এবং ‘মুখের দিকে দেখি’ উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন হিসেবে আলোচিত হয়।
২০০৮ সালের ২৩ মার্চ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শহীদুল জহির ছিলেন ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার অন্যতম প্রবর্তক। স্বকীয় ভাষাবিন্যাস এবং রীতি-ব্যবহার করে গল্প বলার নয়াকৌশলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন।
তিনি পুরান ঢাকার নারিন্দার ভজহরি সাহা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তাঁর নাম ছিল মোহাম্মদ শহীদুল হক। তাঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাশিল গ্রামে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
তেইশ বছর বয়সে তিনি গল্প লেখা শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তাঁর প্রথম গল্প ‘ভালবাসা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৮১ সাল থেকে প্রায় তিন দশক তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চিরকুমার ছিলেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো হলো ‘পারাপার’, ‘আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই’, ‘কাঠুরে ও দাঁড়কাক’, ‘ডুমুরখেকো মানুষ’, ‘এই সময়’, ‘কাঁটা’, ‘চতুর্থ মাত্রা’, ‘কোথায় পাব তারে’, ‘ডলু নদীর হাওয়া’ প্রভৃতি। তাঁর গল্পগুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং বিশ্লেষিত হয়েছে।
শহীদুল জহিরের ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ উপন্যাসটি জাদুবাস্তবতাবাদী রচনার অন্যতম সংযোজন, যেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত। এই উপন্যাস নিয়ে জামিল চৌধুরী মঞ্চনাটক নির্মাণ করেছিলেন। মৃত্যুর পর প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস ‘আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু’। উপন্যাসটি ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা বই’ ১৪১৫ পুরস্কার লাভ করে। এ ছাড়া ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ এবং ‘মুখের দিকে দেখি’ উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন হিসেবে আলোচিত হয়।
২০০৮ সালের ২৩ মার্চ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫