লেখক

বিশিষ্ট সাহিত্যিক-রাজনীতিবিদ এবং ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবির একবার বলেছিলেন, ‘প্রতিভার জন্মরহস্য কেউ বলতে পারে না। প্রতিভা তো সব সময়েই তা-ই যা প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যতিক্রম।’

প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক মার্টিন অ্যামিস ৭৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যনাির ক্যানসারে ভুগছিলেন। মার্টিনের স্ত্রী ইসাবেল ফনসেকা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার নিজ বাড়িতে এই লেখকের মৃত্যু হয়েছে। 

উত্তরাধিকার, এখনও সময় আছে, দেশ—তিনটি লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়। ২০০৪ সালের কোনো এক দুপুরবেলা কলকাতার টালিগঞ্জে বসে এ কথা বলেছিলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। প্রায় চার হাজার শব্দের সাক্ষাৎকারে অকপটে অনেক কথাই তিনি বলেছেন। সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের পক্ষে সেই সময় সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন তাপস কুমার দ

সত্তরের দশক মুক্তির দশক বলে আন্দোলনের মন্ত্র গেঁথেছিল নকশালেরা। বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তখন উত্তাল। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যাঙ্গনে তখন তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্ব শেষ। উঠে আসছেন তরুণ লেখকেরা।

তখন মাঝ কৈশোর। প্রায় সেই সময়ে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশ হতে শুরু করল। গর্ভধারিণী। শুরু থেকে একটা চুম্বকীয় আকর্ষণ বোধ হল। দেশ তখন সাপ্তাহিক। প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হতো। গল্প এগোয়। জয়িতা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরাও এগোও। তাদের পথ ধরে আমরাও এগোতে থাকি। 

তারপর একদিন সকলি ফুরায়। যেতে যেতে থেমে যায় জীবন। আমরা বলি মৃত্যু। তবু কিছু কিছু মৃত্যু জীবনেরও অধিক। যেন মৃত্যুর পরেই জন্মটা পরিপূর্ণ হয়! সমরেশ মজুমদার মারা গেলেন। আসলে মারা গেলেন না, বরং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পুনর্জন্ম লাভ হলো তাঁর। তিনি তো তাঁর অমরত্ব বহু আগেই খোদাই করেছেন কালবেলা, কালপুরুষ আর উত্তরাধ

কালজয়ী লেখক দুই বাংলায় জনপ্রিয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে।

লেখকদের দু পয়সা দাম দেয় না যে সমাজ, যে সমাজের মানুষেরা হরদম হাসাহাসি করে লেখকদের নিয়ে এবং বলে—‘কী হয় লিখে?’ তাদের জন্য এক ‘চপেটাঘাতের মতো উদাহরণ’ হয়ে আছেন কার্ল মার্কস। মার্কসই সম্ভবত সেই এক এবং অদ্বিতীয় লেখক ও চিন্তক, যাঁর লেখালেখি ও চিন্তা সমগ্র বিশ্বকে আলোড়িত করেছে। 

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট। 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা দলিল লিখতে মাত্রাতিরিক্ত টাকা নেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁরা বলেন, দলিল লেখক সমিতি ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে সাধারণ মানুষ এখন জিম্মি। তারা দলিল করার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

বই নিষিদ্ধের ইতিহাস নতুন নয়, বহু পুরোনো। লেখকদেরও কম দহনজ্বালা সইতে হয়নি বই লেখার জন্য। লেখক ওভিদকে কৃষ্ণ সাগরের এক অন্ধকার গ্রামে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার, শুধু বই লেখার অপরাধে। ওভিদের বই ‘দ্য আর্ট অব লাভ’ রোমান গ্রন্থাগার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।

লেখক, সাংবাদিক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শামীম আল আমিনের বই ‘নির্বাচিত গল্প তোমার অসীমে’র প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা। 

পড়াশোনা, সাংবাদিকতা ও লেখালেখি—তিনটিই একযোগে করে চলেছেন মাহবুব এ রহমান। স্নাতকোত্তরে পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে। কাজ করেন একটি টেলিভিশন এবং একটি জাতীয় পত্রিকার ক্যাম্পাস

নিকারাগুয়ার একটি আদালত ৯৪ ভিন্নমতাবলম্বীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। ‘পিতৃভূমির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা’ করার দায়ে তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক সার্জিও রামিরেজ, কবি জিওকোন্দা বেলি এবং ক্যাথলিক বিশপ সিলভিও বেজ। 

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বাংলায় এসে সেন বংশীয়দের কাছ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেন ১২০৪ সালে। কিন্তু বাংলায় মুসলমানদের সেটিই প্রথম প্রবেশ নয়। এর অনেক আগে থেকেই আরব বণিকেরা বাণিজ্যের স্বার্থে বাংলায়

ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্রাইট স্কিলসের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে অনলাইনে ‘শুদ্ধ উচ্চারণ ও উপস্থাপনা’ শিরোনামে পাঠদান কার্যক্রমে মেন্টর হিসেবে যুক্ত হলেন লেখক, নির্মাতা ও উপস্থাপক আল নাহিয়ান। সম্প্রতি ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘মিট দ্য মেন্টর’ অনুষ্ঠানে মেন্টর হিসেবে তাঁর অভিষেক হয়।

আধ্যাত্মিক সংগীতের মোহনীয় সুরে দিনের শুরু। এরপর গল্প, আড্ডা আর প্যানেল আলোচনা। বিশ্বসাহিত্যের খ্যাতিমান লেখকেরা বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে তাঁদের মেলবন্ধনের আলোচনা করছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক সংমিশ্রণের মোহে কেটেছে পুরো দিন। বাদ যায়নি শিশুরাও। তাদের জন্য ছিল প্রিয়