নিকারাগুয়ার একটি আদালত ৯৪ ভিন্নমতাবলম্বীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। ‘পিতৃভূমির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা’ করার দায়ে তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক সার্জিও রামিরেজ, কবি জিওকোন্দা বেলি এবং ক্যাথলিক বিশপ সিলভিও বেজ।
নাগরিকত্ব হারানো ৯৪ জনই প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার কঠোর সমালোচক। ওর্তেগা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদ আঁকড়ে আছেন। গত সপ্তাহে ২২২ জন সরকার সমালোচকের নাগরিকত্ব বাতিল করার পর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হলো।
দেশটির আইন বিশ্লেষকেরা এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তবে বিচারক আর্নেস্তো রদ্রিগেজ বিবিসিকে বলেছেন, ‘যেই ৯৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে তাঁরা নিকারাগুয়ার জনগণের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে কাজ করেছেন। ফলে তাঁরা আর নিকারাগুয়ার নাগরিক নন। নিকারাগুয়ায় তাঁদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে তাঁদের অনেকেই বিদেশে থাকেন। তাঁরা ‘ন্যায়বিচার থেকে পলাতক’ বলে অভিহিত করেছেন বিচারক আর্নেস্তো রদ্রিগেজ। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগেই তাঁরা নিকারাগুয়া ছেড়েছেন।
লেখক সার্জিও রামিরেজ ২০১৭ সালে সাহিত্যে স্পেনের সম্মানজনক সার্ভান্তেস পুরস্কার জিতেছেন। বর্তমানে তিনি স্পেনেই নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
রামিরেজ নিকারাগুয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ওর্তেগা ক্রমেই ‘স্বৈরাচারী’ হয়ে উঠলে প্রতিবাদ করেন রামিরেজ। ১৯৯৫ সালে ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন সান্দিনিস্তা পার্টির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন রামিরেজ।
২০২১ সালের জুনে নিকারাগুয়ায় সরকার বিরোধীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের সময় রামিরেজ দেশ ত্যাগ করেন। এর তিন মাস পর তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানো’ এবং নিকারাগুয়াকে ‘অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল বুধবার নাগরিকত্ব হারানোদের একজন নিকারাগুয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত আর্তুরো ম্যাকফিল্ড। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়েছিলেন মানাগুয়ার এই বিশপ। এরপর থেকে তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বসবাস করছেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মধ্য আমেরিকা কার্যালয় এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। নিকারাগুয়াকে ‘অবিলম্বে নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা বন্ধ করার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিকারাগুয়ার একটি আদালত ৯৪ ভিন্নমতাবলম্বীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। ‘পিতৃভূমির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা’ করার দায়ে তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক সার্জিও রামিরেজ, কবি জিওকোন্দা বেলি এবং ক্যাথলিক বিশপ সিলভিও বেজ।
নাগরিকত্ব হারানো ৯৪ জনই প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার কঠোর সমালোচক। ওর্তেগা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদ আঁকড়ে আছেন। গত সপ্তাহে ২২২ জন সরকার সমালোচকের নাগরিকত্ব বাতিল করার পর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হলো।
দেশটির আইন বিশ্লেষকেরা এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তবে বিচারক আর্নেস্তো রদ্রিগেজ বিবিসিকে বলেছেন, ‘যেই ৯৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে তাঁরা নিকারাগুয়ার জনগণের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে কাজ করেছেন। ফলে তাঁরা আর নিকারাগুয়ার নাগরিক নন। নিকারাগুয়ায় তাঁদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে তাঁদের অনেকেই বিদেশে থাকেন। তাঁরা ‘ন্যায়বিচার থেকে পলাতক’ বলে অভিহিত করেছেন বিচারক আর্নেস্তো রদ্রিগেজ। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগেই তাঁরা নিকারাগুয়া ছেড়েছেন।
লেখক সার্জিও রামিরেজ ২০১৭ সালে সাহিত্যে স্পেনের সম্মানজনক সার্ভান্তেস পুরস্কার জিতেছেন। বর্তমানে তিনি স্পেনেই নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
রামিরেজ নিকারাগুয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ওর্তেগা ক্রমেই ‘স্বৈরাচারী’ হয়ে উঠলে প্রতিবাদ করেন রামিরেজ। ১৯৯৫ সালে ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন সান্দিনিস্তা পার্টির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন রামিরেজ।
২০২১ সালের জুনে নিকারাগুয়ায় সরকার বিরোধীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের সময় রামিরেজ দেশ ত্যাগ করেন। এর তিন মাস পর তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানো’ এবং নিকারাগুয়াকে ‘অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল বুধবার নাগরিকত্ব হারানোদের একজন নিকারাগুয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত আর্তুরো ম্যাকফিল্ড। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়েছিলেন মানাগুয়ার এই বিশপ। এরপর থেকে তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বসবাস করছেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মধ্য আমেরিকা কার্যালয় এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। নিকারাগুয়াকে ‘অবিলম্বে নিপীড়ন ও প্রতিহিংসা বন্ধ করার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৫ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৭ ঘণ্টা আগে