
দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর কমিশনে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হতো। এবার তা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় খাতটির ব্যবসায়িক কাঠামো ও মূল্য নির্ধারণে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সরকার জনগণের ওপর চাপ কমাতে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব আহরণ এবং কিছু খাতে লাগাম টানতে সম্পূরক শুল্ক হারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সেসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট আজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে, তাতে জনজীবন সহজ করতে কিংবা অর্থনীতিতে নতুন গতি আনার মতো উদ্ভাবনী কোনো উদ্যোগ নেই। রাজস্ব খাত সংস্কারে বড় উদ্যোগও নেই। বরং রাজস্ব বাড়াতে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় কাটাছেঁড়া করা হয়েছে করহারে। এতে ৯০টির বেশি পণ্যে ভ্যাট-শুল্ক বাড়বে।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের তুলনায় এই বাজেট আকারে কিছুটা ছোট হলেও, জনস্বস্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বেশ কয়েকটি খাতে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।